ETV Bharat / bharat

গুন্ডিচায় জগন্নাথের মাসির বাড়ি যাত্রার ইতিবৃত্ত - পুরীর রথযাত্রা

পুরীর রথযাত্রা । জগন্নাথ দেবের প্রধান মন্দির থেকে গুন্ডিচায় মাসির বাড়ি রওনা । যা সুন্দর বাগানের মধ্যে অবস্থিত । চারিদিকে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা । প্রধান মন্দির থেকে 3 কিমি দূরে অবস্থিত গুন্ডিচা ।

Know all about Lord Jagannaths annual visit to Gundicha temple
পুরীর রথযাত্রা
author img

By

Published : Jun 23, 2020, 8:27 AM IST

পুরী, 23 জুন : গুন্ডিচা মন্দির । প্রভু জগন্নাথ দেবের জন্মস্থান ও মাসির বাড়ি হিসাবে অতি জনপ্রিয় । পুরীর জগন্নাথ দেবের প্রধান মন্দির থেকে মাত্র 3 কিমি দূরে অবস্থিত ।

পুরীর রাজপথ তথা বড় দণ্ডের দুই প্রান্তে অবস্থিত জগন্নাথ দেবের প্রধান মন্দির ও মাসির বাড়ি গুন্ডিচা । গুন্ডিচার মন্দিরটি ফুলের বাগানের মাঝে । চারিদিকে উঁচু পাচিল দিয়ে ঘেরা ।

জগন্নাথ দেবের প্রধান মন্দিরটির গর্ভগৃহটি ক্লোরাইটের তৈরি সমতল । যা রত্নবেদী নামে পরিচিত । একমাত্র বার্ষিক উৎসবে রত্নবেদীতে আনা হয় প্রভু জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার বিগ্রহকে ।

এছাড়া প্রধান মন্দিরে দুটি ফটক রয়েছে । একটি পশ্চিম দিকে ও অপরটি পূর্বে । রথযাত্রার সময় দেবদেবীর বিগ্রহকে পশ্চিম দিকের ফটক দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করানো হয় । তারপর পূর্ব দিকের নাকাচানা ফটক দিয়ে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় ।

রথযাত্রার প্রথম দিনে জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা 3টি রথে চেপে প্রধান মন্দির থেকে মাসির বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন । সুন্দর সাজানো রথে ।

বেলা শেষ হওয়ার আগেই 3 কিমি অতিক্রান্ত করে গুন্ডিচায় মাসির বাড়ি পৌঁছায় তিন রথ । বড় দণ্ড দিয়ে ভক্তেরা মহা সমারোহে তিন দেবদেবীকে মাসির বাড়ি পৌঁছে দেয় । তারপর মাসির বাড়িতেই জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা সাত দিন থাকেন ।

ETV ভারতের মুখোমুখি হয়ে পূজারি শরৎ মহান্তি বলেন, "রথ যাত্রাতেই প্রভু জগন্নাথ নয় দিনের জন্য বার্ষিক ভ্রমণে বের হন । শ্রীমন্দির থেকে প্রভু জগন্নাথ, তাঁর বড় ভাই বলরাম ও বোন সুভদ্রা গুন্ডিচা মন্দিরে যান । বিশ্বাস করা হয় যে যদি গুন্ডিচা মন্দিরে প্রভুকে কোনও ভক্ত দেখতে পায় তবে তার শত জন্মের সমস্ত পাপ ধুয়ে মুছে যাবে ।"

অপর পূজারি নরসিংহ সিনহারি বলেন, "পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রবর্তক রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের পত্নী হলেন গুন্ডিচা । রানি গুন্ডিচার প্রতি গভীর ভক্তির কারণে প্রভু জগন্নাথ দেব রথে করে তাঁর বাড়িতে নয় দিনের জন্য বেড়াতে আসতেন । বিশ্বাস যে মাসি তিন ভাইবোনকে সাদরে গ্রহণ করতেন । এবং পোড়াপিঠা নামে এক বিশেষ খাদ্যের আয়োজন করতেন । চালের তৈরি এই পিঠা পোড়াপিঠা নামে পরিচিত । প্রভু জগন্নাথ প্রধান মন্দিরে যেভাবে সারা বছর পূজিত হন, ঠিক সেভাবেই বার্ষিক যান উৎসবের সময়ে পূজিত হন গুন্ডিচাতেও ।"

রীতি অনুযায়ী, প্রভু জগন্নাথ দেবের গুন্ডিচায় থাকাকালীন প্রধান মন্দিরের রান্নাঘরে মহাপ্রসাদ তৈরি হয় না । গুন্ডিচা মন্দিরের রান্নাঘর সারানো হয় এবং সেখানে মহাপ্রসাদ তৈরি করার আয়োজন করা হয় । গুন্ডিচাতেই প্রভু জগন্নাথ দেবের মহাপ্রসাদ ভোগ দেওয়া হয় । উৎসব শেষের আগের দিন সন্ধ্যায় প্রার্থনার আয়োজন করা হয় । যা এই উৎসবে সন্ধ্যা দর্শন নামে পরিচিত ।

