ETV Bharat / bharat

কোভিড–১৯-এ পরাজিত স্পেনের যুবকরাও

author img

By

Published : Apr 10, 2020, 6:28 PM IST

চিনে যেমন প্রবীণদের মধ্যে নভেল কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণের অধিক হার লক্ষ্য করা গিয়েছে, স্পেনে আবার যুবাদের মধ্যে কোরোনা পজিটিভের সংখ্যা বেশি দেখা গিয়েছে ।

Spain's youth not invincible to COVID-19
কোভিড–১৯ এ স্পেনের যুবারাও পরাজিত

স্পেনের ইতিহাসে বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ স্বাস্থ্য সংকট চলছে । শুধুমাত্র মাঝবয়সি এবং প্রবীণরা নন, যুবারাও কোভিড–19 এ আক্রান্ত হচ্ছেন । তবে 10 থেকে 14 দিনের চিকিৎসার পর যুবারা অন্যদের তুলনায় দ্রুত সুস্থ হয়েও উঠছেন । যুবাদের মধ্যে মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে কম ৷ এমনটাই মত কোভিড–১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসায় যুক্ত স্পেনীয় ডাক্তার ইথেল সিকোয়েরার । স্পেনের ক্যাসানোভায় প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টারে একজন চিকিৎসক হিসাবে কর্মরত ইথেল । তিনি ইনটারন্যাশনাল হেলথ কো–অপারেটিভ অর্গানাইজেশনের কো–অর্ডিনেটরও । 2000 সাল থেকে 2008 সাল পর্যন্ত ইথেল অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুরে রুরাল ডেভলপমেন্ট ট্রাস্টের একজন চিকিৎসক হিসাবে যুক্ত ছিলেন । ইনাডুর সঙ্গে তিনি স্পেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন।

গোটা দেশ বর্তমানে লকডাউনের আওতায় । যতক্ষণ না জরুরি কোনও দরকার পড়ে, ততক্ষণ কেউ বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন না । ইতিমধ্যে 36,000 মানুষ কোভিড–19 পজিটিভ সাব্যস্ত হয়েছেন । এদের মধ্যে 13,500 মানুষের মৃত্যু হয়েছে । মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে । চিনে যেমন প্রবীণদের মধ্যে নভেল কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণের অধিক হার লক্ষ্য করা গিয়েছে, স্পেনে আবার যুবাদের মধ্যে কোরোনা পজিটিভের সংখ্যা বেশি দেখা গিয়েছে । সরকার নিরন্তর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে । যাদের মধ্যে নভেল কোরোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা গিয়েছে, তাদের বাড়িতে কোয়ারান্টাইনে রাখা হচ্ছে এবং চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে । অন্তত 70 শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে PHCC’র চিকিৎসকরা ফোন কল এবং অনলাইনে রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন । চিকিৎসক এমনকী প্যারামেডিক্যাল কর্মীদেরও যখন তখন, যত্র তত্র বেড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে । আক্রান্ত পরিবারদের সঙ্গে সরাসরি সংস্পর্শে না এসেও যতটা সম্ভব সেরা চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে । শুধুমাত্র যে সব রোগীদের উপসর্গ বেশি এবং প্রবল, তাদেরই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে এবং ICU-তে রাখা হচ্ছে । কারও শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে তাদের ভেন্টিলেটরে রাখা হচ্ছে । হাসপাতালগুলিতে ভর্তি অথবা ভেন্টিলেটরে রয়েছেন, এমন মানুষের সংখ্যা এমনিতে কম । দেশ এই রকম পরিস্থিতি কখনও দেখেনি । যুবাদের পর্যন্ত হাসপাতালে 14 দিনের জন্য ভর্তি করা হচ্ছে । এটাই এই প্যানডেমিকের প্রাবল্য বর্ণনা করছে ।

সমস্ত হাসপাতালগুলিতে সাধারণ রোগব্যধির চিকিৎসা বর্তমানে বন্ধ রাখা হয়েছে । শুধুমাত্র মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালগুলিই নয়, PHCC–গুলিও নিজেদের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কাজ করে চলেছে । ICU গুলির ধারণ ক্ষমতার থেকে তিনগুণ বেশি হারে কাজ হচ্ছে । যত বেশি কোরোনা পজিটিভের সংখ্যা বাড়ছে, তত সরকার কঠিন পরিশ্রম করছে পর্যাপ্ত সংখ্যায় চিকিৎসা সামগ্রীর যোগান দিতে । ভাইরাস যদিও মারাত্মক দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে । যদি প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অকল্পনীয় হয়ে উঠবে । বার্সেলোনায় প্রথম কোভিড–19 আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল 24 ফেব্রুয়ারি । তার পর থেকে আক্রান্তর সংখ্যা অস্বাভাবিক দ্রুত হারে বেড়ে গিয়েছে । কেউ জানে না, ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করে আছে!

