ETV Bharat / bharat

দুর্বল ইন্টারনেট পরিষেবা, হিমাচলপ্রদেশে অনলাইন ক্লাসের সুবিধা পাচ্ছে না পড়ুয়ারা

হিমাচলপ্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ইন্টারনেট পরিষেবা দুর্বল ৷ ফলে অনলাইন ক্লাসের সুবিধা নিতে পারছে না পড়ুয়ারা ৷

online education in Himachal Pradesh
অনলাইন ক্লাস
author img

By

Published : Jul 15, 2020, 7:41 PM IST

কিন্নর, 15 জুলাই : কোরোনা ভাইরাসের কারণে ঘরে থেকে কাজের প্রবণতা শুরু হয়েছে ৷ শুধু অফিসের ক্ষেত্রে নয়, পড়ুয়ারাও অনলাইনে ঘর থেকে পড়াশোনা চালাচ্ছে ৷ অনলাইন ক্লাস ও ই-লার্নিংয়ের মাধ্যমে পড়াশোনা করছে পড়ুয়ারা ৷ বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ক্লাস শুরু করে দিয়েছে ৷ এর মধ্যেও দেশের অনেক গ্রাম আছে, যেখানে পড়ুয়ারা অনলাইন ক্লাসের সুবিধা নিতে পারছে না ৷ হিমাচলপ্রদেশের কিন্নর জেলা তার মধ্যে অন্যতম ৷

কিন্নরের পড়ুয়ারা অনলাইন ক্লাসের সুবিধা পাচ্ছে না ৷ সেখানে কোনও স্মার্ট ক্লাসের সুবিধা নেই ৷ অনলাইন ক্লাস ভালোভাবে সংগঠিত করতে গেলে প্রয়োজন হাইস্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা ৷ কিন্তু হিমাচলপ্রদেশের কিন্নর ও রিকাংপিয়ো-তে হাই স্পিড ইন্টারনেট তো দূর, 2G নেটওয়ার্কও ঠিকভাবে আসে না ৷ এর ফলে কয়েকশো পড়ুয়া অনলাইন ক্লাসের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ৷ বিবেক নামে এক পড়ুয়া জানায়, ‘‘আমাদের গ্রামে ঠিকমতো ইন্টারনেট পরিষেবা নেই ৷ অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে আমরা সমস্যায় পড়েছি ৷" হারলিন নামে আর এক পড়ুয়া জানায়, ‘‘গত এক মাস ধরে আমাদের অনলাইন ক্লাস হচ্ছে ৷ কিন্তু ইন্টারনেট পরিষেবা এত নিম্নমানের যে, আমাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে খুব অসুবিধা হচ্ছে ৷’’

হিমাচলপ্রদেশে অনলাইন ক্লাসের সুবিধা পাচ্ছে না পড়ুয়ারা

কিন্নরের বহু পড়ুয়া ভিন রাজ্যে পড়াশোনা করে ৷ লকডাউনের পরে তারা প্রত্যেকে বাড়ি ফিরে এসেছে ৷ এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি অনলাইন ক্লাস চালু করায় সমস্যায় পড়েছে সেখানকার পড়ুয়ারা ৷ পড়ুয়াদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও চিন্তায় পড়েছেন ৷ শান্তা নেগি নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘কিন্নরের বেশিরভাগ জায়গায় হাইস্পিড ইন্টারনেট নেই ৷ আমাদের 2G বা 3G ইন্টারনেট সুবিধা নেই ৷ তাই ভিডিয়ো কল করা সম্ভব হয় না ৷’’ কুনো চরং, রোপা ভ্যালি, ছিটকুল, হ্যাঙ্গো চুলিংয়ের মতো সীমান্তবর্তী এলাকায় অনেকের ইন্টারনেট পরিষেবা নেই ৷ 60 বছর হয়ে গেছে, কিন্তু এখনও কোনও যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ পাশাপাশি লকডাউনে অনেকে আর্থিক সংকটে ভুগছেন ৷ তাই ছেলে-মেয়েদের স্মার্ট ফোন বা ল্যাপটপ কিনে দেওয়ার মতো ক্ষমতা অনেকের নেই ৷ দরিদ্র পরিবারগুলির পড়ুয়ারা বেশি সমস্যায় পড়েছে ৷

স্থানীয় বাসিন্দারা চাইছেন, ইন্টারনেট পরিষেবা ভালো করা হোক ৷ পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চালু হোক স্কুল ৷ জনসংখ্যা কম হওয়ায় কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনাও কম বলে তাঁরা মনে করছেন ৷ কল্পার SDM মেজর অবিন্দর শর্মা জানান, ‘‘এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা দুর্বল ৷ পড়ুয়া ও অভিভাবকরা সমস্যায় পড়েছেন ৷ BSNL ইন্টারনেট পরিষেবা ভালো করার চেষ্টা হচ্ছে ৷’’

