ETV Bharat / bharat

কালাপানি নিয়ে ভারত-নেপাল চাপানউতোর, বিবৃতি প্রকাশ বিদেশমন্ত্রকের - কালাপানি নিয়ে ভারত-নেপাল চাপানউতোর

কালাপানি ইশুতে কড়া বিবৃতি বিদেশমন্ত্রকের ৷ কোনও ভুল মানচিত্র প্রকাশ করা হয়নি ৷ কোনও অঞ্চল অধিকার করে নেওয়া হয়নি ৷ নেপালের দাবি উড়িয়ে মন্তব্য দিল্লির ৷ এবিষয়ে বিশেষ প্রতিবেদন স্মিতা শর্মার ৷

ভূ-স্বর্গের নতুন মানচিত্র
author img

By

Published : Nov 8, 2019, 3:27 AM IST

দিল্লি, 8 নভেম্বর : কালাপানি ইশুতে নেপালের সব অভিযোগ উড়িয়ে দিল ভারত ৷ বিদেশমন্ত্রক নেপালের দাবি উড়িয়ে আজ জানাল, এবিষয়ে সম্পূর্ণ ভুল বিবৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে এবং নেপাল কালাপানি নিয়ে যে মন্তব্য করেছে তা সঠিক নয় ৷ রবিবার ভূ-স্বর্গের নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছিল দিল্লি ৷ সেই মানচিত্র ঘিরেই যাবতীয় বিতর্ক ৷

নয়া দুই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল চিহ্নিত করে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছিল ৷ গত 5 অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে 370 ধারা তুলে নেওয়ার পর এই মানচিত্র প্রকাশ ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ৷ কাঠমান্ডুর দাবি, তাদের অধিকৃত এলাকাকে মানচিত্রে নিজেদের এলাকা বলে চিহ্নিত করেছে দিল্লি ৷ যেখানে ভারত সীমান্তের শেষ দেখানো হয়েছে, দুই দেশের বিরাজমান এলাকা কালাপানিকে ৷ এই কালাপানি নিয়েই বেশ কয়েকবছর ধরে বিতর্ক এবং এখানে গত 50 বছরের বেশি সময় ধরে সেনা মোতায়েন রেখেছে দিল্লি ৷ রবিবার মানচিত্র প্রকাশের পরই মঙ্গলবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে কাঠমান্ডু ৷ এক বিবৃতি দিয়ে নেপাল জানায়, কালাপানি তাদের অংশ ৷ নেপাল সরকার এখানকার নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ৷ দুই বন্ধুভাবাপন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে সীমান্ত সম্পর্কিত যেকোনও ইশু উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের মাধ্যমে কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা উচিত ৷ একই সঙ্গে নেপাল দাবি করেছিল, কোনও একতরফা সিদ্ধান্ত তারা মেনে নেবে না ৷

kalapani issue
নেপাল সরকারের দেওয়া বিবৃতি

সেই বিবৃতির প্রেক্ষিতেই আজ দিল্লি তাদের মন্তব্য প্রকাশ করল এবং জানিয়ে দিল এমন কোনও অভিযোগ সঠিক নয় ৷ পাশাপাশি, নতুন মানচিত্রে নেপালের এলাকা নিজেদের বলে চালানোর কোনও অভিপ্রায় দিল্লির নেই বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে ৷ বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, "আমরা দুই প্রতিবেশী ৷ আমাদের মধ্যে খুবই ঘনিষ্ঠ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ, দ্বিপাক্ষিক, কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে ৷" কালাপানি লিপুলেক সীমান্ত এলাকা ৷ এই ম্যাপটি জমি জরিপ সংক্রান্ত বিভাগ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে ৷

বিদেশমন্ত্রকের তরফে আজ কোনও দেশের নাম না করে বা নির্দিষ্ট কোনও দেশকে আক্রমণ না করে মন্তব্য করা হয়েছে, বৃহত্তর স্বার্থের জন্য যেকোনও পদক্ষেপ করতে ভারত প্রস্তুত ৷ রবীশ কুমার বলেন, "একই সঙ্গে প্রতিবেশী দুই দেশ একইরকম সমস্যায় রয়েছে ৷ আমাদের দুই প্রতিবেশী দেশের দুই প্রতিবেশী নানা ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করছে ৷"

রবিবার প্রকাশিত বিদেশমন্ত্রকের নতুন মানচিত্র ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ৷ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন কাঠমান্ডু ৷ নেপালি কংগ্রেসের নেতা গগন থাপা টুইট করে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ওলির হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছেন ৷ যাতে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেপাল প্রশাসন করে তার আবেদন জানানো হয়েছে ৷ প্রকাশিত এই ম্যাপটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নেপালের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ৷ পাশাপাশি, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমও সুর চড়িয়েছে ৷ ব্যাক অফ ইন্ডিয়া এবং গো ব্যাক ইন্ডিয়া স্লোগানও উঠেছে ৷

নেপালের পরিচিত অর্থনীতিবিদ তথা লেখক সুজেভ শাকেয়ার মতো মানুষজনও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ৷ টুইটারে সরব হয়েছেন ৷ ভারত সীমান্ত ক্ষেত্রে যা পদক্ষেপ করছে, তার নিন্দাও করেছেন তিনি ৷ এতকিছুর মধ্যে আজ যেভাবে বিদেশমন্ত্রক নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে নেপালের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানের বার্তা দিল, তা নিঃসন্দেহে কূটনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে ৷

