রত্লমের চিকিৎসক লীলা জোশিকে মানুষ রত্লম "মাদার টেরেজ়া অব মারওয়া" নামেই বেশি চেনেন । প্রত্যন্ত এলাকায় আদিবাসীদের মধ্যে থেকে তিনি মহিলাদের রক্তাল্পতা, অর্থাৎ অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ নিয়ে লাগাতার প্রচার চালান । অ্যানিমিয়ার রোগীদের তিনি শুধু নিখরচায় চিকিৎসা করেই থেমে থাকেন না, 82 বছরের এই অক্লান্ত সৈনিক এই রোগের ভয়ঙ্কর দিক ও তার প্রভাব নিয়ে ক্রমাগত প্রচার চালান । অ্যানিমিয়ার বিরুদ্ধে এই সামাজিক যুদ্ধের পুরস্কার এবং স্বীকৃতি হিসাবে তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ।
ETV ভারতের সঙ্গে এক্সক্লুসিভ কথোপকথনের সময় চিকিৎসক জোশি শুধুমাত্র মহিলাদের স্বাস্থ্যের গুরুত্বের কথা নিয়েই আলোচনা করেননি, তিনি তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং মহিলাদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় সরকারি প্রচার নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন । তিনি এমন একটি বিষয়ে আলোচনা করেছেন, যা সবাইকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে ।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অতুলনীয় অবদান
1997 সালে চিকিৎসক লীলা জোশির একবার মাদার টেরেজ়ার সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগ হয়েছিল । তাঁর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি আদিবাসী এলাকায় মহিলাদের জন্য ক্যাম্প তৈরি করেন এবং অ্যনিমিয়া আক্রান্ত মহিলাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করতে শুরু করেন । তাঁর নিরলস শ্রম এবং অতুলনীয় অবদানের জন্য 2015 সালে নারী ও শিশু সুরক্ষামন্ত্রকের তরফে একশো জন প্রভাবশালী মহিলার তালিকায় তাঁকে রাখা হয় । এরপর এই বছর তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করা হচ্ছে ।
নিষিদ্ধ পল্লির অন্ধকার থেকে সমাজের আলোয় হাজারো মহিলা, লড়াই জারি সৌরিয়ার
‘সরকারি প্রকল্পগুলি সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে হবে’
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক লীলা জোশি রেলের চিফ মেডিকেল ডিরেক্টর পদ থেকে অবসর নিয়েছেন অনেকদিন । তাঁর মতে, সরকার দেশের মানুষের জন্য সর্বদাই বিভিন্ন প্রকল্প আনে, কিন্তু সেগুলি যতটা ভালোভাবে প্রয়োগ করা উচিত, কার্যক্ষেত্রে বেশিরভাগ প্রকল্পের সঠিক প্রয়োগ হয় না । এর প্রতিকার হিসেবে তিনি ফলাফল ভিত্তিক প্রকল্পের সুপারিশ করেন । সমাজের উচ্চশ্রেণিকে সামাজিক কাজে আরও বেশি করে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি ।
বীজ সংগ্রহ করে পদ্মশ্রী প্রকৃতি 'পূজারি' কমলার
নিজেদের স্বাস্থ্যের যত্ন মহিলাদের নিজেদেরই নিতে হবে
সমাজের সবস্তরের মহিলাদের উদ্দেশে এই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ, মহিলাদের শুধুমাত্র নিজের পরিবারের নয়, নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকেও বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে । নিজের যত্ন করতে হবে । তাঁদের মেয়েদের ভালো ও পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে, যাতে তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয় ।