ETV Bharat / bharat

গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে খুন থেকে এনকাউন্টার, এক নজরে ঘটনাবলী

author img

By

Published : Dec 6, 2019, 8:24 PM IST

Updated : Dec 6, 2019, 9:17 PM IST

পুলিশি এনকাউন্টারে আজ নিহত হয়েছে হায়দরাবাদে গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় চার অভিযুক্ত ৷ হায়দরাবাদ পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের ঘটনাস্থানে নিয়ে গিয়ে অপরাধের পুনর্নিমাণের চেষ্টা করা হচ্ছিল ৷ তখনই অভিযুক্তরা পুলিশের উপর হামলা করে এবং বন্দুক কেড়ে নেয় ৷ পুলিশের দিকে লক্ষ করে গুলি চালানোও শুরু করে বলে জানান তিনি ৷ পুলিশ বারবার তাদের আত্মসমর্পণ করার কথা বলতে থাকলেও তারা গুলি চালাতে থাকে ৷ এরপরেই পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য গুলি করে অভিযুক্তদের ৷

hyderabad encounter
হায়দরাবাদ গণধর্ষণ

হায়দরাবাদ, 6 ডিসেম্বর : তেলেঙ্গানা গণধর্ষণ কাণ্ডে শিউরে উঠেছে গোটা দেশ ৷ গণধর্ষণের পর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় নির্যাতিতাকে ৷ ঘটনার 9 দিনের মাথায় ভোরটা ছিল একেবারেই অন্যরকম ৷ পুলিশ এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় ধর্ষণে অভিযুক্ত চার ব্যক্তি ৷ বেশিরভাগই এই খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও মিশ্র প্রতিক্রিয়াও এসেছে কোনও কোনও তরফে ৷

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক হায়দরাবাদ গণধর্ষণের ঘটনা পরম্পরা ৷

27 নভেম্বর: হায়দরাবাদের কাছে শামশাবাদ টোল প্লাজার কাছেই নিখোঁজ হন বছর ছাব্বিশের পশু চিকিৎসক ৷ গণধর্ষণের পর তাঁকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, খবর আসে এমনটাই ৷ নির্মীয়মাণ একটি সেতুর কাছে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় নির্যাতিতার দেহ ৷

সন্ধ্যা 6.15 মিনিট নাগাদ দু চাকার যানটি খারাপ হয়ে যাওয়ায় সেটি পার্ক করে ক্যাব নিয়ে গাছিবোলি যান যুবতি ৷ রাত 9টা নাগাদ ফিরে এসে দেখেন টায়ারটি ফ্ল্যাট ৷ রাত 9.22 মিনিটে শেষবারের মতো বোনের সঙ্গে কথা হয়েছিল যুবতির ৷ জানিয়েছিলেন, তিনি ভয় পেয়েছেন কোনও কারণে ৷

28 নভেম্বর : যুবতির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয় সারা দেশে ৷ একই সময়ে পর পর আরও বেশ কয়েকটি ঘটনায় সরব হন প্রত্যেক সংবেদনশীল নাগরিক ৷ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয় ৷

29 নভেম্বর : চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে বিচারবিভাগীয় হেপাজতে পাঠানো হয় ৷ চেরলাপল্লি সেন্ট্রাল জেলে হাই-সিকিউরিটি সেলে রাখা হয় অভিযুক্তদের ৷ ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী খুন (302), ধর্ষণ (375) ও অপহরণের মামলা (362) রুজু হয় ৷

  • Rekha Sharma, National Commission for Women on #Telangana encounter: As a common citizen I am feeling happy that this was the end we all wanted for them. But this end was supposed to be through the legal system. It should have happened through proper channels. pic.twitter.com/FISS5EVQyF

    — ANI (@ANI) December 6, 2019 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

30 নভেম্বর : অভিযুক্তদের চেরলাপল্লি সেন্ট্রাল জেল থেকে চঞ্চলগুড়া সেন্ট্রাল জেলে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ স্থানান্তরিত করার পূর্বে অভিযুক্তদের কিছু সময়ের জন্য শাদনগর থানায় রাখা হয় ৷ তখনই শাদনগর থানার বাইরে জড়ো হয় বিক্ষুব্ধ জনতা ৷ পুলিশের তরফে অভিযুক্তদের শাস্তির আশ্বাস দেওয়া হয় ৷ এরপরেও প্রতিবাদরত জনতা শান্ত না হলে তাদের সড়ানোর জন্য লাঠিচার্জ করে পুলিশ ৷ এরই মাঝে জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার ৷ যে গুরুত্বপূর্ণ সময়টা নির্যাতিতার প্রাণ বাঁচাতে ব্যবহার করা যেত তা হেলায় নষ্ট করেছে পুলিশ ৷ এমনই অভিযোগ আনা হয় নির্যাতিতার পরিবারের তরফে ৷

  • Agree in principle. We need to know more, for instance if the criminals were armed, the police may have been justified in opening fire preemptively. Until details emerge we should not rush to condemn. But extra-judicial killings are otherwise unacceptable in a society of laws. https://t.co/BOMOjCYrb1

    — Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) December 6, 2019 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

1 ডিসেম্বর : নির্যাতিতার যে এলাকায় থাকত, সেই কলোলির গেটে তালা পড়ে ৷ "সংবাদ মাধ্যম, পুলিশ ও বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ"," কোনও সহানুভুতি নয়, শুধু ন্যায়বিচার চাই" এরকমই প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয় কলোনির গেটে ৷ নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসা রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে একাধিক চিত্রতারকাকে কলোনি থেকে বের করে দেন এলাকার বাসিন্দারা ৷ তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলাটি তোলার কথা বলেন ৷ একইসঙ্গে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইনকে আরও কঠোর করার জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধিতে পরিবর্তন আনার কথাও বলেন তিনি ৷

2 ডিসেম্বর : হায়দরাবাদ কাণ্ডের প্রতিবাদে মুখ হন সাংসদরা ৷ অভিযুক্তদের প্রকাশ্যে গণপিটুনি দিয়ে মারা থেকে শুরু করে ফাঁসি, নির্বীজকরণ সহ একাধিক মত নিয়ে সরব হন তারা ৷ সমাজবাদী দলের সাংসদ জয়া বচ্চন বলেন, "অভিযুক্তদের প্রকাশ্যে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলা উচিত ৷" কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং এই ধরণের ঘৃণ্য অপরাধ দমনের জন্য আলোচনায় বসার কথাও বলেন ৷

  • 3. इस सदी के 19 वें साल में महिलाओं को सुरक्षा की गारंटी देने वाली यह सबसे बड़ी घटना है।

    — Uma Bharti (@umasribharti) December 6, 2019 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

4 ডিসেম্বর : তেলাঙ্গানা সরকার মামলাটির জন্য বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠন করে ৷ নির্যাতিতার নিখোঁজ হওয়ার FIR দেরিতে নথিভুক্ত করার জন্য তিন পুলিশ আধিকারিককে বরখাস্তও করা হয় ৷

6 ডিসেম্বর : পুলিশি এনকাউন্টারে নিহত হয় ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় চার অভিযুক্ত ৷ হায়দরাবাদ পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের ঘটনাস্থানে নিয়ে গিয়ে অপরাধের পুনর্নিমাণের চেষ্টা করা হচ্ছিল ৷ তখনই অভিযুক্তরা পুলিশের উপর হামলা করে এবং বন্দুক কেড়ে নেয় ৷ পুলিশের দিকে লক্ষ করে গুলি চালানোও শুরু করে বলে জানান তিনি ৷ পুলিশ বারবার তাদের আত্মসমর্পণ করার কথা বলতে থাকলেও তারা গুলি চালাতে থাকে ৷ এরপরেই পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য গুলি করে অভিযুক্তদের ৷

এদিকে আজকের হায়দরাবাদ পুলিশের এনকাউন্টারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে বিভিন্ন মহল থেকে ৷ সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন ঘটনার সমর্থন করে বলেছেন, " কাজটি অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল ৷ দেরিতে হলেও সঠিক কাজ হয়েছে ৷ " কংগ্রেসের মুখপাত্র সঞ্জয় ঝাঁ থেকে শুরু করে BSP প্রধান মায়াবতী সহ একাধিক ব্যক্তিত্ব প্রশংসা করেন হায়দরাবাদ পুলিশের ৷ মায়াবতী বলেন, "কীভাবে দোষীদের শাস্তি দেওয়া উচিত শিখুক উত্তরপ্রদেশ পুলিশ" ৷

