ETV Bharat / bharat

UPSC-তে তাক লাগানো ফল দরজির ছেলের - ওড়িশার কুমার বিশ্বরঞ্জন

মা দরজি ৷ বাবা জামা-কাপড়ের ব্যবসা করেন ৷ পরিবারে অভাব-অভিযোগ রয়েছে ৷ তবে লক্ষ্য স্থির রেখে পরিশ্রম করে গেছেন কুমার ৷ যার ফল পেলেন তিনি ৷ নিজের সাফল্যে খুশি এই কৃতী ৷

tailors-son-kumar-bishwaranjan-cracks-ias-in-odisha
কুমার বিশ্বরঞ্জন
author img

By

Published : Aug 10, 2020, 1:57 AM IST

কটক, 9 অগাস্ট : ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয় . . . যদি সত্যিই দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি থাকে তাহলে সব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে মানুষ স্বপ্নপূরণ করতে পারে ৷ তার প্রমাণ দিলেন ভুবনেশ্বরের কুমার বিশ্বরঞ্জন ৷ মা মিনতিদেবী দরজি ৷ বাবা জামা-কাপড়ের ব্যবসা করেন ৷ সংসারে অভাব আছে ৷ তবে অভাবকে জয় করে UPSC-তে 182 তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন এই যুবক ৷ এবার তৃতীয়বারের জন্য পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি ৷

কুমার বিশ্বরঞ্জন IIT গুয়াহাটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন ৷ গতবছরও UPSC পরীক্ষায় বসেছিলেন ৷ কিন্তু , সেবার তাঁর 391 তম স্থান হয় ৷ ফলাফলে সন্তুষ্ট হননি ৷ আরও ভালো ফলের আশায় প্রস্তুতি শুরু করেন ৷ ছয় মাস ধরে দিনে 10-12 ঘণ্টা পড়াশোনা করেন ৷ যার ফলও পান হাতেনাতে ৷

ছেলের সাফল্যে খুশি কুমারের বাবা বেণুধর ৷ বলেন, "আমাদের পরিবারের অবস্থা মোটেও স্বচ্ছল নয় ৷ কঠিন পরিশ্রম না করলে কুমার এত ভালো ফল করতে পারত না ৷ কুমারের মা মিনতিদেবীর কথায়, "কোরোনার কারণে ব্যবসা বন্ধ রয়েছে ৷ পরিবারে অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দিয়েছে ৷ কিন্তু, আমরা ওকে কখনও টাকা-পয়সার সমস্যা বুঝতে দিইনি ৷ "

সাফল্য যে খুব সহজে পাওয়া যায়নি, জানাতে ভুললেন না কুমার ৷ বলেন "টানা এক বছরের কঠিন পরিশ্রমের পর এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই ৷ সফলতার উপলব্ধি করি তখনই ৷ এই পথে চলতে বাধার সম্মুখীন হয়েছি প্রচুর ৷ তবে, তার ফলে ভেঙে পড়িনি ৷ সামনের দিতে তাকিয়ে পরিশ্রম করে গেছি ৷"

কটক, 9 অগাস্ট : ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয় . . . যদি সত্যিই দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি থাকে তাহলে সব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে মানুষ স্বপ্নপূরণ করতে পারে ৷ তার প্রমাণ দিলেন ভুবনেশ্বরের কুমার বিশ্বরঞ্জন ৷ মা মিনতিদেবী দরজি ৷ বাবা জামা-কাপড়ের ব্যবসা করেন ৷ সংসারে অভাব আছে ৷ তবে অভাবকে জয় করে UPSC-তে 182 তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন এই যুবক ৷ এবার তৃতীয়বারের জন্য পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি ৷

কুমার বিশ্বরঞ্জন IIT গুয়াহাটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন ৷ গতবছরও UPSC পরীক্ষায় বসেছিলেন ৷ কিন্তু , সেবার তাঁর 391 তম স্থান হয় ৷ ফলাফলে সন্তুষ্ট হননি ৷ আরও ভালো ফলের আশায় প্রস্তুতি শুরু করেন ৷ ছয় মাস ধরে দিনে 10-12 ঘণ্টা পড়াশোনা করেন ৷ যার ফলও পান হাতেনাতে ৷

ছেলের সাফল্যে খুশি কুমারের বাবা বেণুধর ৷ বলেন, "আমাদের পরিবারের অবস্থা মোটেও স্বচ্ছল নয় ৷ কঠিন পরিশ্রম না করলে কুমার এত ভালো ফল করতে পারত না ৷ কুমারের মা মিনতিদেবীর কথায়, "কোরোনার কারণে ব্যবসা বন্ধ রয়েছে ৷ পরিবারে অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দিয়েছে ৷ কিন্তু, আমরা ওকে কখনও টাকা-পয়সার সমস্যা বুঝতে দিইনি ৷ "

সাফল্য যে খুব সহজে পাওয়া যায়নি, জানাতে ভুললেন না কুমার ৷ বলেন "টানা এক বছরের কঠিন পরিশ্রমের পর এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই ৷ সফলতার উপলব্ধি করি তখনই ৷ এই পথে চলতে বাধার সম্মুখীন হয়েছি প্রচুর ৷ তবে, তার ফলে ভেঙে পড়িনি ৷ সামনের দিতে তাকিয়ে পরিশ্রম করে গেছি ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.