ETV Bharat / bharat

শীতে শরীর উষ্ণ রাখতে পথ্য যোগাসন এবং গরম খাবার

শীতে স্বাস্থ্যকর শরীরের জন্য কোন যোগাসনটি সবচেয়ে উপকারী ? কী খাওয়া উচিত এবং কী ধরনের খাবার আপনার শরীরকে উষ্ণ রাখতে পারে ? জেনে নিন

author img

By

Published : Dec 15, 2020, 11:13 AM IST

যোগাসন
যোগাসন

শীত আমাদের একেবারে অলস করে দিতে পারে । কিন্তু পুরো শীতকাল জুড়ে যদি যোগাসন করা যায়, তাহলে তা খুবই উপকারী হয় । যোগাসন ও ব্যায়াম কীভাবে আপনাকে এই শীতে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করবে ? স্বাস্থ্যকর শরীরের জন্য কোন যোগাসনটি সবচেয়ে উপকারী ? শীতে কী খাওয়া উচিত এবং কী ধরনের খাবার আপনার শরীরকে উষ্ণ রাখতে পারে ?

শীত আসার সঙ্গে সঙ্গেই বাতাস ঠান্ডা ও শুষ্ক হয়ে যায় । আর শরীরে মেটাবলিজম সংক্রান্ত কার্যকারিতায় তার প্রভাব সরাসরি পড়ে । মরসুম বদল হওয়ার সময় যোগাসন ও আয়ুর্বেদকে গ্রহণ করতে জোর দিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয় । সেই কারণেই খাবারের অভ্যাস ও ব্যায়ামে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । নিশীথা বিজলানি, মুম্বইয়ের একজন প্রশিক্ষিত যোগাসন বিশেষজ্ঞ । তিনি জানালেন এই কনকনে ঠান্ডাকে মোকাবিলা করার বিভিন্ন উপায়:

১. আপনার দিন এক গ্লাস গরম জল পান করে শুরু করুন । শীতকালে হজম সংক্রান্ত যে সমস্যাগুলি হয়, তা কাটাতে এবং পেট পরিষ্কার করতে এই গরম জল সাহায্য করবে ।

২. নিম্নে উল্লেখিত যোগাসনগুলি অভ্যাস করতে হবে:

  • কপালভাতি:

কপালভাতিকে শ্বাস-প্রশ্বাসের অগ্নি বলেও জানা যায় । এটা শরীরের মধ্যে থেকে অগ্নি বা আগুনের উপাদানকে বৃদ্ধি করে দেয় । এর ফলে হজম সংক্রান্ত ও শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে । নিয়মিত অভ্যাস করলে ফুসফুসের ফ্রন্টাল লোব পরিষ্কার করে দেয়, টক্সিন বের করে দেয় এবং সাইনাসের উপাদান মুক্ত করে ।

পদ্ধতি:

কোনও মাদুড়ে পাঁ ভাঁজ করে বসুন অথবা চেয়ারে পিঠ সোজা করে বসতে হবে । মূল নজর দিতে হবে নিঃশ্বাস ছাড়ার দিকে । আর শ্বাস গ্রহণের সময় নিষ্ক্রিয় থাকতে হবে । প্রথম রাউন্ডে ২০ বার নিঃশ্বাস ছাড়তে হবে । এর জন্য চোখ ও মুখ বন্ধ করে রাখতে হবে ।

নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় নাকের ও পেটের ব্যবহার করতে হবে সক্রিয় ভাবে । নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় শব্দ করতে হবে । আপনি দেখতে পাবেন যে প্রতিবার নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় স্বাভাবিক ভাবেই পেট ভিতরের দিকে চলে যাচ্ছে । মুখ ও শরীরের বাকি অংশগুলিকে টেনশন মুক্ত রাখতে হবে ।

আপনি ধীরে ধীরে ৫০ বার বা তার বেশি নিঃশ্বাস ছাড়ার বিষয়টিকে বৃদ্ধি করতে পারেন । এটাকে খুব সকালে একেবারে খালি পেটে অভ্যাস করতে হবে । যদি রক্তচাপ উচ্চ হয় তাহলে এই যোগাসন এড়িয়ে চলুন । এছাড়া ঋতুস্রাবের সময় ও গর্ভাবস্থায় এই যোগাসন এড়িয়ে চলা উচিত ।

  • ভস্ত্রিকা:

কপালভাতির মতো একই রকম । ভস্ত্রিকা অভ্যাসের ক্ষেত্রেও সক্রিয় ভাবে নিঃশ্বাস ও প্রশ্বাস নেওয়া-ছাড়া করতে হবে । এটা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে এবং টক্সিন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । এর ফলে ফুসফুসের শক্তি প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায় । আর যিনি যোগাসন করেন তিনি হালকা ও ভারমুক্ত মনে করেন নিজেকে ।

পদ্ধতি:

মাদুড়ের উপর অথবা চেয়ারের উপর আরামদায়ক ভাবে বসতে হবে শুরুতে । শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে হাতের অবস্থা নিচের দিকে নামাতে হবে । নিঃশ্বাস নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাত উপরের দিকে তুলতে হবে । আর নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় হাত দু’টিকে নিচের দিকে ঘুঁষি মারার কায়দায় ছুঁড়তে হবে । নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে হাতের অবস্থানও সঠিক হতে হবে । মনে রাখতে হবে যে নিঃশ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার কাজটা সক্রিয় ভাবে করতে হবে । খালি পেটে খুব সকালে এটা অভ্যাস করতে হবে । যদি রক্তচাপ উচ্চ হয় তাহলে এই যোগাসন এড়িয়ে চলুন । এছাড়া ঋতুস্রাবের সময় ও গর্ভাবস্থায় এই যোগাসন এড়িয়ে চলা উচিত ।

আরও পড়ুন :কামশক্তি হ্রাস পাচ্ছে, আপনার কি চিন্তিত হওয়া উচিত?

  • সুক্সমা ব্যায়াম:

এটা খুব সাধারণ নড়াচড়া করা, যার মাধ্যমে হাড়ের জোড়গুলি সচল থাকে । কনকনে ঠান্ডা আবহাওয়ায় যখন হাড়ের জোড়গুলি খুব শক্ত হয়ে যায়, তখন এইগুলি বিশেষ কাজে লাগে । সুক্সমা ব্যায়াম অভ্যাস করতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগে । হাড়ের জোড়গুলিতে শক্তি চলাচলের যে জড়তা তৈরি হয়, তা কাটাতে এই যোগাসন খুব কার্যকরী হয় । এটা অনুভূতিকে শক্তিশালী করে, মনকে হালকা করে এবং জীবনের কার্যকারিতা ফিরে আসে । এই ব্যায়ামের মধ্যে কয়েকটি হল:

ঘাড়ের ব্যায়াম: ঘাড়কে খুব সহজ ভাবে চারটি দিকে নাড়াতে হবে । উপর, নিচে, বাঁদিকে, ডান দিকে এবং মাঝখানের দিকে আনতে হবে ।

কবজি ঘোরানো: ঘুঁষির মারার ভঙ্গিতে ছুঁড়তে হবে, কাঁধের উচ্চতায় হাতকে সামনের দিকে প্রসারিত করতে হবে । কবজিকে ভিতরের দিকে ও বাইরের দিকে ঘোরাতে হবে ।

পায়ের পাতা ভাঁজ করতে হবে: এটা দাঁড়িয়ে করা যেতে পারে অথবা বসে পা ছড়িয়ে করা যেতে পারে । পায়ের আঙুলগুলিকে প্ল্যান্টার ফ্ল্যাক্সানের দিকে এগিয়ে দিতে হবে । তার পর ডরসি ফ্লেক্সনের দিকে আঙুলগুলিকে ঘোরাতে হবে । এরপর গোড়ালি থেকে তা নাড়াতে হবে ।

ধনুরাসন:ধনুরাসন হল পিছন দিকে শরীরকে বাঁকানো । এটা ধনুকের মতো অবস্থানও বলা হয় । এটা শুধুমাত্র মেরুদণ্ডকে খুলতেই সাহায্য করে না । কিন্তু একই সঙ্গে এটার মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস ও হজম সংক্রান্ত সমস্যাও কাটিয়ে দেয় । এটা পুরো শরীরকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে । এছাড়া সমস্ত জড়তাকে কাটিয়ে তুলতে সাহায্য করবে । এটা মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে মুক্তভাব এনে দেয় ।

পদ্ধতি:

উপুড় হওয়ার অবস্থানে মাদুড়ের উপর শুয়ে পড়তে হবে । হাঁটু ভাঁজ করুন এবং পায়ের পাতার বাইরের অংশ ধরুন । পায়ের শক্তির উপর নির্ভর করে বুকটা উপর দিকে তোলার চেষ্টা করুন । তার পর ধীরে ধীরে মাদুড়ের উপর থেকে নিজেকে তুলতে হবে । দেখতে হবে যে আপনার পায়ের পাতা যেন কোমড়ের কাছে না আসে ।পা-কে পিছনের দিকে ঠেলতে হবে এবং বুক চওড়া করতে হবে । যখন এটা করা শেষ হবে, তখন ধীরে ধীরে পা ছেড়ে দিতে হবে এবং মাদুড়ের উপর বিশ্রাম নিতে হবে ।

এড়িয়ে চলুন: যখন পিঠে বা কোমড়ের ব্যথা থাকবে ।

৩.গরম খাবার খান

এই মরসুমে খুব গরম স্যুপ ও খাবার খেতে হয় । ভারী খাবারের পরিবর্তে বাড়িতে তৈরি হালকা খাবার খাওয়া উচিত । শীতের সময় খাবার হজম হতে সময় লাগে । সেই কারণে রাতে তাড়াতাড়ি খেয়ে নেওয়া উচিত । এবং সূর্য যখন ঠিক মাথার উপরে, তখনই ভারী খাবার খাওয়া উচিত । সূর্যের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে আমাদের শরীরও সার্কিয়ান ছন্দে চলাচল করে । সেই কারণে, দুপুর বেলায় হজমের ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি থাকে । ঠান্ডা স্যালাড, জমে যাওয়া খাবার এবং কাঁচা খাবার থেকে দূরে থাকাই উচিত । এর মধ্যে রয়েছে, মশলা, বাদাম, ঘি ও মধু । মরসুম যেমন ভাবে বদল হচ্ছে, সেই অনুযায়ী আমাদের রুটিনও পরিবর্তন করা উচিত । এই শীতে যাতে আপনি উষ্ণ, পরিচর্যিত ও সক্রিয় থাকেন, তার জন্য জীবনযাত্রায় সামান্য কয়েকটা পরিবর্তন করতে হবে ।

শীত আমাদের একেবারে অলস করে দিতে পারে । কিন্তু পুরো শীতকাল জুড়ে যদি যোগাসন করা যায়, তাহলে তা খুবই উপকারী হয় । যোগাসন ও ব্যায়াম কীভাবে আপনাকে এই শীতে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করবে ? স্বাস্থ্যকর শরীরের জন্য কোন যোগাসনটি সবচেয়ে উপকারী ? শীতে কী খাওয়া উচিত এবং কী ধরনের খাবার আপনার শরীরকে উষ্ণ রাখতে পারে ?

শীত আসার সঙ্গে সঙ্গেই বাতাস ঠান্ডা ও শুষ্ক হয়ে যায় । আর শরীরে মেটাবলিজম সংক্রান্ত কার্যকারিতায় তার প্রভাব সরাসরি পড়ে । মরসুম বদল হওয়ার সময় যোগাসন ও আয়ুর্বেদকে গ্রহণ করতে জোর দিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয় । সেই কারণেই খাবারের অভ্যাস ও ব্যায়ামে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । নিশীথা বিজলানি, মুম্বইয়ের একজন প্রশিক্ষিত যোগাসন বিশেষজ্ঞ । তিনি জানালেন এই কনকনে ঠান্ডাকে মোকাবিলা করার বিভিন্ন উপায়:

১. আপনার দিন এক গ্লাস গরম জল পান করে শুরু করুন । শীতকালে হজম সংক্রান্ত যে সমস্যাগুলি হয়, তা কাটাতে এবং পেট পরিষ্কার করতে এই গরম জল সাহায্য করবে ।

২. নিম্নে উল্লেখিত যোগাসনগুলি অভ্যাস করতে হবে:

  • কপালভাতি:

কপালভাতিকে শ্বাস-প্রশ্বাসের অগ্নি বলেও জানা যায় । এটা শরীরের মধ্যে থেকে অগ্নি বা আগুনের উপাদানকে বৃদ্ধি করে দেয় । এর ফলে হজম সংক্রান্ত ও শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে । নিয়মিত অভ্যাস করলে ফুসফুসের ফ্রন্টাল লোব পরিষ্কার করে দেয়, টক্সিন বের করে দেয় এবং সাইনাসের উপাদান মুক্ত করে ।

পদ্ধতি:

কোনও মাদুড়ে পাঁ ভাঁজ করে বসুন অথবা চেয়ারে পিঠ সোজা করে বসতে হবে । মূল নজর দিতে হবে নিঃশ্বাস ছাড়ার দিকে । আর শ্বাস গ্রহণের সময় নিষ্ক্রিয় থাকতে হবে । প্রথম রাউন্ডে ২০ বার নিঃশ্বাস ছাড়তে হবে । এর জন্য চোখ ও মুখ বন্ধ করে রাখতে হবে ।

নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় নাকের ও পেটের ব্যবহার করতে হবে সক্রিয় ভাবে । নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় শব্দ করতে হবে । আপনি দেখতে পাবেন যে প্রতিবার নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় স্বাভাবিক ভাবেই পেট ভিতরের দিকে চলে যাচ্ছে । মুখ ও শরীরের বাকি অংশগুলিকে টেনশন মুক্ত রাখতে হবে ।

আপনি ধীরে ধীরে ৫০ বার বা তার বেশি নিঃশ্বাস ছাড়ার বিষয়টিকে বৃদ্ধি করতে পারেন । এটাকে খুব সকালে একেবারে খালি পেটে অভ্যাস করতে হবে । যদি রক্তচাপ উচ্চ হয় তাহলে এই যোগাসন এড়িয়ে চলুন । এছাড়া ঋতুস্রাবের সময় ও গর্ভাবস্থায় এই যোগাসন এড়িয়ে চলা উচিত ।

  • ভস্ত্রিকা:

কপালভাতির মতো একই রকম । ভস্ত্রিকা অভ্যাসের ক্ষেত্রেও সক্রিয় ভাবে নিঃশ্বাস ও প্রশ্বাস নেওয়া-ছাড়া করতে হবে । এটা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে এবং টক্সিন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । এর ফলে ফুসফুসের শক্তি প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায় । আর যিনি যোগাসন করেন তিনি হালকা ও ভারমুক্ত মনে করেন নিজেকে ।

পদ্ধতি:

মাদুড়ের উপর অথবা চেয়ারের উপর আরামদায়ক ভাবে বসতে হবে শুরুতে । শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে হাতের অবস্থা নিচের দিকে নামাতে হবে । নিঃশ্বাস নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাত উপরের দিকে তুলতে হবে । আর নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় হাত দু’টিকে নিচের দিকে ঘুঁষি মারার কায়দায় ছুঁড়তে হবে । নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে হাতের অবস্থানও সঠিক হতে হবে । মনে রাখতে হবে যে নিঃশ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার কাজটা সক্রিয় ভাবে করতে হবে । খালি পেটে খুব সকালে এটা অভ্যাস করতে হবে । যদি রক্তচাপ উচ্চ হয় তাহলে এই যোগাসন এড়িয়ে চলুন । এছাড়া ঋতুস্রাবের সময় ও গর্ভাবস্থায় এই যোগাসন এড়িয়ে চলা উচিত ।

আরও পড়ুন :কামশক্তি হ্রাস পাচ্ছে, আপনার কি চিন্তিত হওয়া উচিত?

  • সুক্সমা ব্যায়াম:

এটা খুব সাধারণ নড়াচড়া করা, যার মাধ্যমে হাড়ের জোড়গুলি সচল থাকে । কনকনে ঠান্ডা আবহাওয়ায় যখন হাড়ের জোড়গুলি খুব শক্ত হয়ে যায়, তখন এইগুলি বিশেষ কাজে লাগে । সুক্সমা ব্যায়াম অভ্যাস করতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগে । হাড়ের জোড়গুলিতে শক্তি চলাচলের যে জড়তা তৈরি হয়, তা কাটাতে এই যোগাসন খুব কার্যকরী হয় । এটা অনুভূতিকে শক্তিশালী করে, মনকে হালকা করে এবং জীবনের কার্যকারিতা ফিরে আসে । এই ব্যায়ামের মধ্যে কয়েকটি হল:

ঘাড়ের ব্যায়াম: ঘাড়কে খুব সহজ ভাবে চারটি দিকে নাড়াতে হবে । উপর, নিচে, বাঁদিকে, ডান দিকে এবং মাঝখানের দিকে আনতে হবে ।

কবজি ঘোরানো: ঘুঁষির মারার ভঙ্গিতে ছুঁড়তে হবে, কাঁধের উচ্চতায় হাতকে সামনের দিকে প্রসারিত করতে হবে । কবজিকে ভিতরের দিকে ও বাইরের দিকে ঘোরাতে হবে ।

পায়ের পাতা ভাঁজ করতে হবে: এটা দাঁড়িয়ে করা যেতে পারে অথবা বসে পা ছড়িয়ে করা যেতে পারে । পায়ের আঙুলগুলিকে প্ল্যান্টার ফ্ল্যাক্সানের দিকে এগিয়ে দিতে হবে । তার পর ডরসি ফ্লেক্সনের দিকে আঙুলগুলিকে ঘোরাতে হবে । এরপর গোড়ালি থেকে তা নাড়াতে হবে ।

ধনুরাসন:ধনুরাসন হল পিছন দিকে শরীরকে বাঁকানো । এটা ধনুকের মতো অবস্থানও বলা হয় । এটা শুধুমাত্র মেরুদণ্ডকে খুলতেই সাহায্য করে না । কিন্তু একই সঙ্গে এটার মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস ও হজম সংক্রান্ত সমস্যাও কাটিয়ে দেয় । এটা পুরো শরীরকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে । এছাড়া সমস্ত জড়তাকে কাটিয়ে তুলতে সাহায্য করবে । এটা মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে মুক্তভাব এনে দেয় ।

পদ্ধতি:

উপুড় হওয়ার অবস্থানে মাদুড়ের উপর শুয়ে পড়তে হবে । হাঁটু ভাঁজ করুন এবং পায়ের পাতার বাইরের অংশ ধরুন । পায়ের শক্তির উপর নির্ভর করে বুকটা উপর দিকে তোলার চেষ্টা করুন । তার পর ধীরে ধীরে মাদুড়ের উপর থেকে নিজেকে তুলতে হবে । দেখতে হবে যে আপনার পায়ের পাতা যেন কোমড়ের কাছে না আসে ।পা-কে পিছনের দিকে ঠেলতে হবে এবং বুক চওড়া করতে হবে । যখন এটা করা শেষ হবে, তখন ধীরে ধীরে পা ছেড়ে দিতে হবে এবং মাদুড়ের উপর বিশ্রাম নিতে হবে ।

এড়িয়ে চলুন: যখন পিঠে বা কোমড়ের ব্যথা থাকবে ।

৩.গরম খাবার খান

এই মরসুমে খুব গরম স্যুপ ও খাবার খেতে হয় । ভারী খাবারের পরিবর্তে বাড়িতে তৈরি হালকা খাবার খাওয়া উচিত । শীতের সময় খাবার হজম হতে সময় লাগে । সেই কারণে রাতে তাড়াতাড়ি খেয়ে নেওয়া উচিত । এবং সূর্য যখন ঠিক মাথার উপরে, তখনই ভারী খাবার খাওয়া উচিত । সূর্যের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে আমাদের শরীরও সার্কিয়ান ছন্দে চলাচল করে । সেই কারণে, দুপুর বেলায় হজমের ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি থাকে । ঠান্ডা স্যালাড, জমে যাওয়া খাবার এবং কাঁচা খাবার থেকে দূরে থাকাই উচিত । এর মধ্যে রয়েছে, মশলা, বাদাম, ঘি ও মধু । মরসুম যেমন ভাবে বদল হচ্ছে, সেই অনুযায়ী আমাদের রুটিনও পরিবর্তন করা উচিত । এই শীতে যাতে আপনি উষ্ণ, পরিচর্যিত ও সক্রিয় থাকেন, তার জন্য জীবনযাত্রায় সামান্য কয়েকটা পরিবর্তন করতে হবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.