দিল্লি, ১১ মার্চ : এক পাকিস্তানি মহিলার আবেদনের জেরে পিছোল সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণ মামলার রায়দান। ওই মহিলার আবেদন ১৪ মার্চ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে NIA(ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি)-র বিশেষ কোর্ট। যার শুনানি শেষ হয় ৬ মার্চ। মামলা চলাকালীন আট জনের নামে একটি চার্জশিট পেশ করা হয়। যার মধ্যে সুনীল যোশী ২০০৭ সালেই খুন হয় এবং একজনের জামিন হয়।
১২ বছর আগে ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি হরিয়ানার পানিপতের কাছে দিল্লি-লাহোর সমঝোতা এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় ৬৮ জনের। এরপর ২০১০ ঘটনার তদন্তে নামে NIA। সেই মামলাটি নিয়ে আজ পাকিস্তানের এক মহিলা ভারতের রাহিলা এল ভাকিলের মাধ্যমে পঞ্চকুলা আদালতে একটি আবেদন জমা দেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, তাঁর কাছে সমঝোতা এক্সপ্রেস ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ, সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে। এরপরই মামলাটির রায়দান ১৪ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন বিচারক জগদীপ সিং।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৯০ জন সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়েছে। তার মধ্যে ৩০ জন মত পরিবর্তনও করে। ২০১০ সালে মামলাটির তদন্তভার নেয় NIA। ২০১১ সালে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়ে।
২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সমঝোতা এক্সপ্রেসের দুটি কামরায় বিস্ফোরণ ঘটে। মৃত্যু হয় ৬৮ জনের। যার মধ্যে বেশিরভাগই ছিল পাকিস্তানের। সপ্তাহে দু'বার দিল্লি থেকে আটারি হয়ে লাহোর যায় ট্রেনটি। যা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যোগাযোগ রাখে। দুর্ঘটনার দিন ট্রেনটি দিল্লি থেকে লাহোর যাচ্ছিল।