ETV Bharat / bharat

মানচিত্র পরিবর্তন : সংবিধান সংশোধনী বিল পাস নেপালের পার্লামেন্টে

নিম্নকক্ষের পর এবার নেপালের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষেও পাস হয়ে গেল মানচিত্র পরিবর্তন সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিল । দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কে কতটা প্রভাব পড়তে চলেছে আগামীদিনে ?

ভারত-নেপাল
ভারত-নেপাল
author img

By

Published : Jun 18, 2020, 4:22 PM IST

কাঠমান্ডু, 18 জুন : নেপাল পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে পাস হয়ে গেল সংবিধান সংশোধনী বিল । ফলে নেপালের নতুন মানচিত্র তৈরির পথ আরও সুগম হল । গতমাসে নেপালের নতুন যে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে ভারতের মূল ভূখণ্ডের বেশ কিছু এলাকা নেপালের সীমানার অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করা হয় । সীমান্তের কালাপানি, লিপুলেখ পাস, লিম্পিয়াধুরা-সহ বেশকিছু এলাকা যা ভারতের অন্তর্ভুক্ত, তা নেপালের বলে দাবি করা হয়েছিল মানচিত্রে ।

কিছুদিন আগেই (13 জুন) নেপালের পার্লামেন্টে বিশেষ অধিবেশন চলাকালীন নিম্নকক্ষে মানচিত্র পরিবর্তন সংক্রান্ত সাংবিধানিক সংশোধনী বিলের পক্ষে ও বিপক্ষে মত নেওয়া হয় । সেখানেও নতুন মানচিত্রের পক্ষে মত এসেছিল । দিল্লি থেকে নেপালের এই মানচিত্র পরিবর্তনের বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল । নেপাল পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বিল পাস হওয়ার পরেও দিল্লি থেকে একই বার্তা দেওয়া হয়েছিল । আজ উচ্চকক্ষে এই বিল পাস হওয়ায় নেপালের পার্লামেন্টের সিলমোহর মিলল নতুন মানচিত্রে ।

গতমাসে নেপালের তরফে যে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে সীমান্ত সংলগ্ন ভারতীয় ভূখণ্ডের পার্বত্য এলাকার বেশ কিছু এলাকা নিজেদের বলে দাবি করা হয় । এই নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ভারত সরকার । দিল্লির তরফে বলা হয়েছিল, "নেপালের এই মানচিত্রের কোনও ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই এবং একতরফাভাবে এই মানচিত্র তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।" এদিকে নেপালের বর্তমান বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেস জানিয়েছিল, তারা সংশোধনী বিলের পক্ষেই মত জানাবে । গতমাসে যে মানচিত্র তৈরি করা হয়েছিল তাতে, কালাপানি, লিপুলেখ পাস ও লিম্পিয়াধুরাসহ কালী নদীর পূর্বপাড়ের বেশ কিছু এলাকা নেপালের ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । এই এলাকাগুলি কূটনৈতিকভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ । 1962 সালের ভারত-চিন যুদ্ধের পর থেকে এই এলাকাগুলির কূটনৈতিক গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে ।

নেপালের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সদস্য সংখ্যা 275 । কোনও বিল পাস করাতে দুই তৃতীয়াংশের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন । সেখানে কোনওরকম বাধা ছাড়াই পাস হয়ে গেছিল সংবিধান সংশোধনী বিল । এরপর বিলটি উচ্চকক্ষ অর্থাৎ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ওঠে । আজ সেখানেও একই পদ্ধতিতে বিলটি পাস হয় । ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বিলটি পাস হওয়ায় নেপালের নতুন মানচিত্রের জন্য সংবিধান সংশোধনী বিলে কার্যত সিলমোহর দিয়ে দিল নেপালের পার্লামেন্ট । এবার শুধু নেপালের প্রেসিডেন্টের সম্মতির অপেক্ষা ।

যদিও ভারতীয় সেনার তরফে বারবার বলা হচ্ছে, দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং তা কোনওভাবেই ক্ষুন্ন হবে না । নিম্নকক্ষে যেদিন বিলটি পাস হয়েছিল, সেদিনই ভারতীয় সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে বলেছিলেন "নেপালের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো । আমাদের মধ্যে ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক মেলবন্ধন রয়েছে । দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যেও সুসম্পর্ক রয়েছে । ভারত-নেপাল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বরাবরই ভালো এবং আগামী দিনেও তেমনই থাকবে ।"

গতমাসের 8 তারিখে উত্তরাখণ্ডের ধারচুলা থেকে লিপুলেখ পাস পর্যন্ত প্রায় 80 কিলোমিটার লম্বা একটি নতুন সড়ক যোগাযোগের কাজ শুরু হয় । আনুষ্ঠানিকভাবে রাস্তার কাজ শুরু হওয়ার দিন উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং । এই নতুন সড়কপথ কূটনৈতিকভাবে ও কৌশলগতভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ । সেই সময় থেকেই নেপাল প্রতিবাদ করতে শুরু করে । নেপালের তরফে বলা হয়, ওই রাস্তাটি নেপালের ভূখণ্ডের ভিতর দিয়ে যাচ্ছে । এর কিছুদিন পরেই নেপাল নিজস্ব মানচিত্র প্রকাশ করে, যেখানে কালাপানি, লিপুলেখ পাস, লিম্পিয়াধুরাসহ বেশ কিছু এলাকা নেপালের বলে দাবি করা হয় ।

