দিল্লি, 6 জানুয়ারি : জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় আজ বৈঠক করেন কেন্দ্রের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক (HRD) ৷ বৈঠকের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রোক্টর, রেক্টরকে সচিবালয়ে ডাকা হয় ৷ বৈঠক শেষে JNU-র চিফ প্রক্টর ধনঞ্জয় সিং জানান, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে বিশ্ববিদ্যালয়ে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটেছে । সচিবালয়ে আজ আমাদের সঙ্গে সদর্থক আলোচনা হয়েছে । পরিস্থিতি যাতে দ্রুত স্বাভাবিক হয় তার চেষ্টা চলছে । এদিকে গতকালের ঘটনায় বসন্তকুঞ্জ থানায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ ।
গতকাল সন্ধ্যায় দুষ্কৃতী হামলায় আক্রান্ত হন JNU ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ । অধ্যাপকদেরও মারধর করা হয় । জখম হয়েছেন অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন । জখম কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীও । পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা । JNU-এ দুষ্কৃতী হামলায় IG-স্তরে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । দিল্লি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলার পর এই নির্দেশ দেন তিনি ।
এই হামলায় ABVP-র বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে । JNU-র ছাত্র সংসদের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে লেখা হয়, 'যে অধ্যাপকরা আমাদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদেরও মারধর করে ABVP আশ্রিত গুন্ডারা । তাদের মুখ ঢাকা ছিল । ' পড়ুয়াদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন রাহুল গান্ধি থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ প্রত্যেকে ৷ JNU-র পড়ুয়াদের দাবি,সন্ধ্যায় হস্টেলে ঢুকে লাঠি-রড উঁচিয়ে ছাত্রছাত্রীদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় । তারপর দুষ্কৃতীরা পড়ুয়াদের উপরে হামলা চালায় । বাদ পড়েননি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকারাও । ভাঙচুর করা হয় হস্টেলে । পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে পড়ুয়াদের তরফে ৷
নাগরিকত্ব সংশোধনী (2019) আইন ইশুসহ একাধিক বিষয়ে বারবার আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছে এই বিশ্ববিদ্যালয় ৷ শাসক দলের কোপের মুখে পড়েছেন প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা ৷ সম্প্রতি CAA ইশুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ৷ ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের মারধরের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে ৷ সেইসময়ও জামিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা৷