দিল্লি, 8 নভেম্বর : কালাপানি ইশুতে নেপালের সব অভিযোগ উড়িয়ে দিল ভারত ৷ বিদেশমন্ত্রক নেপালের দাবি উড়িয়ে আজ জানাল, এবিষয়ে সম্পূর্ণ ভুল বিবৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে এবং নেপাল কালাপানি নিয়ে যে মন্তব্য করেছে তা সঠিক নয় ৷ রবিবার ভূ-স্বর্গের নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছিল দিল্লি ৷ সেই মানচিত্র ঘিরেই যাবতীয় বিতর্ক ৷

নয়া দুই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল চিহ্নিত করে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছিল ৷ গত 5 অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে 370 ধারা তুলে নেওয়ার পর এই মানচিত্র প্রকাশ ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ৷ কাঠমান্ডুর দাবি, তাদের অধিকৃত এলাকাকে মানচিত্রে নিজেদের এলাকা বলে চিহ্নিত করেছে দিল্লি ৷ যেখানে ভারত সীমান্তের শেষ দেখানো হয়েছে, দুই দেশের বিরাজমান এলাকা কালাপানিকে ৷ এই কালাপানি নিয়েই বেশ কয়েকবছর ধরে বিতর্ক এবং এখানে গত 50 বছরের বেশি সময় ধরে সেনা মোতায়েন রেখেছে দিল্লি ৷ রবিবার মানচিত্র প্রকাশের পরই মঙ্গলবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে কাঠমান্ডু ৷ এক বিবৃতি দিয়ে নেপাল জানায়, কালাপানি তাদের অংশ ৷ নেপাল সরকার এখানকার নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ৷ দুই বন্ধুভাবাপন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে সীমান্ত সম্পর্কিত যেকোনও ইশু উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের মাধ্যমে কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা উচিত ৷ একই সঙ্গে নেপাল দাবি করেছিল, কোনও একতরফা সিদ্ধান্ত তারা মেনে নেবে না ৷

kalapani issue
নেপাল সরকারের দেওয়া বিবৃতি

সেই বিবৃতির প্রেক্ষিতেই আজ দিল্লি তাদের মন্তব্য প্রকাশ করল এবং জানিয়ে দিল এমন কোনও অভিযোগ সঠিক নয় ৷ পাশাপাশি, নতুন মানচিত্রে নেপালের এলাকা নিজেদের বলে চালানোর কোনও অভিপ্রায় দিল্লির নেই বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে ৷ বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, "আমরা দুই প্রতিবেশী ৷ আমাদের মধ্যে খুবই ঘনিষ্ঠ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ, দ্বিপাক্ষিক, কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে ৷" কালাপানি লিপুলেক সীমান্ত এলাকা ৷ এই ম্যাপটি জমি জরিপ সংক্রান্ত বিভাগ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে ৷

বিদেশমন্ত্রকের তরফে আজ কোনও দেশের নাম না করে বা নির্দিষ্ট কোনও দেশকে আক্রমণ না করে মন্তব্য করা হয়েছে, বৃহত্তর স্বার্থের জন্য যেকোনও পদক্ষেপ করতে ভারত প্রস্তুত ৷ রবীশ কুমার বলেন, "একই সঙ্গে প্রতিবেশী দুই দেশ একইরকম সমস্যায় রয়েছে ৷ আমাদের দুই প্রতিবেশী দেশের দুই প্রতিবেশী নানা ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করছে ৷"

রবিবার প্রকাশিত বিদেশমন্ত্রকের নতুন মানচিত্র ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ৷ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন কাঠমান্ডু ৷ নেপালি কংগ্রেসের নেতা গগন থাপা টুইট করে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ওলির হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছেন ৷ যাতে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেপাল প্রশাসন করে তার আবেদন জানানো হয়েছে ৷ প্রকাশিত এই ম্যাপটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নেপালের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ৷ পাশাপাশি, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমও সুর চড়িয়েছে ৷ ব্যাক অফ ইন্ডিয়া এবং গো ব্যাক ইন্ডিয়া স্লোগানও উঠেছে ৷

নেপালের পরিচিত অর্থনীতিবিদ তথা লেখক সুজেভ শাকেয়ার মতো মানুষজনও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ৷ টুইটারে সরব হয়েছেন ৷ ভারত সীমান্ত ক্ষেত্রে যা পদক্ষেপ করছে, তার নিন্দাও করেছেন তিনি ৷ এতকিছুর মধ্যে আজ যেভাবে বিদেশমন্ত্রক নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে নেপালের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানের বার্তা দিল, তা নিঃসন্দেহে কূটনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে ৷


Kedarnath (Uttarakhand), Nov 08 (ANI): Hill shrine town of Kedarnath received fresh snowfall on Nov 07. Snow covered the entire landscape. The vehicular movement was partially disrupted following the snowfall. The all time famous Badrinath Temple was also seen draped in sheet of snow.
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.