ETV Bharat / bharat

পাঁচ প্রজন্ম ধরে একই নিয়ম, এই পরিবারে 140 জন চিকিৎসক

author img

By

Published : Jun 30, 2020, 11:17 PM IST

Updated : Jul 1, 2020, 6:59 AM IST

1919 সালে প্রথম ডাক্তারি পাশ করেন বোধরাজ সভরওয়াল । তারপর থেকে এই পরিবারের প্রত্যেকেই ডাক্তারিকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন ।

চিকিৎসক
চিকিৎসক

1919 সাল । তখন থেকে একের পর এক প্রজন্ম পেরিয়েছে । কিন্তু এই পরিবার নিজেদের লক্ষ্য থেকে একবিন্দু সরে দাঁড়ায়নি । দেশভাগের আগে পূর্বপুরুষের নেওয়া সংকল্পকে আজও বহন করে চলেছে । আর তারই ফলস্বরূপ একই পরিবারের 140 জন চিকিৎসক ।

দিল্লির সভরওয়াল পরিবার । এই পাঁচ প্রজন্মের মোট 140 জন চিকিৎসক । পরিবারের সকল সদস্যই তাঁদের কেরিয়ার অপশান হিসেবে বেছে নিয়েছেন ডাক্তারি পেশাকেই । তবে এর পিছনে একটি ইতিহাসও রয়েছে । সভরওয়াল পরিবারের লালা জীবনমল সভরওয়াল থেকে এই যাত্রা শুরু । লাহোরে স্টেশন মাস্টার ছিলেন তিনি । একদিন গান্ধিজির ভাষণ শুনে অনুপ্রাণিত হন । মাথায় হাসপাতাল খোলার জেদ চেপে যায় । তারপর নিজের চার ছেলেকে ডাক্তারি পড়ানো শুরু করেন । 1919 সাল । পরিবারে প্রথম ডাক্তারি পাশ করেন বোধরাজ সভরওয়াল । এরপর থেকে ডাক্তার পরিবারের যাত্রা শুরু ।

বাবার পথে হেঁটেই বোধরাজ রীতিমতো নিয়ম বেঁধে দেন । এরপর থেকে সবাই ডাক্তারি নিয়েই পড়াশোনা করবে । এবং বাড়ির প্রতিটি ছেলেকে ডাক্তার মেয়েকেই বিয়ে করতে হবে । দেশ ভাগের পর সভরওয়াল পরিবার লাহোর থেকে দিল্লি চলে আসে । দিল্লিতে এসে পাঁচটি হাসপাতাল তৈরি করে এই পরিবার । লালা জীবনমল সভরওয়ালের নামেই প্রতিটি হাসপাতালের নাম দেওয়া হয় । পরিবারের সদস্য সার্জেন রবিন্দর সভরওয়াল বলেন, "এই রীতি নিয়ে পরিবারে বহু ঝামেলা হয়েছে । নতুন প্রজন্মের ছেলেপুলেরা পরিবারের বেঁধে দেওয়া রীতি মানতে চায়নি । অনেকে ডাক্তারি পেশার সঙ্গে যুক্ত মেয়েদের বিয়ে করতে চায়নি । কিন্তু আলোচনা করে, সবাই বসে সমস্যার সমাধান করেছি ।" ঝামেলা হলে, বহুবার পরিবারের সবাই মিলে গোল টেবিল বৈঠক করতেন । পরিবারের যে সদস্যরা আসতে পারতেন না, তাঁরা ফোনে যোগাযোগে করে নতুনদের বোঝানোর চেষ্টা করতেন । শেষমেশ চিকিৎসক হওয়ার পথেই হাঁটত সবাই । বলছেন, বছর 68-র গাইনেকোলজিস্ট ডা: সুদর্শনা । রবীন্দরের স্ত্রী ।

সভরওয়াল পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মের এক ছেলে এক বায়োকেমিস্টকে বিয়ে করেন । কিন্তু বিয়ের কয়েকবছর পর তাঁর স্ত্রীও ডাক্তারি পড়তে শুরু করেন । "আমি এবাড়িতে আসার পর বহুবার প্রশ্নের মুখে পড়েছি । পাড়া প্রতিবেশী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করত, আমি ডাক্তার নই কেন ? একই প্রশ্ন বারবার শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে যেতাম" । এক সাক্ষাৎকারে একবার মজা করে বলেছিলেন এই পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মের বউমা । গাইনেকোলজিস্ট ডা: শীতল ।

বোধরাজ যখন বেঁচেছিলেন, তখন এই পরিবারে একটা নিয়ম ছিল । মেডিকেল কলেজের ফোর্থ ইয়ারে উঠলেই বাড়ির ছেলে-মেয়েরা বোধরাজের আশীর্বাদ নিতেন । তারপর তাদের প্রত্যেককে একটি নতুন স্টেথোসস্কোপ দিয়ে আশীর্বাদ করা হত। পরিববারের এক সদস্য ডাঃ বিকাশ । অপথালমোলজিস্ট তিনি । বলেন, "আমাদের চিকিৎসক বানানো নেশা হয়ে গেছিল বোধরাজের কাছে । তিনি কলাগাছে ইনজেকশন দিয়ে আমাদের প্র্যাকটিস করাতেন । " এদের পারস্পরিক আলোচনায় প্রতিদিনের লাঞ্চ-ডিনার টেবিলও অনেকটা হাসপাতাল হয়ে উঠত ।

