দিল্লি, 10 জুন : পূর্ব লাদাখের তিনটি জায়গা থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে ভারত ও চিন ৷ ভারতের দিকে সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে ৷ তবে, ভারতের রাজত্বের কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার পাশে চিনের কামান, ট্যাঙ্ক রেজিমেন্ট সহ 10 হাজার সেনা সরিয়ে নিলে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছে ভারত ৷
6 জুন পূর্ব লাদাখের কাছে দুই দেশের সেনা পর্যায়ে আলোচনা হয় ৷ তারপরই গালওয়ান এলাকা থেকে প্রায় 2.5 কিমি পিছু হটে চিনের পিপল লিবারেশন আর্মির সেনা দল ৷ ভারতও তাদের সেনাকে সরিয়ে নিয়েছে ৷ ভারত-চিন সীমান্তের চুশুল-মোলদোতে সেদিনের পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক শেষে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছিল, সীমান্ত ইশু সমাধানে দুই দেশই সেনা ও কূটনৈতিক স্তরে পারস্পরিক যোগাযোগ সাধন করেছে । যাতে আলোচনার মাধ্য়মে সমস্যাগুলির সমাধান করা যায় । এখনও আলোচনা চলছে । ভারতের হয়ে বৈঠকে 14 কর্পসের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনেরাল হরিন্দর সিং প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন ৷
সীমান্ত সমস্যার খবর প্রকাশ্যে আসে মে মাসের শুরুর দিকে। চিন নিজেদের LAC (লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল)-এর পাশে নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য রাস্তার কাজ শুরু করেছিল । এরপর ভারতও বর্ডার রোডস অর্গানাইজ়েশনকে দিয়ে LAC-র পাশের নেটওয়ার্ক তৈরি করার কাজ শুরু করে । কিন্তু তাতে বাধা দেয় চিনের সেনা । রুখে দাঁড়ায় ভারতীয় সেনা । এর জেরে লাদাখের তিন জায়গায় মুখোমুখি হয় দুই দেশের সেনা । ক্রমশ বাড়তে থাকে উত্তেজনা ।
মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে লাদাখ গেছিলেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে । পরে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে নর্দার্ন কম্যান্ডের আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন । এর কয়েকদিন পরই সীমান্তের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে তিন সেনা প্রধানের সঙ্গে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং । স্থল সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানের কাছ থেকে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন তিনি । আলাদা করে তিন সেনার প্রধানের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী । সেদিনই এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিন সেনার প্রধান জেনেরাল বিপিন রাওয়াত ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল । এর মাঝে ট্রাম্পের টুইট ঘিরেও বিস্তর জল্পনা শুরু হয় । ভারতের পাশে থাকার আশ্বাস দেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ।