ETV Bharat / bharat

একটি সম্প্রদায়কে দানব হিসেবে দেখবেন না,  পরামর্শ মোহন ভাগতের - কোরোনা ভাইরাস

মোহন ভাগবত টিভিতে তাঁর বক্তব্যে সতর্ক করেন এই বলে, যখন দেশ কোরোনা সংক্রমণ আটকানোটাই বৃহত্তর জাতীয় চ্যালেঞ্জ, তখন কয়েকজন ব্যক্তির জন্য একটা সম্প্রদায়কে খারাপ চিহ্নিত করা মোটেও কাঙ্খিত নয় । ভাগবত বলেন, “যদি একজন রাগে বা ভয়ে কোনও ভুল করে, তার জন্য আমরা গোটা সম্প্রদায়কে দোষ দিয়ে দূরে ঠেলে দিতে পারি না ।”

RSS Chief Mohan Bhagwat
RSS প্রধান মোহন ভাগত
author img

By

Published : May 3, 2020, 3:13 PM IST

ভারত সবেমাত্র কোরোনা সম্পর্কিত লকডাউনের একটি 14দিনের সম্প্রসারণ ঘোষণা করেছে । এই অশুভ ভাইরাসকে কতটা বিচ্ছিন্ন এবং নিয়ন্ত্রণ করা গেল, তা নিয়ে একটি পর্যালোচনাও করা হবে । বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, যে নাগরিকদের সহযোগিতায় পর্যাপ্ত ‘হার্ড ইমিউনিটি’ অর্জন করা যাবে, যাতে বিধিনিষেধের মাত্রা কমিয়ে দেশে কিছুটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানো যায় ।

পাশাপাশি, দেশের রাজনৈতিক সত্ত্বায় আরও একটা ক্ষতিকর ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে । সেটা হল একটা সাম্প্রদায়িক বিরোধ, যার একটা নির্দিষ্ট মুসলিম-বিরোধী লক্ষ্য রয়েছে । এই সামাজিক ভাইরাসের সংক্রমণের বিপদ অনুধাবন করে যদি সক্রিয়ভাবে কোয়ারান্টাইন না করা যায় – তাহলে খুবই সম্ভাবনা আছে যে তা ভবিষ্যতে ভারতের সার্বিক নিরাপত্তা এবং তার 130 কোটি নাগরিকের ভালো থাকাকে দুর্বল করে দেবে ।

এই মুসলিম-বিরোধী আবেগে অনুঘটকের কাজ করেছে এপ্রিলের মাঝামাঝি নয়াদিল্লিতে নিজ়ামুদ্দিনের তবলিঘি জমায়েত, যেখানে কোভিড প্রোটোকল মানা হয়নি এবং আক্রান্তের সংখ্যায় বৃদ্ধিও লক্ষ্য করা গেছে । এটা এড়ানো যেত, এবং আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে । কিন্তু এই বিষয়টিকে সংবাদমাধ্যমের একাংশ এমন ছলনাপূর্ণভাবে তুলে ধরেছে, যার বিকৃত সারমর্ম এই দাঁড়ায়, যে ভারতের বিরুদ্ধে একটা কোরোনা জেহাদ ঘোষণা করা হয়েছে । মুসলিম নাগরিক, বিশেষ করে রাস্তার ধারের ছোট বিক্রেতা এবং সব্জিব্যবসায়ীদের ওপর হামলা ও ভয় দেখানোর ঘটনা সামনে এসেছে । কয়েকটি ঘটনায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিও (বিধায়ক) এই মুসলিম-বিরোধী জিগিরে ইন্ধন দেওয়ার ঘটনায় যুক্ত ছিলেন।

দেশে সাম্প্রদায়িক ভাবনার বৃদ্ধি হচ্ছিল, যার জেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং RSS প্রধান মোহন ভাগবত দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছেন । গত রবিবার (26 এপ্রিল) মোহন ভাগবত টিভিতে তাঁর বক্তব্যে সতর্ক করেন এই বলে, যখন দেশ কোরোনা সংক্রমণ আটকানোটাই বৃহত্তর জাতীয় চ্যালেঞ্জ, তখন কয়েকজন ব্যক্তির জন্য একটা সম্প্রদায়কে খারাপ চিহ্নিত করা মোটেও কাঙ্খিত নয় । ভাগবত বলেন, “যদি একজন রাগে বা ভয়ে কোনও ভুল করে, তার জন্য আমরা গোটা সম্প্রদায়কে দোষ দিয়ে দূরে ঠেলে দিতে পারি না ।”

