ETV Bharat / bharat

দুর্বল না ভেবে মেয়েদের এগিয়ে চলা উচিত : দময়ন্তী বেসরা

আদিবাসী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও সব বাধা ঠেলে এগিয়ে গিয়েছেন পদ্মশ্রী প্রাপ্ত সাহিত্যিক দময়ন্তী বেসরা ৷ দুর্বল না ভেবে মহিলাদের উচিত জীবনের পথে এগিয়ে যাওয়া ৷ এমনটাই মত দময়ন্তী বেসরার ৷

Padmashree Damayanti Beshra
দময়ন্তী বেসরা
author img

By

Published : Mar 2, 2020, 11:51 PM IST

ওড়িশার আদিবাসী অধ্যুষিত জেলা ময়ূরভঞ্জের ড. দময়ন্তী বেসরাকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত করা হবে ৷ তাঁর পদ্মশ্রী প্রাপ্তির ঘোষণার পর নারী দিবস নিয়ে ড. দময়ন্তী বেসরার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি মৃত্যুঞ্জয় সেনাপতি ৷

রাষ্ট্রপতি হয়ত ড. দময়ন্তী বেসরাকে একজন সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ হিসেবেই পদ্মশ্রী পুরস্কার দেবেন ৷ কিন্তু সাঁওতালি ভাষা নিয়ে তাঁর গবেষণা, পাণ্ডিত্য, কবিতা ও লেখা নিয়েও তিনি সমানভাবে বিখ্যাত হয়েছেন ৷ একই সঙ্গে তিনি ওড়িয়া ভাষা নিয়েও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন ৷ ড. বেসরা জানিয়েছেন, শৈশব থেকেই তিনি সাঁওতালি এবং ওড়িয়া ভাষায় লেখালেখি শুরু করেন ৷ কিন্তু তাঁর বিয়ের পরই সেগুলো বই আকারে ছাপা হয় ৷ তাঁর এই সাফল্যকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে তিনি বরাবর তাঁর পরিবার এবং স্বামীর কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা পেয়ে এসেছেন ৷

তাঁর কথায়, যেহেতু তিনি একটি আদিবাসী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তাই তাঁকে অনেক কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছিল ৷ একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, একজন নারীর উচিত সবসময় নিজেকে দুর্বল না ভেবে জীবনে এগিয়ে চলা ৷ ড. দময়ন্তী বেসরা জানান, তিনি কখনওই ভাবেননি যে ভবিষ্যতে তাঁর জন্য কী অপেক্ষা করছে ৷ বরং তিনি বর্তমানের কথা ভেবেই জীবনে বেঁচেছেন ৷ তিনি জানান, আদিবাসী মহিলারা যেহেতু শিক্ষা থেকে এখনও অনেক দূরে, তাই তাঁদেরকে এখনই শিক্ষার আলোয় আনা খুব জরুরি ৷

পদ্মশ্রী প্রাপ্ত সাহিত্যিক দময়ন্তী বেসরা কী বললেন নারী দিবস নিয়ে

সাঁওতালি ভাষায় বই লেখা এবং সাঁওতালি ভাষায় অনুবাদের কাজ করার জন্য 2010 সালে ড. দময়ন্তী বেসরাকে কেন্দ্রীয় সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল ৷ তাঁর পুরস্কার পাওয়া দু’টো গবেষণা - পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু এবং ‘চাইচেম্পিরু ইনজি দিশন’ প্রকাশিত হয়েছে ৷ এছাড়াও প্রকাশিত হয়েছে সাঁওতালি ভাষায় লেখা কবিতা সমগ্র, প্রবন্ধ, সমালোচনামূলক বই, ব্যকরণ এবং সাঁওতালি ভাষার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ৷ ড. দময়ন্তী বেসরা এখন মহারাজা পূর্ণচন্দ্র স্বশাসিত মহাবিদ্যালয়ে একজন সাহিত্যিক এবং ওড়িয়া বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কাজ করছেন ৷ 1962 সালের 18 ফেব্রুয়ারি আদিবাসী অধ্যুষিত ময়ূরভঞ্জ জেলার রাইরংপুর মহকুমার চোবেইজোড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন ৷ বাবা রাজমালি মাঝি ও মা পুঙ্গি মাঝি ৷ ময়ূরভঞ্জ জেলার প্রথম আদিবাসী হিসেবে ড. দময়ন্তী বেসরা পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত হতে চলেছেন ৷