এই দিনটি অত্যন্ত শুভ দিন । প্রভু জগন্নাথের দর্শন পাওয়া অত্যন্ত শুভ হিসেবে বিবেচিত হয় । হাজার হাজার ভক্তেরা প্রভু জগন্নাথের দর্শন করতে আসেন এবং মহাপ্রসাদ গ্রহণ করেন । গুন্ডিচায় 7 দিন কাটিয়ে প্রধান মন্দিরে ফেরার পালা শুরু হয় প্রভু জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার ।

পুরী, 23 জুন : গুন্ডিচা মন্দির । প্রভু জগন্নাথ দেবের জন্মস্থান ও মাসির বাড়ি হিসাবে অতি জনপ্রিয় । পুরীর জগন্নাথ দেবের প্রধান মন্দির থেকে মাত্র 3 কিমি দূরে অবস্থিত ।

পুরীর রাজপথ তথা বড় দণ্ডের দুই প্রান্তে অবস্থিত জগন্নাথ দেবের প্রধান মন্দির ও মাসির বাড়ি গুন্ডিচা । গুন্ডিচার মন্দিরটি ফুলের বাগানের মাঝে । চারিদিকে উঁচু পাচিল দিয়ে ঘেরা ।

জগন্নাথ দেবের প্রধান মন্দিরটির গর্ভগৃহটি ক্লোরাইটের তৈরি সমতল । যা রত্নবেদী নামে পরিচিত । একমাত্র বার্ষিক উৎসবে রত্নবেদীতে আনা হয় প্রভু জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার বিগ্রহকে ।

এছাড়া প্রধান মন্দিরে দুটি ফটক রয়েছে । একটি পশ্চিম দিকে ও অপরটি পূর্বে । রথযাত্রার সময় দেবদেবীর বিগ্রহকে পশ্চিম দিকের ফটক দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করানো হয় । তারপর পূর্ব দিকের নাকাচানা ফটক দিয়ে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় ।

রথযাত্রার প্রথম দিনে জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা 3টি রথে চেপে প্রধান মন্দির থেকে মাসির বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন । সুন্দর সাজানো রথে ।

বেলা শেষ হওয়ার আগেই 3 কিমি অতিক্রান্ত করে গুন্ডিচায় মাসির বাড়ি পৌঁছায় তিন রথ । বড় দণ্ড দিয়ে ভক্তেরা মহা সমারোহে তিন দেবদেবীকে মাসির বাড়ি পৌঁছে দেয় । তারপর মাসির বাড়িতেই জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা সাত দিন থাকেন ।

ETV ভারতের মুখোমুখি হয়ে পূজারি শরৎ মহান্তি বলেন, "রথ যাত্রাতেই প্রভু জগন্নাথ নয় দিনের জন্য বার্ষিক ভ্রমণে বের হন । শ্রীমন্দির থেকে প্রভু জগন্নাথ, তাঁর বড় ভাই বলরাম ও বোন সুভদ্রা গুন্ডিচা মন্দিরে যান । বিশ্বাস করা হয় যে যদি গুন্ডিচা মন্দিরে প্রভুকে কোনও ভক্ত দেখতে পায় তবে তার শত জন্মের সমস্ত পাপ ধুয়ে মুছে যাবে ।"

অপর পূজারি নরসিংহ সিনহারি বলেন, "পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রবর্তক রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের পত্নী হলেন গুন্ডিচা । রানি গুন্ডিচার প্রতি গভীর ভক্তির কারণে প্রভু জগন্নাথ দেব রথে করে তাঁর বাড়িতে নয় দিনের জন্য বেড়াতে আসতেন । বিশ্বাস যে মাসি তিন ভাইবোনকে সাদরে গ্রহণ করতেন । এবং পোড়াপিঠা নামে এক বিশেষ খাদ্যের আয়োজন করতেন । চালের তৈরি এই পিঠা পোড়াপিঠা নামে পরিচিত । প্রভু জগন্নাথ প্রধান মন্দিরে যেভাবে সারা বছর পূজিত হন, ঠিক সেভাবেই বার্ষিক যান উৎসবের সময়ে পূজিত হন গুন্ডিচাতেও ।"

রীতি অনুযায়ী, প্রভু জগন্নাথ দেবের গুন্ডিচায় থাকাকালীন প্রধান মন্দিরের রান্নাঘরে মহাপ্রসাদ তৈরি হয় না । গুন্ডিচা মন্দিরের রান্নাঘর সারানো হয় এবং সেখানে মহাপ্রসাদ তৈরি করার আয়োজন করা হয় । গুন্ডিচাতেই প্রভু জগন্নাথ দেবের মহাপ্রসাদ ভোগ দেওয়া হয় । উৎসব শেষের আগের দিন সন্ধ্যায় প্রার্থনার আয়োজন করা হয় । যা এই উৎসবে সন্ধ্যা দর্শন নামে পরিচিত ।

এই দিনটি অত্যন্ত শুভ দিন । প্রভু জগন্নাথের দর্শন পাওয়া অত্যন্ত শুভ হিসেবে বিবেচিত হয় । হাজার হাজার ভক্তেরা প্রভু জগন্নাথের দর্শন করতে আসেন এবং মহাপ্রসাদ গ্রহণ করেন । গুন্ডিচায় 7 দিন কাটিয়ে প্রধান মন্দিরে ফেরার পালা শুরু হয় প্রভু জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.