কাঠমান্ডু, 18 জুন : নেপাল পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে পাস হয়ে গেল সংবিধান সংশোধনী বিল । ফলে নেপালের নতুন মানচিত্র তৈরির পথ আরও সুগম হল । গতমাসে নেপালের নতুন যে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে ভারতের মূল ভূখণ্ডের বেশ কিছু এলাকা নেপালের সীমানার অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করা হয় । সীমান্তের কালাপানি, লিপুলেখ পাস, লিম্পিয়াধুরা-সহ বেশকিছু এলাকা যা ভারতের অন্তর্ভুক্ত, তা নেপালের বলে দাবি করা হয়েছিল মানচিত্রে ।

কিছুদিন আগেই (13 জুন) নেপালের পার্লামেন্টে বিশেষ অধিবেশন চলাকালীন নিম্নকক্ষে মানচিত্র পরিবর্তন সংক্রান্ত সাংবিধানিক সংশোধনী বিলের পক্ষে ও বিপক্ষে মত নেওয়া হয় । সেখানেও নতুন মানচিত্রের পক্ষে মত এসেছিল । দিল্লি থেকে নেপালের এই মানচিত্র পরিবর্তনের বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল । নেপাল পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বিল পাস হওয়ার পরেও দিল্লি থেকে একই বার্তা দেওয়া হয়েছিল । আজ উচ্চকক্ষে এই বিল পাস হওয়ায় নেপালের পার্লামেন্টের সিলমোহর মিলল নতুন মানচিত্রে ।

গতমাসে নেপালের তরফে যে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে সীমান্ত সংলগ্ন ভারতীয় ভূখণ্ডের পার্বত্য এলাকার বেশ কিছু এলাকা নিজেদের বলে দাবি করা হয় । এই নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ভারত সরকার । দিল্লির তরফে বলা হয়েছিল, "নেপালের এই মানচিত্রের কোনও ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই এবং একতরফাভাবে এই মানচিত্র তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।" এদিকে নেপালের বর্তমান বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেস জানিয়েছিল, তারা সংশোধনী বিলের পক্ষেই মত জানাবে । গতমাসে যে মানচিত্র তৈরি করা হয়েছিল তাতে, কালাপানি, লিপুলেখ পাস ও লিম্পিয়াধুরাসহ কালী নদীর পূর্বপাড়ের বেশ কিছু এলাকা নেপালের ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । এই এলাকাগুলি কূটনৈতিকভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ । 1962 সালের ভারত-চিন যুদ্ধের পর থেকে এই এলাকাগুলির কূটনৈতিক গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে ।

নেপালের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সদস্য সংখ্যা 275 । কোনও বিল পাস করাতে দুই তৃতীয়াংশের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন । সেখানে কোনওরকম বাধা ছাড়াই পাস হয়ে গেছিল সংবিধান সংশোধনী বিল । এরপর বিলটি উচ্চকক্ষ অর্থাৎ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ওঠে । আজ সেখানেও একই পদ্ধতিতে বিলটি পাস হয় । ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বিলটি পাস হওয়ায় নেপালের নতুন মানচিত্রের জন্য সংবিধান সংশোধনী বিলে কার্যত সিলমোহর দিয়ে দিল নেপালের পার্লামেন্ট । এবার শুধু নেপালের প্রেসিডেন্টের সম্মতির অপেক্ষা ।

যদিও ভারতীয় সেনার তরফে বারবার বলা হচ্ছে, দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং তা কোনওভাবেই ক্ষুন্ন হবে না । নিম্নকক্ষে যেদিন বিলটি পাস হয়েছিল, সেদিনই ভারতীয় সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে বলেছিলেন "নেপালের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো । আমাদের মধ্যে ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক মেলবন্ধন রয়েছে । দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যেও সুসম্পর্ক রয়েছে । ভারত-নেপাল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বরাবরই ভালো এবং আগামী দিনেও তেমনই থাকবে ।"

গতমাসের 8 তারিখে উত্তরাখণ্ডের ধারচুলা থেকে লিপুলেখ পাস পর্যন্ত প্রায় 80 কিলোমিটার লম্বা একটি নতুন সড়ক যোগাযোগের কাজ শুরু হয় । আনুষ্ঠানিকভাবে রাস্তার কাজ শুরু হওয়ার দিন উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং । এই নতুন সড়কপথ কূটনৈতিকভাবে ও কৌশলগতভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ । সেই সময় থেকেই নেপাল প্রতিবাদ করতে শুরু করে । নেপালের তরফে বলা হয়, ওই রাস্তাটি নেপালের ভূখণ্ডের ভিতর দিয়ে যাচ্ছে । এর কিছুদিন পরেই নেপাল নিজস্ব মানচিত্র প্রকাশ করে, যেখানে কালাপানি, লিপুলেখ পাস, লিম্পিয়াধুরাসহ বেশ কিছু এলাকা নেপালের বলে দাবি করা হয় ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.