দিল্লি, 25 জানুয়ারি : পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী বিন্ত সিংয়ের খুনের ঘটনায় দোষীসাব্য়স্ত বলওয়ান্ত সিং রাজোনার ভাগ্য় নির্ধারণের জন্য় কেন্দ্রকে শেষবারের মতো দু‘সপ্তাহের সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ এই সময়ের মধ্য়েই নয়াদিল্লিকে স্থির করতে হবে, ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত বলওয়ান্তের প্রাণভিক্ষার আবেদন আদৌ গ্রাহ্য় করা হবে কি না৷
এর আগে, 4 ডিসেম্বরের শুনানিতেও এ বিষয়ে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শীর্ষ আদালত৷ 2019 সালের সেপ্টেম্বর মাসে পঞ্জাব সরকারকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৷ তাতে গোটা বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল৷ যার প্রেক্ষিতে গুরুনানকের জন্মজয়ন্তীতে রাজোনার মৃত্য়ুদণ্ড লঘু করার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়৷ বিষয়টি আদালতেরও নজরে আসে৷
সোমবার সলিসিটর জেনেরাল তুষার মেহতা জানান, গোটা বিষয়টি এখনও কেন্দ্রের বিবেচনাধীন রয়েছে৷ তবে খুব শীঘ্রই এ ব্য়াপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের কী প্রভাব পড়ে, তাও খতিয়ে দেখা দরকার৷ তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য় কেন্দ্রের হয়ে আরও তিন সপ্তাহের সময় চেয়ে নেন সলিসিটর জেনারেল৷
প্রধান বিচারপিত এসএ বোবদে, বিচারপতি এএস বোপান্না এবং ভি রামসুব্রামনিয়ান অবশ্য় তিন সপ্তাহ সময় দিতে রাজি হননি৷ তাঁদের বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, যা কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেন্দ্রকে আগামী দু‘সপ্তাহের মধ্য়েই নিতে হবে৷
অন্য়দিকে রাজোনার আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল 25 বছর ধরে জেলবন্দী৷ প্রাণভিক্ষার আবেদনটিও বিবেচনাধীন রয়েছে গত 9 বছর ধরে৷ এই অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব মামলার নিষ্পত্তি করতে চাইছেন তাঁরা৷
আরও পড়ুন: রাজভবনের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবকে তলবের নির্দেশ প্রত্যাহার হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, পঞ্জাব পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন রাজোনা৷ 1995 সালের 31 অগাস্ট চণ্ডীগড়ে রাজ্য় সচিবালয়ের বাইরে একটি বিস্ফোরণ হয়৷ তাতে বিন্ত সিং-সহ মোট 17 জনের প্রাণ যায়৷ পরে সেই ঘটনায় দোষী সাব্য়স্ত হন রাজোনা৷ 2007 সালের জুলাই মাসে তাঁকে মৃত্য়ুদণ্ড দেয় চণ্ডীগড় আদালত৷ পরবর্তীতে 2010 সালে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টও তাতে সায় দেয়৷