বেইজিং, 24 ফেব্রুয়ারি : কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই চিনে ২,৪৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে WHO। এবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সামগ্রিক পরিস্থিতিকে চিনের স্বাস্থ্য সংকট বলে উল্লেখ করলেন তিনি।
বেজিংয়ে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে শি বলেন, "আমাদের কাছে এটা একটা সংকট। বড় পরীক্ষাও। কঠোর পরিশ্রমের পর পরিস্থিতি এখন ভালোর দিকে। নতুন চিন গঠনের পর কোরোন ভাইরাসের মতো মহামারি যা কি না দ্রুত এবং বৃহৎ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, তাকে নিয়ন্ত্রণে আনা সত্যিই কঠিন।" শুধু তাই নয়, জিনপিং আশঙ্কা প্রকাশ করেন, COVID-19 চিনের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটাবে।
তথ্য অনুযায়ী, মারণ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিনে এখনও পর্যন্ত ২,৪৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৬,৯৩৬। এর মধ্যে শুধু হুবেই প্রদেশেই আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৪ হাজার।
এদিকে, চিনে চিকিৎসার সামগ্রী রপ্তানিতে কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত। কোরোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশনের জারি করা সতর্কতার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে গতকাল জানিয়ে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার ।
তিনি বলেন, "WHO-র সতর্কতার কথা মাথায় রেখেই ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিনে কয়েকটি চিকিৎসা সামগ্রীর রপ্তানি বন্ধ করবে । কারণ দেশেও এইসব সামগ্রীর যোগান কম ।"
চিনের মেডিকেল ইন্সটিটিউশনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, ভারত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসার সামগ্রী চিনে রপ্তানি করছে না যা এই মুহূর্তে তাদের খুব প্রয়োজন । এই অভিযোগের জবাবেই রবীশ কুমার বলেন, "ভারতের জনসংখ্যা প্রচুর । ভারতের নাগরিকদের স্বাস্থ্যের চিন্তা করা আমাদের দায়িত্ব । কোভিড-19-র সংক্রমণ থেকে নাগিরকদের রক্ষা করার জন্য প্রত্যেক পদক্ষেপ ভারত করবে । এই মুহূর্তে সেই ওষুধ ও সামগ্রী ভারতেরও প্রয়োজন । তাও চিনের নাগরিকদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে ভারত সেইসব চিকিৎসা সামগ্রী একবারের জন্য রপ্তানি করেছে যে সামগ্রীর উপর ইতিমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ।"