লখনউ (উত্তরপ্রদেশ), 13 সেপ্টেম্বর : সুরেন্দ্র কালিয়া, যার নামে লখনউ পুলিশের কাছে 20টিরও বেশি ফৌজদারি মামলার রেকর্ড রয়েছে । এবং বন্দুকধারী পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নিজেকে খুন করার ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যায় । জানা গেছে, সে কলকাতায় গা ঢাকা দিয়েছিল এতদিন ।
লখনউয়ের DCP সোমেন বর্মা সংবাদ মাধ্যমে জানান, "সুরেন্দ্রকে হেপাজতে নেওয়ার জন্যে কলকাতায় এক দল পুলিশ পাঠানো হয়েছে । কালিয়ার মাথার ইনাম রাখা হয়েছিল 50 হাজার টাকা । তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজি ব়্যাকেট চালিয়ে রেলের ঠিকা নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে ।"
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, 31 অগাস্ট যাদবপুর থানা এলাকার একটি হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় । লকডাউনে অভিযান চালাতে গিয়ে কালিয়ার হদিস পায় কলকাতা পুলিশ । সুরেন্দ্র কুমার নামে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ওই হোটেলে ছিল সে । পুলিশ তাঁর কাছ থেকে একটি নয় মিমি পিস্তল উদ্ধার করে । অস্ত্র আইনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
14 জুলাই আলামবাগের একটি হাসপাতালের কাছে নিজেকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যায় । এতে তাঁর রক্ষী রামরূপ যাদব জখম হয় । কালিয়া লিখিত অভিযোগ জানায়, একসময়ের মাফিয়া ডন পরে রাজনৈতিক নেতা ধনঞ্জয় সিংহের নির্দেশে নিজেকে মেরে ফেলার চেষ্টা চালিয়েছিল । পুলিশ বুঝতে পারে সেটি মিথ্যে অভিযোগ, কারণ ঘটনায় তাঁর গাড়ি থেকে দুটি বন্দুকে 13 রাউন্ড গুলি চলেছে, কিন্তু ঘটনাস্থানে একটি শেল পাওয়া গেছে ।
উল্লেখ্য, কালিয়া মাফিয়া ডন অভয় সিংহের সাথে কাজ করত । 2016 সালে লখনউয়ে রেলের কন্ট্র্যাক্ট ইশু নিয়ে নরেন্দ্র পাহাড়ির দলের হাতে তাঁর সাকরেদ আশিস পাণ্ডে মারা যায় । লখনউয়ের চারবাগ, হুসেনগঞ্জে একইরকম শুটআউটে সুরেন্দ্র কালিয়ার নাম জড়িয়ে আছে ।