এরও এক সপ্তাহ আগে (19 এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী মোদিও এগিয়ে আসেন এবং বিপর্যস্ত নাগরিকদের পরামর্শ দেন, যে এই সময় কোরোনার মোকাবিলা করতে সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের প্রয়োজন । একটি টুইটে তিনি লেখেন, “আঘাত করার আগে কোভিড-19 কোনও জাতি, ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি, ভাষা, সীমান্ত দেখে না । আমাদের প্রতিক্রিয়া এবং আচরণে তাই সংহতি ও ভ্রাতৃত্বকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে । আমরা একসঙ্গেই এর মধ্যে রয়েছি ।” আরও জোর দিয়ে মোদি বলেন, যে ভারতের জন্য “ভবিষ্যৎ হতে চলেছে ঐক্য ও সহনশীলতার ।”

কিন্তু মোদি এবং ভাগবতের এই পরামর্শ BJP কর্মীদের ওপর কোনও লক্ষণীয় প্রভাব ফেলেছে বলে মনে হচ্ছে না এবং এপ্রিলের শেষের দিকে উত্তর প্রদেশের দুই বিধায়ককে দেখা গেছে স্থানীয়দের বলতে, যাতে তারা মুসলিম বিক্রেতাদের থেকে সব্জি না কেনেন । বসতি এলাকাগুলোতে তাঁদের ঢোকাও বন্ধ করে দেওয়া হয় । বলা হয়, যে এই বিক্রেতাদের কোভিডে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, এবং সেক্ষেত্রে তাঁরা ভাইরাসকে ছড়িয়ে দিতে পারেন ।

BJP উত্তর প্রদেশের এই দুই বিধায়ককে শো কজ করেছে, এবং এধরণের সাম্প্রদায়িক বক্তব্য আটকাতে না পারার জন্য স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন BJP সভাপতি জেপি নাড্ডা ।

এইধরণের অপ্রিয় ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে । ধর্ম সম্পর্কিত যে কোনও ইস্যু ধারণা তৈরির সময় পক্ষপাতিত্ব ডেকে আনে এবং বিদেশে, ভারতে কোরোনা সম্পর্কিত মুসলিমবিরোধী ঘটনাকে বিশদে দেখানো হয় ।

সোশাল মিডিয়ায় একের পর এক উগ্র অভিযোগ দেখে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর রাজকুমারী হেন্দ আল-কাসিমি প্রকাশ্যে একটা অপ্রত্যাশিত বিবৃতি দিয়েছেন । তিনি এমিরেটসের একজন প্রবাসী ভারতীয়ের করা মুসলিম-বিরোধী সোশাল মিডিয়া পোস্টের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন, এবং মহাত্মা গাঁধীর দেশে কী হচ্ছে, তা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন । বেদনাহত বিবৃতিতে তিনি বলেছেন: “কী হল ভারতের?” তিনি যোগ করেছেন: “হিন্দুধর্ম সবথেকে শান্তিপূর্ণ ধর্মের মধ্যে একটি । হয়তো ইসলাম, খ্রিস্টধর্ম বা ইহুদিধর্মের থেকেও বেশি ৷”

এরসঙ্গে সম্পর্ক বিহীন একটি ঘটনায়, আমেরিকার USCIRF (ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম), তাদের বার্ষিক রিপোর্টে ভারতকে, BJP 2019 সালে পুর্ননির্বাচিত হয়ে আসার পর, সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের জন্য “বিশেষভাবে উদ্বেগজনক” দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে । USCIRF মার্কিন সরকারের একটি স্বাধীন কমিশন, কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এর তথ্য নির্দিষ্ট রাজনৈতিক প্রবণতার বাইরে নয় । প্রত্যাশিতভাবেই ভারত এই তথ্যকে নস্যাৎ করে একে “একপেশে” এবং “মিথ্যা” বলে চিহ্নিত করেছে ।

বাইরের সমালোচকদের চোখে ভারতের যা ভাবমূর্তি, তার থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ সত্যকে সম্পূর্ণ বিযুক্ত করা যাবে না । আর মোদি এবং ভাগবত দুজনেই যে সতর্কবার্তা দিয়েছেন – বর্তমানে যখন ভারত একটা জটিল প্যানডেমিক, যা বিশ্বজুড়ে ৩০ লক্ষ মানুষকে আক্রান্ত করেছে, এবং প্রায় 2 লক্ষ 40 হাজার মৃত্যু হয়েছে, তার বিরুদ্ধে লড়ে চলেছে, তখন এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে প্রকৃত সংহতি ও ভ্রাতৃত্বকে আপন করতেই হবে।

কোভিড এবং সামাজিক ভাইরাস, দুটো বিষয়েই নেতারা প্রকাশ্যে যা বলছেন, তা মেনে চলার জন্য কঠোর নির্দেশ দিতে হবে BJP এবং RSS কর্মীদের ।

লেখক : সি উদয় ভাস্কর, অধিকর্তা, সোসাইটি ফর পলিসি স্টাডিজ়

ভারত সবেমাত্র কোরোনা সম্পর্কিত লকডাউনের একটি 14দিনের সম্প্রসারণ ঘোষণা করেছে । এই অশুভ ভাইরাসকে কতটা বিচ্ছিন্ন এবং নিয়ন্ত্রণ করা গেল, তা নিয়ে একটি পর্যালোচনাও করা হবে । বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, যে নাগরিকদের সহযোগিতায় পর্যাপ্ত ‘হার্ড ইমিউনিটি’ অর্জন করা যাবে, যাতে বিধিনিষেধের মাত্রা কমিয়ে দেশে কিছুটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানো যায় ।

পাশাপাশি, দেশের রাজনৈতিক সত্ত্বায় আরও একটা ক্ষতিকর ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে । সেটা হল একটা সাম্প্রদায়িক বিরোধ, যার একটা নির্দিষ্ট মুসলিম-বিরোধী লক্ষ্য রয়েছে । এই সামাজিক ভাইরাসের সংক্রমণের বিপদ অনুধাবন করে যদি সক্রিয়ভাবে কোয়ারান্টাইন না করা যায় – তাহলে খুবই সম্ভাবনা আছে যে তা ভবিষ্যতে ভারতের সার্বিক নিরাপত্তা এবং তার 130 কোটি নাগরিকের ভালো থাকাকে দুর্বল করে দেবে ।

এই মুসলিম-বিরোধী আবেগে অনুঘটকের কাজ করেছে এপ্রিলের মাঝামাঝি নয়াদিল্লিতে নিজ়ামুদ্দিনের তবলিঘি জমায়েত, যেখানে কোভিড প্রোটোকল মানা হয়নি এবং আক্রান্তের সংখ্যায় বৃদ্ধিও লক্ষ্য করা গেছে । এটা এড়ানো যেত, এবং আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে । কিন্তু এই বিষয়টিকে সংবাদমাধ্যমের একাংশ এমন ছলনাপূর্ণভাবে তুলে ধরেছে, যার বিকৃত সারমর্ম এই দাঁড়ায়, যে ভারতের বিরুদ্ধে একটা কোরোনা জেহাদ ঘোষণা করা হয়েছে । মুসলিম নাগরিক, বিশেষ করে রাস্তার ধারের ছোট বিক্রেতা এবং সব্জিব্যবসায়ীদের ওপর হামলা ও ভয় দেখানোর ঘটনা সামনে এসেছে । কয়েকটি ঘটনায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিও (বিধায়ক) এই মুসলিম-বিরোধী জিগিরে ইন্ধন দেওয়ার ঘটনায় যুক্ত ছিলেন।

দেশে সাম্প্রদায়িক ভাবনার বৃদ্ধি হচ্ছিল, যার জেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং RSS প্রধান মোহন ভাগবত দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছেন । গত রবিবার (26 এপ্রিল) মোহন ভাগবত টিভিতে তাঁর বক্তব্যে সতর্ক করেন এই বলে, যখন দেশ কোরোনা সংক্রমণ আটকানোটাই বৃহত্তর জাতীয় চ্যালেঞ্জ, তখন কয়েকজন ব্যক্তির জন্য একটা সম্প্রদায়কে খারাপ চিহ্নিত করা মোটেও কাঙ্খিত নয় । ভাগবত বলেন, “যদি একজন রাগে বা ভয়ে কোনও ভুল করে, তার জন্য আমরা গোটা সম্প্রদায়কে দোষ দিয়ে দূরে ঠেলে দিতে পারি না ।”

এরও এক সপ্তাহ আগে (19 এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী মোদিও এগিয়ে আসেন এবং বিপর্যস্ত নাগরিকদের পরামর্শ দেন, যে এই সময় কোরোনার মোকাবিলা করতে সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের প্রয়োজন । একটি টুইটে তিনি লেখেন, “আঘাত করার আগে কোভিড-19 কোনও জাতি, ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি, ভাষা, সীমান্ত দেখে না । আমাদের প্রতিক্রিয়া এবং আচরণে তাই সংহতি ও ভ্রাতৃত্বকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে । আমরা একসঙ্গেই এর মধ্যে রয়েছি ।” আরও জোর দিয়ে মোদি বলেন, যে ভারতের জন্য “ভবিষ্যৎ হতে চলেছে ঐক্য ও সহনশীলতার ।”

