দিল্লি, 6 এপ্রিল : কংগ্রেসের ন্যায় (NAYA) বা ন্যূনতম আয়ের গ্যারান্টি প্রতিশ্রুতি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কথা বলে আদর্শ আচরণবিধি ভেঙেছেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার। গতকাল একথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজীব কুমারের শোকজ়ের জবাব সন্তুষ্ট করতে পারেনি কমিশনকে। তাঁর যাবতীয় যুক্তিকে খারিজ করা হয়েছে।
কুমারকে চিঠিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, "কমিশন আপনার বক্তব্য বিবেচনা করেছে এবং তা সন্তোষজনক বলে মনে হয়নি।" চিঠিটি আরও বলা হয়েছে, "সরকারি কর্মচারীদের কেবল আচরণেই নিরপেক্ষ হলে হবে না, তাঁদের প্রকাশ্যে মন্তব্য করার ক্ষেত্রেও নিরপেক্ষ থাকতে হবে।" রাজীব কুমারের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে কমিশন লিখেছে, "আপনার মন্তব্যের জন্য কমিশন অসন্তোষ প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ভবিষ্যতে সতর্কতা অবলম্বন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।"
লোকসভা নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিতে গিয়ে রাহুল ঘোষণা করেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে ন্যূনতম আয়ের গ্যারান্টি দেবে সরকার। প্রিয়াঙ্কা গান্ধি এই প্রকল্পের নাম দিয়েছেন 'ন্যায়' (ন্যূনতম আয় যোজনা)। রাহুলের প্রতিশ্রুতি, দেশের ২০ শতাংশ গরিব পরিবারকে বছরে ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হবে। আর তা শুনেই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে টুইট করেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার। তাঁর বক্তব্য, "প্রস্তাবিত ইনকাম গ্যারান্টি স্কিমে কাজ না করার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত হবে জনগণ এবং আর্থিক শৃঙ্খলায় ফাটল ধরবে।"
অন্য একটি টুইটে রাজীব কুমার দাবি করেন যে, "নির্বাচনে জিততে চাঁদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতির রেকর্ড পূর্বে রয়েছে এটা সত্য। কংগ্রেসের সভাপতি একটি প্রকল্প ঘোষণা করেছেন যা আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখবে না, কাজের বিরুদ্ধে অনুপ্রেরণা জোগাবে। এছাড়া এটা কখনও কার্যকর করাও হবে না।"
নির্বাচন কমিশনকে জবাবে রাজীব কুমার জানান, তিনি অর্থনীতিবিদ হিসেবে কংগ্রেসের এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেন। নীতি আয়োগের কেউ হিসেবে নয়। তিনি জানান, তাঁর এই মন্তব্য নীতি আয়োগের অবস্থান হিসাবে বিবেচিত করা ঠিক নয়। যদিও এই জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। তাই তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে।