মুম্বই,২৯ নভেম্বর : জোট সরকারের ধর্ম নিরপেক্ষতার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন উঠতেই অস্বস্তিতে উদ্ধব ঠাকরে । মহারাষ্ট্রের সদ্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরেই জোট সরকারের সাংবাদিক বৈঠকে ধর্ম নিরপেক্ষতার নিয়ে অস্বস্তিকর প্রশ্ন ধেয়ে আসে তাঁর দিকে । সংবিধান মেন চলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি উত্তর সামাল দেবার চেষ্টা করেন । মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরে বৃহস্পতিবার প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় কংগ্রেস ও NCP-র সঙ্গে জোট বাঁধার পর শিবসেনা কি ধর্মনিরপেক্ষতাকে গ্রহণ করল ?
উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল হিসাবে শিবসেনার নাম বারবার উঠে এসেছে। সেখানে কংগ্রেস ও NCP তাদের ধর্ম নিরপেক্ষতার নীতি বজায় রাখে । সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্ন উদ্ধবকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলে । উদ্ধব পাল্টা প্রশ্ন করেন, " ধর্ম নিরপেক্ষতার বলতে কী বোঝায় ? সংবিধানে যা লেখা আছে ।"
শিবাজি পার্কে উদ্ধব ঠাকরের শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে জোটের নেতারা সাংবাদিক বৈঠকে ধর্ম নিরপেক্ষতার উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছিলেন । অথচ এই জোটের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের দল শিবসেনা তাঁদের উগ্র হিন্দুত্ব নিয়ে সারা দেশেই সমালোচিত। মুখ্যমন্ত্রিত্বের ভাগাভাগি নিয়ে BJP সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয় শিবসেনার । এর পরেই সেনা কংগ্রেস ও NCP-র সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়ার প্রস্তুতি চালায় ।
উগ্র হিন্দুত্বকে অবলম্বন করেই মহারাষ্ট্রে সেনা ক্ষমতার রাজনীতি করেছে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা । তাছাড়া মহারাষ্ট্র মারাঠিদের জন্য বলেও প্রচার করে শিবসেনা । ইতিমধ্যে সরকারে প্রতিষ্ঠিত হয়ে উদ্ধব ঠাকরে মহারাষ্ট্রে সরকারি কাজে ৮০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করেন । কংগ্রেস ও NCP-র কখনই কোনও বিশেষ ধর্মকে প্রাধান্য দেয়নি। এই দিক থেকে দেখলে শিবসেনার কংগ্রেস ও NCP-র সঙ্গে জোট নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায় । তাই আগামী দিনে শিবসেনা তা কিভাবে সামাল দেয় তা নিয়ে তাকিয়ে গোটা দেশ ।