দিল্লি, 24 সেপ্টেম্বর : দিল্লি হিংসায় এবার নাম জড়াল বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমান খুরশিদ ও আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের । দিল্লি পুলিশের গঠন করা নতুন চার্জশিটে নাম রয়েছে তাঁদের । অভিযোগ রয়েছে, হিংসায় প্ররোচনামূলক মন্তব্যের ।
চলতি মাসের 17 তারিখে দিল্লি পুলিশ 17 হাজার পাতার একটি চার্জশিট জমা দিয়েছে । চার্জশিটে এক প্রতক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী উল্লেখ করা হয়েছে, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির প্রতিবাদে দিল্লিতে যে অবস্থান বিক্ষোভ চলছিল, সেখানে মানুষকে একজোট করতে উমর খলিদ, সলমান খুরশিদ, নাদিম খান… প্রত্যেকে প্ররোচনামূলক মন্তব্য করেছিলেন ।”
তবে ঠিক কী ধরনের প্ররোচনামূলক মন্তব্য তাঁরা করেছিলেন, সে-বিষয়ে দিল্লি পুলিশের তরফে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি । যে প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান চার্জশিটে রয়েছে, তাঁর নাম-পরিচয়ও গোপন রাখা হয়েছে । পুলিশের দাবি, ওই সাক্ষী, হিংসার ষড়যন্ত্রকারী দলেরই একজন ছিলেন । তবে সংবাদমাধ্যমের একাংশের প্রকাশ, প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর ইশরত জাহান ও খালিদ সাইফির বয়ানের ভিত্তিতেই নাম উঠেছে খুরশিদ ও প্রশান্ত ভূষণের ।
তাঁদের যাবতীয় বয়ান CrPC-র 164 নম্বর ধারার আওতায় একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নেওয়া হয়েছে, ফলে আদালতে এই বয়ান যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ । মামলার অন্য এক অভিযুক্তও পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে সলমান খুরশিদের নাম নিয়েছেন প্ররোচনামূলক মন্তব্য করার জন্য ।
আরও পড়ুন : দিল্লি হিংসায় প্ররোচনার অভিযোগে আটক উমর খালিদ
যদিও এমন কোনও মন্তব্য করেননি বলেই জানিয়েছেন খুরশিদ । অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেছেন, “ আপনি যদি ময়লা আবর্জনা খুঁজতে চান, তাহলে আপনি তা অনেক পেয়ে যাবেন । আমিও জানতে চাই, কোনটি প্ররোচনামূলক মন্তব্য ছিল ? ” তিনি যদি কিছু বলেও থাকেন, তাহলে পুলিশ সেই মন্তব্যের জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কেন ? প্রশ্ন তোলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা ।
এদিকে দিল্লি হিংসার ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার্জশিটে আসা নামগুলির মধ্যে রাজনৈতিক স্তরে সবথেকে বড় নাম সলমান খুরশিদ । এছাড়াও নাম রয়েছে CPI(M) নেত্রী বৃন্দা কারাটেরও । প্রসঙ্গত, এই বছরই ফেব্রুয়ারিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, 2019-র বিরোধিতায় এক হিংসাত্মক প্রতিবাদের সাক্ষী থেকেছিল রাজধানী । হিংসায় প্রাণ হারিয়েছিল 54 জন ।
আরও পড়ুন : দিল্লির হিংসার ঘটনায় নির্দিষ্ট কাউকে নিশানা করা হচ্ছে না : পুলিশ