ETV Bharat / bharat

মাইসুরুর ওষুধ প্ল্যান্ট থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সন্দেহ, তদন্তের নির্দেশ কর্নাটক সরকারের

জেলার মোট আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশেরই মাইসুরুর ওষুধ প্ল্যান্টের সঙ্গে যোগ রয়েছে । তাই ওই ওষুধ তৈরির প্ল্যান্টে থেকে ভাইরাস ছড়িয়েছে এই সন্দেহে আগেই তা সিল করে দিয়েছিল প্রশাসন । এবার এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিল কর্নাটক সরকার ।

Medicine Farm
ওষুধ প্লান্ট
author img

By

Published : Apr 25, 2020, 1:05 PM IST

মাইসুরু(কর্নাটক), 25 এপ্রিল : কর্মীদের অনেকেরই রিপোর্টে কোরোনা পজ়িটিভ আসে । তারপরই জানা যায়, মাইসুরুর যে ওষুধ তৈরির প্ল্যান্টে তাঁরা কাজ করেন সেখানে সম্প্রতি চিন থেকে ওষুধের কাঁচামাল আনা হয়েছিল । এরপরই ওই ওষুধ তৈরির প্ল্যান্ট থেকে ভাইরাস ছড়িয়েছে, এই সন্দেহে আগেই তা সিল করে দিয়েছিল প্রশাসন । এবার এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিল কর্নাটক সরকার ।

মাইসুরুর নানজানগুড প্ল্যান্ট । এই প্ল্যান্টেই কোরোনা প্রতিরোধে অ্যাজ়িথ্রোমাইসিন ডিহাইড্রেট ও অ্যাজ়িথ্রোমাইসিন মোনোহাইড্রেটের মতো প্রয়োজনীয় ওষুধগুলি তৈরির জন্য চিন থেকে কাঁচামাল নিয়ে আসা হয়েছিল । তারপরেই এই ওষুধ তৈরির প্ল্যান্টের কর্মীদের অনেকেই কোরোনায় আক্রান্ত হন । শুধু তাই নয়, এই জেলার মোট আক্রান্ত 88 জনের মধ্যে 73 জনের ওই ওষুধ তৈরির প্ল্যান্টের বা সেখানকার কর্মীদের সংস্পর্শে আসার তথ্য রয়েছে । তাই ওই প্ল্যান্ট থেকেই ভাইরাস ছড়িয়েছে এই সন্দেহে 7 এপ্রিল তা সিল করে দেওয়া হয় ।

আজ এই ঘটনারই তদন্তের নির্দেশ দিল কর্নাটক সরকার । মুখ্যসচিব টি এম বিজয় ভাস্কর মাইসুরুর কোরোনা নোডাল অফিসার হর্ষ গুপ্তাকে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন । পাশাপাশি এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে । যদিও জুবিল্যান্ট লাইফ সায়েন্স লিমিটেডের তরফে দাবি করা হয়েছে, মাইসুরুর নানজানগুড প্ল্যান্টে চিন থেকে যে কাঁচামাল আনা হয়েছিল তাতে ভাইরাসের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি । এই কম্পানির এক আধিকারিক 16 এপ্রিল একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, " সরকার পরিচালিত পুনের জাতীয় ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজির তরফে চিন থেকে আসা কাঁচামালের পরীক্ষার যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে কোরোনা নেগেটিভ এসেছে । "

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, এই তদন্তের মাধ্যমে জেলায় সংক্রমণের উৎস খোঁজা হবে । একইসঙ্গে ওই ওষুধ প্ল্যান্টের কর্মী, তাঁদের পরিবার ও আত্মীয়দের মধ্যে কীভাবে এই সংক্রমণ ছড়াল তা তদন্ত করে দেখা হবে । মুখ্যসচিবের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, তদন্তে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার উৎস খোঁজার কাজ যে মেডিকেল দল করবে তাকে মাইসুরুর পুলিশ সুপার সি বি রিশয়ান্ত, ডেপুটি পুলিশ সুপার ও তিনজন ইন্সপেক্টর সহযোগিতা করবেন ।

জেলায় কোরোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পিছনে ওই ওষুধ প্ল্যান্টের ও অন্যান্যদের কী ভূমিকা রয়েছে তাও তদন্ত করা হবে । জেলা প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যে বিদেশি নাগরিকদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে যারা মার্চে ওই প্ল্যান্টে এসেছিলেন ।