এনকাউন্টারের পক্ষে সওয়াল করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালও ৷ বিচার ব্যবস্থার উপর থেকে আস্থা হারিয়েছেন বলেও জানান তিনি ৷ মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেন, "গোটা দেশ আজ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে ৷ তারা (অভিযুক্তরা) যা করেছে তার শাস্তি পেয়েছে ৷"

আরও পড়ুন : কীভাবে দোষীদের শাস্তি দেওয়া উচিত শিখুক উত্তরপ্রদেশ পুলিশ : মায়াবতী

পুলিশি এনকাউন্টারের ভূয়সি প্রশংসা করেছেন BJP নেত্রী উমা ভারতীও ৷ তিনি টুইট করেন, 'নারী সুরক্ষার দিক থেকে এটি চলতি শতাব্দীর সবথেকে বড় পদক্ষেপ ৷ যে সকল পুলিশ আধিকারিকরা এই ঘটনায় যুক্ত ছিলেন তাদেরকে সম্মান জানাই ৷'

আরও পড়ুন : এনকাউন্টার : অন্তত সরকারি অতিথি হয়ে দুষ্কৃতীরা থাকবে না, মত স্বাতীর

অন্যদিকে হায়দরাবাদ পুলিশের এই ভূমিকাকে ইতিবাচক চোখে দেখছে না অভিযুক্তদের পরিবার ৷ অভিযুক্তদের স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে খুন করেছে হায়দরাবাদ পুলিশ ৷ এমনই অভিযোগ উঠছে অভিযুক্তদের পরিবারের তরফে ৷ কংগ্রেস নেতা শশী তারুরও টুইটারে জানান, 'আমাদের আরও জানা উচিত ৷ বিস্তারিত না জেনে এখনই ঘটনার নিন্দা করা ঠিক নয় ৷ তবে আইনের বাইরে গিয়ে কিছু করা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় ৷' এনকাউন্টারের প্রতিবাদে মুখ খুলেছেন মুখ খুলেছেন মানেকা গান্ধিও ৷ জাতীয় নারী কমিশনের প্রধান রেখা শর্মাও জানিয়েছেন অভিযুক্তরা মারা যাওয়ায় তিনি খুশি ৷ তবে ঘটনাটি আইনি প্রক্রিয়ায় হলে ভালো হত বলেও জানিয়েছেন রেখা শর্মা ৷

হায়দরাবাদ, 6 ডিসেম্বর : তেলেঙ্গানা গণধর্ষণ কাণ্ডে শিউরে উঠেছে গোটা দেশ ৷ গণধর্ষণের পর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় নির্যাতিতাকে ৷ ঘটনার 9 দিনের মাথায় ভোরটা ছিল একেবারেই অন্যরকম ৷ পুলিশ এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় ধর্ষণে অভিযুক্ত চার ব্যক্তি ৷ বেশিরভাগই এই খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও মিশ্র প্রতিক্রিয়াও এসেছে কোনও কোনও তরফে ৷

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক হায়দরাবাদ গণধর্ষণের ঘটনা পরম্পরা ৷

27 নভেম্বর: হায়দরাবাদের কাছে শামশাবাদ টোল প্লাজার কাছেই নিখোঁজ হন বছর ছাব্বিশের পশু চিকিৎসক ৷ গণধর্ষণের পর তাঁকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, খবর আসে এমনটাই ৷ নির্মীয়মাণ একটি সেতুর কাছে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় নির্যাতিতার দেহ ৷

সন্ধ্যা 6.15 মিনিট নাগাদ দু চাকার যানটি খারাপ হয়ে যাওয়ায় সেটি পার্ক করে ক্যাব নিয়ে গাছিবোলি যান যুবতি ৷ রাত 9টা নাগাদ ফিরে এসে দেখেন টায়ারটি ফ্ল্যাট ৷ রাত 9.22 মিনিটে শেষবারের মতো বোনের সঙ্গে কথা হয়েছিল যুবতির ৷ জানিয়েছিলেন, তিনি ভয় পেয়েছেন কোনও কারণে ৷