কিন্তু মোদি এবং ভাগবতের এই পরামর্শ BJP কর্মীদের ওপর কোনও লক্ষণীয় প্রভাব ফেলেছে বলে মনে হচ্ছে না এবং এপ্রিলের শেষের দিকে উত্তর প্রদেশের দুই বিধায়ককে দেখা গেছে স্থানীয়দের বলতে, যাতে তারা মুসলিম বিক্রেতাদের থেকে সব্জি না কেনেন । বসতি এলাকাগুলোতে তাঁদের ঢোকাও বন্ধ করে দেওয়া হয় । বলা হয়, যে এই বিক্রেতাদের কোভিডে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, এবং সেক্ষেত্রে তাঁরা ভাইরাসকে ছড়িয়ে দিতে পারেন ।

BJP উত্তর প্রদেশের এই দুই বিধায়ককে শো কজ করেছে, এবং এধরণের সাম্প্রদায়িক বক্তব্য আটকাতে না পারার জন্য স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন BJP সভাপতি জেপি নাড্ডা ।

এইধরণের অপ্রিয় ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে । ধর্ম সম্পর্কিত যে কোনও ইস্যু ধারণা তৈরির সময় পক্ষপাতিত্ব ডেকে আনে এবং বিদেশে, ভারতে কোরোনা সম্পর্কিত মুসলিমবিরোধী ঘটনাকে বিশদে দেখানো হয় ।

সোশাল মিডিয়ায় একের পর এক উগ্র অভিযোগ দেখে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর রাজকুমারী হেন্দ আল-কাসিমি প্রকাশ্যে একটা অপ্রত্যাশিত বিবৃতি দিয়েছেন । তিনি এমিরেটসের একজন প্রবাসী ভারতীয়ের করা মুসলিম-বিরোধী সোশাল মিডিয়া পোস্টের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন, এবং মহাত্মা গাঁধীর দেশে কী হচ্ছে, তা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন । বেদনাহত বিবৃতিতে তিনি বলেছেন: “কী হল ভারতের?” তিনি যোগ করেছেন: “হিন্দুধর্ম সবথেকে শান্তিপূর্ণ ধর্মের মধ্যে একটি । হয়তো ইসলাম, খ্রিস্টধর্ম বা ইহুদিধর্মের থেকেও বেশি ৷”

এরসঙ্গে সম্পর্ক বিহীন একটি ঘটনায়, আমেরিকার USCIRF (ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম), তাদের বার্ষিক রিপোর্টে ভারতকে, BJP 2019 সালে পুর্ননির্বাচিত হয়ে আসার পর, সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের জন্য “বিশেষভাবে উদ্বেগজনক” দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে । USCIRF মার্কিন সরকারের একটি স্বাধীন কমিশন, কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এর তথ্য নির্দিষ্ট রাজনৈতিক প্রবণতার বাইরে নয় । প্রত্যাশিতভাবেই ভারত এই তথ্যকে নস্যাৎ করে একে “একপেশে” এবং “মিথ্যা” বলে চিহ্নিত করেছে ।

বাইরের সমালোচকদের চোখে ভারতের যা ভাবমূর্তি, তার থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ সত্যকে সম্পূর্ণ বিযুক্ত করা যাবে না । আর মোদি এবং ভাগবত দুজনেই যে সতর্কবার্তা দিয়েছেন – বর্তমানে যখন ভারত একটা জটিল প্যানডেমিক, যা বিশ্বজুড়ে ৩০ লক্ষ মানুষকে আক্রান্ত করেছে, এবং প্রায় 2 লক্ষ 40 হাজার মৃত্যু হয়েছে, তার বিরুদ্ধে লড়ে চলেছে, তখন এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে প্রকৃত সংহতি ও ভ্রাতৃত্বকে আপন করতেই হবে।

কোভিড এবং সামাজিক ভাইরাস, দুটো বিষয়েই নেতারা প্রকাশ্যে যা বলছেন, তা মেনে চলার জন্য কঠোর নির্দেশ দিতে হবে BJP এবং RSS কর্মীদের ।

লেখক : সি উদয় ভাস্কর, অধিকর্তা, সোসাইটি ফর পলিসি স্টাডিজ়

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.