মাইসুরুর প্রথম কোরোনা আক্রান্ত ওই প্ল্যান্টেরই 35 বছরের এক কর্মী । তাঁর সংস্পর্শে আসা ওই প্ল্যান্টের আরও 24 জনের শরীরে কোরোনা পাওয়া গেছে । তাঁদের আত্মীয়দের রিপোর্টেও কোরোনা পজ়িটিভ পাওয়া গেছে । প্রত্যেকেই জেলায় সরকারের তরফে চিহ্নিত কোরোনা চিকিৎসার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।

মাইসুরু(কর্নাটক), 25 এপ্রিল : কর্মীদের অনেকেরই রিপোর্টে কোরোনা পজ়িটিভ আসে । তারপরই জানা যায়, মাইসুরুর যে ওষুধ তৈরির প্ল্যান্টে তাঁরা কাজ করেন সেখানে সম্প্রতি চিন থেকে ওষুধের কাঁচামাল আনা হয়েছিল । এরপরই ওই ওষুধ তৈরির প্ল্যান্ট থেকে ভাইরাস ছড়িয়েছে, এই সন্দেহে আগেই তা সিল করে দিয়েছিল প্রশাসন । এবার এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিল কর্নাটক সরকার ।

মাইসুরুর নানজানগুড প্ল্যান্ট । এই প্ল্যান্টেই কোরোনা প্রতিরোধে অ্যাজ়িথ্রোমাইসিন ডিহাইড্রেট ও অ্যাজ়িথ্রোমাইসিন মোনোহাইড্রেটের মতো প্রয়োজনীয় ওষুধগুলি তৈরির জন্য চিন থেকে কাঁচামাল নিয়ে আসা হয়েছিল । তারপরেই এই ওষুধ তৈরির প্ল্যান্টের কর্মীদের অনেকেই কোরোনায় আক্রান্ত হন । শুধু তাই নয়, এই জেলার মোট আক্রান্ত 88 জনের মধ্যে 73 জনের ওই ওষুধ তৈরির প্ল্যান্টের বা সেখানকার কর্মীদের সংস্পর্শে আসার তথ্য রয়েছে । তাই ওই প্ল্যান্ট থেকেই ভাইরাস ছড়িয়েছে এই সন্দেহে 7 এপ্রিল তা সিল করে দেওয়া হয় ।

আজ এই ঘটনারই তদন্তের নির্দেশ দিল কর্নাটক সরকার । মুখ্যসচিব টি এম বিজয় ভাস্কর মাইসুরুর কোরোনা নোডাল অফিসার হর্ষ গুপ্তাকে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন । পাশাপাশি এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে । যদিও জুবিল্যান্ট লাইফ সায়েন্স লিমিটেডের তরফে দাবি করা হয়েছে, মাইসুরুর নানজানগুড প্ল্যান্টে চিন থেকে যে কাঁচামাল আনা হয়েছিল তাতে ভাইরাসের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি । এই কম্পানির এক আধিকারিক 16 এপ্রিল একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, " সরকার পরিচালিত পুনের জাতীয় ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজির তরফে চিন থেকে আসা কাঁচামালের পরীক্ষার যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে কোরোনা নেগেটিভ এসেছে । "

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, এই তদন্তের মাধ্যমে জেলায় সংক্রমণের উৎস খোঁজা হবে । একইসঙ্গে ওই ওষুধ প্ল্যান্টের কর্মী, তাঁদের পরিবার ও আত্মীয়দের মধ্যে কীভাবে এই সংক্রমণ ছড়াল তা তদন্ত করে দেখা হবে । মুখ্যসচিবের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, তদন্তে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার উৎস খোঁজার কাজ যে মেডিকেল দল করবে তাকে মাইসুরুর পুলিশ সুপার সি বি রিশয়ান্ত, ডেপুটি পুলিশ সুপার ও তিনজন ইন্সপেক্টর সহযোগিতা করবেন ।

জেলায় কোরোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পিছনে ওই ওষুধ প্ল্যান্টের ও অন্যান্যদের কী ভূমিকা রয়েছে তাও তদন্ত করা হবে । জেলা প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যে বিদেশি নাগরিকদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে যারা মার্চে ওই প্ল্যান্টে এসেছিলেন ।

মাইসুরুর প্রথম কোরোনা আক্রান্ত ওই প্ল্যান্টেরই 35 বছরের এক কর্মী । তাঁর সংস্পর্শে আসা ওই প্ল্যান্টের আরও 24 জনের শরীরে কোরোনা পাওয়া গেছে । তাঁদের আত্মীয়দের রিপোর্টেও কোরোনা পজ়িটিভ পাওয়া গেছে । প্রত্যেকেই জেলায় সরকারের তরফে চিহ্নিত কোরোনা চিকিৎসার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.