পানিপথ(হরিয়ানা), 24 এপ্রিল : লকডাউনের ফলে দেশজুড়ে বিভিন্ন ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের উপর খারাপ প্রভাব পড়েছে । বাদ নেই হরিয়ানার বস্ত্র শিল্পও । লকডাউনের জেরে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে হরিয়ানার এই বস্ত্র শিল্প ।
হরিয়ানা 1.3 বিলিয়ন অ্যামেরিকান ডলার মূল্যের বস্ত্র তৈরি করে রপ্তানি করে । হরিয়ানার পানিপথ, গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ, হিসার ও সোনিপথে এশিয়ার বৃহত্তম বস্ত্র তৈরির কারখানাগুলি রয়েছে । প্রায় 10 লাখ কর্মী এই বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত । 2019 সালে হরিয়ানা 607.52 মিলিয়ন অ্যামেরিকান ডলার মূল্যের বস্ত্র রপ্তানি করেছে । এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে হরিয়ানার এই বস্ত্র শিল্পের লভ্যাংশ ছিল 388.21 মিলিয়ন ডলার ।
পানিপথের টেক্সটাইন এক্সপোর্ট হাউজ় অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ললিত কুমার বলেন, "পানিপথে আভ্যন্তরীণ ও বহির্মুর্খী টেক্সটাইল সামগ্রীর বার্ষিক লভ্যাংশের মূল্য 36 হাজার কোটি । আর রপ্তানি সামগ্রীর বার্ষিক লভ্যাংশ 10-12 হাজার কোটি টাকা । "
বিশ্বের 30-40 টি দেশে পানিপথ থেকে বস্ত্র রপ্তানি হয় । ইউরোপ, অ্যামেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের দেশগুলিতেও পানিপথে তৈরি বস্ত্র রপ্তানি হয় । এই রপ্তানির ফলে ভারতীয় সরকারের 10 হাজার কোটি টাকা আয় হয় । লকডাউনের ফলে ইতিমধ্যে 2 হাজার কোটি টাকার অর্ডার বাতিল হয়েছে । রপ্তানি ও আমদানি বন্ধ থাকায় 2 হাজার 500 কোটি টাকার তৈরি সামগ্রী গুদামে পড়ে রয়েছে । কাজ বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ শ্রমিক তাঁদের গ্রামে ফিরে গেছেন ।
পানিপথের টেক্সটাইল রপ্তানিকারী বিভু পালিওয়াল বলেন, "2 হাজার 500 কোটির অর্ডার বাতিল হয়ে গেছে । প্রায় 3 হাজার কোটির অর্ডারের অবস্থা শোচনীয় ।"
ললিত কুমার বলেন, "এই ব্যবসাকে পুনর্গঠন করতে 6-9 মাস সময় লাগবে । আর এই কাজে সরকারের আমাদের সাহায্য করা উচিত ।" পাশাপাশি তিনি শ্রমিকদের বেতন ESI দপ্তরের তহবিল থেকে দেওয়ার জন্য আবেদনও জানান । ললিত বলেন, "ESI দপ্তরে 90 হাজার কোটি টাকা সংরক্ষিত আছে ।"