দিল্লি, 13 মে: দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু নির্ধারিত সময়ের আগেই আগামী 16 মে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ঢুকবে বলে জানাল দিল্লির মৌসম ভবন। আজ হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়, ইতিমধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়েছে যা আন্দামান সমু্দ্রতটে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমিকে বায়ুকে ত্বরান্বিত করতে সক্ষম। এর ফলে আগামী 15 মে নাগাদ বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণাংশে একটি ঘূর্ণিঝড়েরও আশঙ্কা রয়েছে, যেটি 16 মে সন্ধ্যায় আছড়ে পড়তে পারে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে।এর ফলে নির্ধারিত সময়ের বেশ খানিকটা আগে ওই দিনই বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণাংশে তথা আন্দামান সাগর ও আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ অঞ্চলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রভাব বিস্তার করবে।
বুধবার দিল্লির মৌসম ভবনের তরফে আরও বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান বিষয়ে ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা সময় মতো জারি করা করবে হাওয়া অফিস।
আবহাওয়া দপ্তরের প্রধান পরিচালক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, এই ঘূর্ণিঝড় বৃষ্টির মরশুমকে ত্বরান্বিত করবে। এর পরে পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বর্ষা প্রবেশ করবে বলে আশা করা যায়।
সাধারণত কেরালায় বর্ষা প্রবেশ করে 1 জুনে। গোটা দেশে এর পরের চার মাস ধরে চলে বৃষ্টির মরশুম। বর্ষার প্রবেশের এই সময় নির্ধারণ করা হয়ছিল 1901 থেকে 1940 সাল অবধি আবহাওয়া সমীক্ষার তথ্যের উপর ভিত্তি করে। সম্প্রতি নতুন করে 1960 থেকে 2019 সাল অবধি আবহাওয়ার সমীক্ষা করা হয়েছে।
আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, নতুন সমীক্ষায় কেরালায় বৃষ্টি ঢোকার সময় অপরিবর্তিত রয়েছে। কিন্তু, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, তেলাঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার এবং উত্তর প্রদেশের বেশ কিছু অংশে মৌসুমি বায়ু প্রবেশের সময় 3 থেকে 7 দিন পিছিয়েছে। অন্যদিকে দিল্লির ক্ষেত্রে তা 23 জুন থেকে সরে হয়েছে 27 জুন। মুম্বই ও কলকাতার ক্ষেত্রে 10 জুন থেকে পিছিয়ে হয়েছে 11 জুন।
চেন্নাইয়ে মৌসুমি বায়ু প্রবেশের আগের সময় ছিল 1 জুন, এবার তা পিছিয়ে হয়েছে জুনের 4 তারিখ। উত্তর-পশ্চিম ভারতের ক্ষেত্রে বর্ষা কিছুটা এগিয়ে এসেছে। 15 জুলাইয়ের বদলে সেখানে মৌসুমি বায়ু ঢুকবে 8 জুলাইয়ে। অন্যদিকে, নতুন সমীক্ষায় দক্ষিণ ভারতে বৃষ্টির ঋতু শেষ হওয়ার সময় অক্টোবরের 15 তারিখ।