কিন্নর, 15 জুলাই : কোরোনা ভাইরাসের কারণে ঘরে থেকে কাজের প্রবণতা শুরু হয়েছে ৷ শুধু অফিসের ক্ষেত্রে নয়, পড়ুয়ারাও অনলাইনে ঘর থেকে পড়াশোনা চালাচ্ছে ৷ অনলাইন ক্লাস ও ই-লার্নিংয়ের মাধ্যমে পড়াশোনা করছে পড়ুয়ারা ৷ বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ক্লাস শুরু করে দিয়েছে ৷ এর মধ্যেও দেশের অনেক গ্রাম আছে, যেখানে পড়ুয়ারা অনলাইন ক্লাসের সুবিধা নিতে পারছে না ৷ হিমাচলপ্রদেশের কিন্নর জেলা তার মধ্যে অন্যতম ৷

কিন্নরের পড়ুয়ারা অনলাইন ক্লাসের সুবিধা পাচ্ছে না ৷ সেখানে কোনও স্মার্ট ক্লাসের সুবিধা নেই ৷ অনলাইন ক্লাস ভালোভাবে সংগঠিত করতে গেলে প্রয়োজন হাইস্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা ৷ কিন্তু হিমাচলপ্রদেশের কিন্নর ও রিকাংপিয়ো-তে হাই স্পিড ইন্টারনেট তো দূর, 2G নেটওয়ার্কও ঠিকভাবে আসে না ৷ এর ফলে কয়েকশো পড়ুয়া অনলাইন ক্লাসের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ৷ বিবেক নামে এক পড়ুয়া জানায়, ‘‘আমাদের গ্রামে ঠিকমতো ইন্টারনেট পরিষেবা নেই ৷ অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে আমরা সমস্যায় পড়েছি ৷" হারলিন নামে আর এক পড়ুয়া জানায়, ‘‘গত এক মাস ধরে আমাদের অনলাইন ক্লাস হচ্ছে ৷ কিন্তু ইন্টারনেট পরিষেবা এত নিম্নমানের যে, আমাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে খুব অসুবিধা হচ্ছে ৷’’

হিমাচলপ্রদেশে অনলাইন ক্লাসের সুবিধা পাচ্ছে না পড়ুয়ারা

কিন্নরের বহু পড়ুয়া ভিন রাজ্যে পড়াশোনা করে ৷ লকডাউনের পরে তারা প্রত্যেকে বাড়ি ফিরে এসেছে ৷ এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি অনলাইন ক্লাস চালু করায় সমস্যায় পড়েছে সেখানকার পড়ুয়ারা ৷ পড়ুয়াদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও চিন্তায় পড়েছেন ৷ শান্তা নেগি নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘কিন্নরের বেশিরভাগ জায়গায় হাইস্পিড ইন্টারনেট নেই ৷ আমাদের 2G বা 3G ইন্টারনেট সুবিধা নেই ৷ তাই ভিডিয়ো কল করা সম্ভব হয় না ৷’’ কুনো চরং, রোপা ভ্যালি, ছিটকুল, হ্যাঙ্গো চুলিংয়ের মতো সীমান্তবর্তী এলাকায় অনেকের ইন্টারনেট পরিষেবা নেই ৷ 60 বছর হয়ে গেছে, কিন্তু এখনও কোনও যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ পাশাপাশি লকডাউনে অনেকে আর্থিক সংকটে ভুগছেন ৷ তাই ছেলে-মেয়েদের স্মার্ট ফোন বা ল্যাপটপ কিনে দেওয়ার মতো ক্ষমতা অনেকের নেই ৷ দরিদ্র পরিবারগুলির পড়ুয়ারা বেশি সমস্যায় পড়েছে ৷

স্থানীয় বাসিন্দারা চাইছেন, ইন্টারনেট পরিষেবা ভালো করা হোক ৷ পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চালু হোক স্কুল ৷ জনসংখ্যা কম হওয়ায় কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনাও কম বলে তাঁরা মনে করছেন ৷ কল্পার SDM মেজর অবিন্দর শর্মা জানান, ‘‘এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা দুর্বল ৷ পড়ুয়া ও অভিভাবকরা সমস্যায় পড়েছেন ৷ BSNL ইন্টারনেট পরিষেবা ভালো করার চেষ্টা হচ্ছে ৷’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.