28 নভেম্বর : যুবতির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয় সারা দেশে ৷ একই সময়ে পর পর আরও বেশ কয়েকটি ঘটনায় সরব হন প্রত্যেক সংবেদনশীল নাগরিক ৷ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয় ৷

29 নভেম্বর : চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে বিচারবিভাগীয় হেপাজতে পাঠানো হয় ৷ চেরলাপল্লি সেন্ট্রাল জেলে হাই-সিকিউরিটি সেলে রাখা হয় অভিযুক্তদের ৷ ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী খুন (302), ধর্ষণ (375) ও অপহরণের মামলা (362) রুজু হয় ৷

  • Rekha Sharma, National Commission for Women on #Telangana encounter: As a common citizen I am feeling happy that this was the end we all wanted for them. But this end was supposed to be through the legal system. It should have happened through proper channels. pic.twitter.com/FISS5EVQyF

    — ANI (@ANI) December 6, 2019 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

30 নভেম্বর : অভিযুক্তদের চেরলাপল্লি সেন্ট্রাল জেল থেকে চঞ্চলগুড়া সেন্ট্রাল জেলে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ স্থানান্তরিত করার পূর্বে অভিযুক্তদের কিছু সময়ের জন্য শাদনগর থানায় রাখা হয় ৷ তখনই শাদনগর থানার বাইরে জড়ো হয় বিক্ষুব্ধ জনতা ৷ পুলিশের তরফে অভিযুক্তদের শাস্তির আশ্বাস দেওয়া হয় ৷ এরপরেও প্রতিবাদরত জনতা শান্ত না হলে তাদের সড়ানোর জন্য লাঠিচার্জ করে পুলিশ ৷ এরই মাঝে জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার ৷ যে গুরুত্বপূর্ণ সময়টা নির্যাতিতার প্রাণ বাঁচাতে ব্যবহার করা যেত তা হেলায় নষ্ট করেছে পুলিশ ৷ এমনই অভিযোগ আনা হয় নির্যাতিতার পরিবারের তরফে ৷

  • Agree in principle. We need to know more, for instance if the criminals were armed, the police may have been justified in opening fire preemptively. Until details emerge we should not rush to condemn. But extra-judicial killings are otherwise unacceptable in a society of laws. https://t.co/BOMOjCYrb1

    — Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) December 6, 2019 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

1 ডিসেম্বর : নির্যাতিতার যে এলাকায় থাকত, সেই কলোলির গেটে তালা পড়ে ৷ "সংবাদ মাধ্যম, পুলিশ ও বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ"," কোনও সহানুভুতি নয়, শুধু ন্যায়বিচার চাই" এরকমই প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয় কলোনির গেটে ৷ নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসা রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে একাধিক চিত্রতারকাকে কলোনি থেকে বের করে দেন এলাকার বাসিন্দারা ৷ তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলাটি তোলার কথা বলেন ৷ একইসঙ্গে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইনকে আরও কঠোর করার জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধিতে পরিবর্তন আনার কথাও বলেন তিনি ৷

2 ডিসেম্বর : হায়দরাবাদ কাণ্ডের প্রতিবাদে মুখ হন সাংসদরা ৷ অভিযুক্তদের প্রকাশ্যে গণপিটুনি দিয়ে মারা থেকে শুরু করে ফাঁসি, নির্বীজকরণ সহ একাধিক মত নিয়ে সরব হন তারা ৷ সমাজবাদী দলের সাংসদ জয়া বচ্চন বলেন, "অভিযুক্তদের প্রকাশ্যে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলা উচিত ৷" কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং এই ধরণের ঘৃণ্য অপরাধ দমনের জন্য আলোচনায় বসার কথাও বলেন ৷

  • 3. इस सदी के 19 वें साल में महिलाओं को सुरक्षा की गारंटी देने वाली यह सबसे बड़ी घटना है।

    — Uma Bharti (@umasribharti) December 6, 2019 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

4 ডিসেম্বর : তেলাঙ্গানা সরকার মামলাটির জন্য বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠন করে ৷ নির্যাতিতার নিখোঁজ হওয়ার FIR দেরিতে নথিভুক্ত করার জন্য তিন পুলিশ আধিকারিককে বরখাস্তও করা হয় ৷