ওড়িশার আদিবাসী অধ্যুষিত জেলা ময়ূরভঞ্জের ড. দময়ন্তী বেসরাকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত করা হবে ৷ তাঁর পদ্মশ্রী প্রাপ্তির ঘোষণার পর নারী দিবস নিয়ে ড. দময়ন্তী বেসরার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি মৃত্যুঞ্জয় সেনাপতি ৷

রাষ্ট্রপতি হয়ত ড. দময়ন্তী বেসরাকে একজন সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ হিসেবেই পদ্মশ্রী পুরস্কার দেবেন ৷ কিন্তু সাঁওতালি ভাষা নিয়ে তাঁর গবেষণা, পাণ্ডিত্য, কবিতা ও লেখা নিয়েও তিনি সমানভাবে বিখ্যাত হয়েছেন ৷ একই সঙ্গে তিনি ওড়িয়া ভাষা নিয়েও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন ৷ ড. বেসরা জানিয়েছেন, শৈশব থেকেই তিনি সাঁওতালি এবং ওড়িয়া ভাষায় লেখালেখি শুরু করেন ৷ কিন্তু তাঁর বিয়ের পরই সেগুলো বই আকারে ছাপা হয় ৷ তাঁর এই সাফল্যকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে তিনি বরাবর তাঁর পরিবার এবং স্বামীর কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা পেয়ে এসেছেন ৷

তাঁর কথায়, যেহেতু তিনি একটি আদিবাসী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তাই তাঁকে অনেক কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছিল ৷ একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, একজন নারীর উচিত সবসময় নিজেকে দুর্বল না ভেবে জীবনে এগিয়ে চলা ৷ ড. দময়ন্তী বেসরা জানান, তিনি কখনওই ভাবেননি যে ভবিষ্যতে তাঁর জন্য কী অপেক্ষা করছে ৷ বরং তিনি বর্তমানের কথা ভেবেই জীবনে বেঁচেছেন ৷ তিনি জানান, আদিবাসী মহিলারা যেহেতু শিক্ষা থেকে এখনও অনেক দূরে, তাই তাঁদেরকে এখনই শিক্ষার আলোয় আনা খুব জরুরি ৷

পদ্মশ্রী প্রাপ্ত সাহিত্যিক দময়ন্তী বেসরা কী বললেন নারী দিবস নিয়ে

সাঁওতালি ভাষায় বই লেখা এবং সাঁওতালি ভাষায় অনুবাদের কাজ করার জন্য 2010 সালে ড. দময়ন্তী বেসরাকে কেন্দ্রীয় সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল ৷ তাঁর পুরস্কার পাওয়া দু’টো গবেষণা - পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু এবং ‘চাইচেম্পিরু ইনজি দিশন’ প্রকাশিত হয়েছে ৷ এছাড়াও প্রকাশিত হয়েছে সাঁওতালি ভাষায় লেখা কবিতা সমগ্র, প্রবন্ধ, সমালোচনামূলক বই, ব্যকরণ এবং সাঁওতালি ভাষার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ৷ ড. দময়ন্তী বেসরা এখন মহারাজা পূর্ণচন্দ্র স্বশাসিত মহাবিদ্যালয়ে একজন সাহিত্যিক এবং ওড়িয়া বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কাজ করছেন ৷ 1962 সালের 18 ফেব্রুয়ারি আদিবাসী অধ্যুষিত ময়ূরভঞ্জ জেলার রাইরংপুর মহকুমার চোবেইজোড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন ৷ বাবা রাজমালি মাঝি ও মা পুঙ্গি মাঝি ৷ ময়ূরভঞ্জ জেলার প্রথম আদিবাসী হিসেবে ড. দময়ন্তী বেসরা পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত হতে চলেছেন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.