2009 সালে এই খবর প্রথমবার সামনে আসে । এই দশ বছরে নতুন প্রজন্মে প্রবেশ করেছে সভরওয়াল পরিবার । কিন্তু চিকিৎসক হওয়ার রীতি আজও অব্যহত ।

1919 সাল । তখন থেকে একের পর এক প্রজন্ম পেরিয়েছে । কিন্তু এই পরিবার নিজেদের লক্ষ্য থেকে একবিন্দু সরে দাঁড়ায়নি । দেশভাগের আগে পূর্বপুরুষের নেওয়া সংকল্পকে আজও বহন করে চলেছে । আর তারই ফলস্বরূপ একই পরিবারের 140 জন চিকিৎসক ।

দিল্লির সভরওয়াল পরিবার । এই পাঁচ প্রজন্মের মোট 140 জন চিকিৎসক । পরিবারের সকল সদস্যই তাঁদের কেরিয়ার অপশান হিসেবে বেছে নিয়েছেন ডাক্তারি পেশাকেই । তবে এর পিছনে একটি ইতিহাসও রয়েছে । সভরওয়াল পরিবারের লালা জীবনমল সভরওয়াল থেকে এই যাত্রা শুরু । লাহোরে স্টেশন মাস্টার ছিলেন তিনি । একদিন গান্ধিজির ভাষণ শুনে অনুপ্রাণিত হন । মাথায় হাসপাতাল খোলার জেদ চেপে যায় । তারপর নিজের চার ছেলেকে ডাক্তারি পড়ানো শুরু করেন । 1919 সাল । পরিবারে প্রথম ডাক্তারি পাশ করেন বোধরাজ সভরওয়াল । এরপর থেকে ডাক্তার পরিবারের যাত্রা শুরু ।

বাবার পথে হেঁটেই বোধরাজ রীতিমতো নিয়ম বেঁধে দেন । এরপর থেকে সবাই ডাক্তারি নিয়েই পড়াশোনা করবে । এবং বাড়ির প্রতিটি ছেলেকে ডাক্তার মেয়েকেই বিয়ে করতে হবে । দেশ ভাগের পর সভরওয়াল পরিবার লাহোর থেকে দিল্লি চলে আসে । দিল্লিতে এসে পাঁচটি হাসপাতাল তৈরি করে এই পরিবার । লালা জীবনমল সভরওয়ালের নামেই প্রতিটি হাসপাতালের নাম দেওয়া হয় । পরিবারের সদস্য সার্জেন রবিন্দর সভরওয়াল বলেন, "এই রীতি নিয়ে পরিবারে বহু ঝামেলা হয়েছে । নতুন প্রজন্মের ছেলেপুলেরা পরিবারের বেঁধে দেওয়া রীতি মানতে চায়নি । অনেকে ডাক্তারি পেশার সঙ্গে যুক্ত মেয়েদের বিয়ে করতে চায়নি । কিন্তু আলোচনা করে, সবাই বসে সমস্যার সমাধান করেছি ।" ঝামেলা হলে, বহুবার পরিবারের সবাই মিলে গোল টেবিল বৈঠক করতেন । পরিবারের যে সদস্যরা আসতে পারতেন না, তাঁরা ফোনে যোগাযোগে করে নতুনদের বোঝানোর চেষ্টা করতেন । শেষমেশ চিকিৎসক হওয়ার পথেই হাঁটত সবাই । বলছেন, বছর 68-র গাইনেকোলজিস্ট ডা: সুদর্শনা । রবীন্দরের স্ত্রী ।

সভরওয়াল পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মের এক ছেলে এক বায়োকেমিস্টকে বিয়ে করেন । কিন্তু বিয়ের কয়েকবছর পর তাঁর স্ত্রীও ডাক্তারি পড়তে শুরু করেন । "আমি এবাড়িতে আসার পর বহুবার প্রশ্নের মুখে পড়েছি । পাড়া প্রতিবেশী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করত, আমি ডাক্তার নই কেন ? একই প্রশ্ন বারবার শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে যেতাম" । এক সাক্ষাৎকারে একবার মজা করে বলেছিলেন এই পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মের বউমা । গাইনেকোলজিস্ট ডা: শীতল ।

বোধরাজ যখন বেঁচেছিলেন, তখন এই পরিবারে একটা নিয়ম ছিল । মেডিকেল কলেজের ফোর্থ ইয়ারে উঠলেই বাড়ির ছেলে-মেয়েরা বোধরাজের আশীর্বাদ নিতেন । তারপর তাদের প্রত্যেককে একটি নতুন স্টেথোসস্কোপ দিয়ে আশীর্বাদ করা হত। পরিববারের এক সদস্য ডাঃ বিকাশ । অপথালমোলজিস্ট তিনি । বলেন, "আমাদের চিকিৎসক বানানো নেশা হয়ে গেছিল বোধরাজের কাছে । তিনি কলাগাছে ইনজেকশন দিয়ে আমাদের প্র্যাকটিস করাতেন । " এদের পারস্পরিক আলোচনায় প্রতিদিনের লাঞ্চ-ডিনার টেবিলও অনেকটা হাসপাতাল হয়ে উঠত ।

2009 সালে এই খবর প্রথমবার সামনে আসে । এই দশ বছরে নতুন প্রজন্মে প্রবেশ করেছে সভরওয়াল পরিবার । কিন্তু চিকিৎসক হওয়ার রীতি আজও অব্যহত ।

Last Updated : Jul 1, 2020, 6:59 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.