দিল্লি, 7 ডিসেম্বর : হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত চার জন গতকাল এনকাউন্টারে মারা যায় । SIT গঠন করে এই এনকাউন্টারের যথাযথ তদন্তের সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করলেন আইনজীবী এম এল শর্মা ৷ পাশাপাশি বিচার ছাড়া হত্যাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য রাজ্যসভার সাংসদ জয়া বচ্চন ও দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়ালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও আর্জি জানান ৷
27 নভেম্বর হায়দরবাদারে শাদনগরে এক পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে খুন করা হয় । ঘটনায় অভিযুক্ত চার জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ । সংসদেও তার প্রভাব দেখা যায় । রাজ্যসভার সাংসদ জয়া বচ্চন এই ঘটনার প্রতিবাদ করে বলেন, "ধর্ষকদের জনসমক্ষে পেটানো উচিত ।" অন্যদিকে দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল দিল্লির যন্তর-মন্তরের সামনে অনশনে বসেন ।
হায়দরাবাদ গণধর্ষণের আট দিনের মাথায় গতকাল চার অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনাস্থানে যায় পুলিশ । ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে দেখাতে বলে । এরপরই খবর আসে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে হায়দরবাদ গণধর্ষণে অভিযুক্ত চার জনের । পুলিশ জানায়, ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা । তাই পুলিশ বাধ্য হয়ে তাদের এনকাউন্টার করে । এনকাউন্টারের কথা সামনে আসতেই তা সমর্থন করেন স্বাতী মালিওয়াল । তিনি বলেন, "অন্তত সরকারি অতিথি হয়ে দুষ্কৃতীরা থাকবে না ।" এনকাউন্টারকে সমর্থন জানান রাজ্যসভার সাংসদ জয়া বচ্চনও । এই দু'জনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান আইনজীবী এম এম শর্মা ।
আইনজীবী এম এল শর্মা আজ আরও একটি আবেদন করেন । সেখানে তিনি বলেন, যতক্ষণ না ধর্ষণে অভিযুক্তরা দোষী প্রমাণিত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত যেন খবরের চ্যানেলগুলিতে সেই ধর্ষণ ও অপরাধীদের নিয়ে কোনও অনুষ্ঠান বা টক শো সম্প্রচারিত না হয় ।