6 ডিসেম্বর : পুলিশি এনকাউন্টারে নিহত হয় ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় চার অভিযুক্ত ৷ হায়দরাবাদ পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের ঘটনাস্থানে নিয়ে গিয়ে অপরাধের পুনর্নিমাণের চেষ্টা করা হচ্ছিল ৷ তখনই অভিযুক্তরা পুলিশের উপর হামলা করে এবং বন্দুক কেড়ে নেয় ৷ পুলিশের দিকে লক্ষ করে গুলি চালানোও শুরু করে বলে জানান তিনি ৷ পুলিশ বারবার তাদের আত্মসমর্পণ করার কথা বলতে থাকলেও তারা গুলি চালাতে থাকে ৷ এরপরেই পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য গুলি করে অভিযুক্তদের ৷

এদিকে আজকের হায়দরাবাদ পুলিশের এনকাউন্টারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে বিভিন্ন মহল থেকে ৷ সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন ঘটনার সমর্থন করে বলেছেন, " কাজটি অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল ৷ দেরিতে হলেও সঠিক কাজ হয়েছে ৷ " কংগ্রেসের মুখপাত্র সঞ্জয় ঝাঁ থেকে শুরু করে BSP প্রধান মায়াবতী সহ একাধিক ব্যক্তিত্ব প্রশংসা করেন হায়দরাবাদ পুলিশের ৷ মায়াবতী বলেন, "কীভাবে দোষীদের শাস্তি দেওয়া উচিত শিখুক উত্তরপ্রদেশ পুলিশ" ৷

এনকাউন্টারের পক্ষে সওয়াল করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালও ৷ বিচার ব্যবস্থার উপর থেকে আস্থা হারিয়েছেন বলেও জানান তিনি ৷ মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেন, "গোটা দেশ আজ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে ৷ তারা (অভিযুক্তরা) যা করেছে তার শাস্তি পেয়েছে ৷"

আরও পড়ুন : কীভাবে দোষীদের শাস্তি দেওয়া উচিত শিখুক উত্তরপ্রদেশ পুলিশ : মায়াবতী

পুলিশি এনকাউন্টারের ভূয়সি প্রশংসা করেছেন BJP নেত্রী উমা ভারতীও ৷ তিনি টুইট করেন, 'নারী সুরক্ষার দিক থেকে এটি চলতি শতাব্দীর সবথেকে বড় পদক্ষেপ ৷ যে সকল পুলিশ আধিকারিকরা এই ঘটনায় যুক্ত ছিলেন তাদেরকে সম্মান জানাই ৷'

আরও পড়ুন : এনকাউন্টার : অন্তত সরকারি অতিথি হয়ে দুষ্কৃতীরা থাকবে না, মত স্বাতীর

অন্যদিকে হায়দরাবাদ পুলিশের এই ভূমিকাকে ইতিবাচক চোখে দেখছে না অভিযুক্তদের পরিবার ৷ অভিযুক্তদের স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে খুন করেছে হায়দরাবাদ পুলিশ ৷ এমনই অভিযোগ উঠছে অভিযুক্তদের পরিবারের তরফে ৷ কংগ্রেস নেতা শশী তারুরও টুইটারে জানান, 'আমাদের আরও জানা উচিত ৷ বিস্তারিত না জেনে এখনই ঘটনার নিন্দা করা ঠিক নয় ৷ তবে আইনের বাইরে গিয়ে কিছু করা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় ৷' এনকাউন্টারের প্রতিবাদে মুখ খুলেছেন মুখ খুলেছেন মানেকা গান্ধিও ৷ জাতীয় নারী কমিশনের প্রধান রেখা শর্মাও জানিয়েছেন অভিযুক্তরা মারা যাওয়ায় তিনি খুশি ৷ তবে ঘটনাটি আইনি প্রক্রিয়ায় হলে ভালো হত বলেও জানিয়েছেন রেখা শর্মা ৷

New Delhi, Dec 06 (ANI): Congress national spokesperson Abhishek Singhvi shared his views on Telangana encounter. Giving dicey answer, he said that there should be quick and immediate trial and if convicted, there should be absolute punishment. On the other hand AIMIM chief Asaduddin Owaisi said that he is personally against every encounter.
Last Updated : Dec 6, 2019, 9:17 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.