হায়দরাবাদ, 25 মে : একটি পোর্টেবেল অ্যানালাইজ়ারের মাধ্যমে মাত্র 20 মিনিটে রক্তে অ্যান্টি অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েনজ়া ভাইরাস অ্যান্টিবডির সনাক্তকরণে আগেই সফল হয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা । সেইমতো ওই পোর্টেবেল অ্যানালাইজ়ারের বিকাশ করেন তাঁরা । এবার এই প্রযুক্তিকেই কোরোনার অ্যান্টিবডি সনাক্তকরণে ব্যবহার করা হবে ।
কোরোনার অ্যান্টিবডি সংক্রান্ত এই গবেষণার কাজের সঙ্গে একটি দল যুক্ত রয়েছেন । যার মধ্যে কেইন নিশিয়ামাও রয়েছেন । তিনি হোক্কাইডো ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ কেমিকাল সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়রিংয়ের ছাত্র । এই দলে রয়েছেন হোক্কাইডো ইউনিভার্সিটিরই ইঞ্জিনিয়রিংয়ের প্রফেসর মানাবু টোকেশি । তাঁরাই কোরোনার নির্দিষ্ট অ্যান্টিবডির দ্রুত চিহ্নিতকরণের জন্য নতুন প্রক্রিয়া ও অ্যানালাইজ়ার আবিষ্কারের এই গবেষণা করেছেন ।
ইনফ্লুয়েনজ়া এ ভাইরাস সংক্রমণের ফলে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েনজ়া রোগটি হয় । অ্যানালাইজ়ারটিকে ছোটো ও পোর্টেবেল করার জন্য FPIA উপর ভিত্তি করে এই অ্যান্টিবডি সনাক্তকরণের প্রক্রিয়াটি তৈরি করা হয়েছে । এই অ্যানালাইজ়ারের ওজন মাত্র 5.5 কিলোগ্রাম । এই অ্যানালাইজ়ারের সাহায্যে একসঙ্গে অনেক নমুনা পরীক্ষা করতে সক্ষম হয়েছিল গবেষক দলটি ।
প্রফেসর টোকেশি জানান, নভেল কোরোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের টুকরোর পুনরুৎপাদন করে এবং সেটিকে রিএজেন্ট হিসেবে ব্যবহার করলে অ্যানালাইজ়ারটি কোরোনা মোকাবিলায় অ্যান্টিবডি সনাক্ত করতে সক্ষম হবে । অ্যান্টি H5 অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েনজ়া ভাইরাস অ্যান্টিবডির সনাক্তকরণে একটি রিএজেন্টেরও বিকাশ করেছে গবেষকদের এই দল । এই রিএজেন্টের পুনরুৎপাদনে হেমাগগ্লুটিনিন প্রোটিনের টুকরো ব্যবহার করা হয়েছে । এই প্রোটিনের টুকরো H5 অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েনজ়া ভাইরাসের পরিসর থেকে পাওয়া গেছে । এই H5 অ্যান্টিবডিকে 20 মিনিটের মধ্যে মাত্র 2 মাইক্রোলিটার সিরামের নমুনা থেকে সনাক্ত করা যাবে ।