ডা. ইথেল আরও জানিয়েছেন যে, ভারতে পরিস্থিতি দ্রুত হাতের বাইরে চলে যেতে পারে যদি সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়া হয় । ভারতে কাজ করার অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখেই ইথেল বলেছেন যে, স্বাস্থ্যব্যবস্থা রীতিমতো ধসে পড়তে পারে যদি আক্রান্তর সংখ্যা ক্রমশ বাড়তেই থাকে । তিনি চান, যে লকডাউন বর্তমানে দেশে চলছে, তা যেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত জারি থাকে ।

স্পেনের ইতিহাসে বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ স্বাস্থ্য সংকট চলছে । শুধুমাত্র মাঝবয়সি এবং প্রবীণরা নন, যুবারাও কোভিড–19 এ আক্রান্ত হচ্ছেন । তবে 10 থেকে 14 দিনের চিকিৎসার পর যুবারা অন্যদের তুলনায় দ্রুত সুস্থ হয়েও উঠছেন । যুবাদের মধ্যে মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে কম ৷ এমনটাই মত কোভিড–১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসায় যুক্ত স্পেনীয় ডাক্তার ইথেল সিকোয়েরার । স্পেনের ক্যাসানোভায় প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টারে একজন চিকিৎসক হিসাবে কর্মরত ইথেল । তিনি ইনটারন্যাশনাল হেলথ কো–অপারেটিভ অর্গানাইজেশনের কো–অর্ডিনেটরও । 2000 সাল থেকে 2008 সাল পর্যন্ত ইথেল অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুরে রুরাল ডেভলপমেন্ট ট্রাস্টের একজন চিকিৎসক হিসাবে যুক্ত ছিলেন । ইনাডুর সঙ্গে তিনি স্পেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন।

গোটা দেশ বর্তমানে লকডাউনের আওতায় । যতক্ষণ না জরুরি কোনও দরকার পড়ে, ততক্ষণ কেউ বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন না । ইতিমধ্যে 36,000 মানুষ কোভিড–19 পজিটিভ সাব্যস্ত হয়েছেন । এদের মধ্যে 13,500 মানুষের মৃত্যু হয়েছে । মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে । চিনে যেমন প্রবীণদের মধ্যে নভেল কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণের অধিক হার লক্ষ্য করা গিয়েছে, স্পেনে আবার যুবাদের মধ্যে কোরোনা পজিটিভের সংখ্যা বেশি দেখা গিয়েছে । সরকার নিরন্তর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে । যাদের মধ্যে নভেল কোরোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা গিয়েছে, তাদের বাড়িতে কোয়ারান্টাইনে রাখা হচ্ছে এবং চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে । অন্তত 70 শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে PHCC’র চিকিৎসকরা ফোন কল এবং অনলাইনে রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন । চিকিৎসক এমনকী প্যারামেডিক্যাল কর্মীদেরও যখন তখন, যত্র তত্র বেড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে । আক্রান্ত পরিবারদের সঙ্গে সরাসরি সংস্পর্শে না এসেও যতটা সম্ভব সেরা চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে । শুধুমাত্র যে সব রোগীদের উপসর্গ বেশি এবং প্রবল, তাদেরই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে এবং ICU-তে রাখা হচ্ছে । কারও শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে তাদের ভেন্টিলেটরে রাখা হচ্ছে । হাসপাতালগুলিতে ভর্তি অথবা ভেন্টিলেটরে রয়েছেন, এমন মানুষের সংখ্যা এমনিতে কম । দেশ এই রকম পরিস্থিতি কখনও দেখেনি । যুবাদের পর্যন্ত হাসপাতালে 14 দিনের জন্য ভর্তি করা হচ্ছে । এটাই এই প্যানডেমিকের প্রাবল্য বর্ণনা করছে ।

সমস্ত হাসপাতালগুলিতে সাধারণ রোগব্যধির চিকিৎসা বর্তমানে বন্ধ রাখা হয়েছে । শুধুমাত্র মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালগুলিই নয়, PHCC–গুলিও নিজেদের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কাজ করে চলেছে । ICU গুলির ধারণ ক্ষমতার থেকে তিনগুণ বেশি হারে কাজ হচ্ছে । যত বেশি কোরোনা পজিটিভের সংখ্যা বাড়ছে, তত সরকার কঠিন পরিশ্রম করছে পর্যাপ্ত সংখ্যায় চিকিৎসা সামগ্রীর যোগান দিতে । ভাইরাস যদিও মারাত্মক দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে । যদি প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অকল্পনীয় হয়ে উঠবে । বার্সেলোনায় প্রথম কোভিড–19 আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল 24 ফেব্রুয়ারি । তার পর থেকে আক্রান্তর সংখ্যা অস্বাভাবিক দ্রুত হারে বেড়ে গিয়েছে । কেউ জানে না, ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করে আছে!

ডা. ইথেল আরও জানিয়েছেন যে, ভারতে পরিস্থিতি দ্রুত হাতের বাইরে চলে যেতে পারে যদি সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়া হয় । ভারতে কাজ করার অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখেই ইথেল বলেছেন যে, স্বাস্থ্যব্যবস্থা রীতিমতো ধসে পড়তে পারে যদি আক্রান্তর সংখ্যা ক্রমশ বাড়তেই থাকে । তিনি চান, যে লকডাউন বর্তমানে দেশে চলছে, তা যেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত জারি থাকে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.