গুয়াহাটি, 30জুন : শাঁখা সিঁদুর পরতে অস্বীকার, তাই স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার আবেদন করেন স্বামী, আদালতের তরফ থেকেও স্বামীর দাবিকেই স্বীকৃতি দিয়ে বিবাহবিচ্ছেদ মঞ্জুর করা হল। এই বিতর্কিত রায় ঘোষণা করে গুয়াহাটি হাইকোর্ট।
হিন্দু শাস্ত্র মতে বিয়ের পর সিঁদুর ও শাখা পলা পরা একজন বিবাহিত নারীর পরিচয়। সিঁদুর ও শাখা পরতে অস্বীকার করার অর্থ বিবাহকে অস্বীকার করা, এমনটাই জানাল গুয়াহাটি হাইকোর্ট।
গত 19 জুন গুয়াহাটির শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি অজয় লাম্বা এবং বিচারপতি সৌমিত্র সাইকিয়ার বেঞ্চ স্বামীর বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদনের পক্ষেই রায় ঘোষণা করেন। আদালতের রায়ে বলা হয়, " স্ত্রী শাঁখা সিঁদুর পরতে অস্বীকার করায় তিনি নিজেকে অবিবাহিত হিসেবে বা এই বিবাহ মানতে নারাজ বলে প্রমাণিত হয়। শাঁখা সিঁদুর পরতে অস্বীকার করায় প্রমাণিত হয়, তিনি স্বামীর সঙ্গে বিবাহিত জীবন কাটাতে চাইছেন না বা এই বিয়ে মানছেন না। "
জানা গিয়েছে, 2012 সালের 17 ফেব্রুয়ারি তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে স্ত্রী থাকতে অস্বীকার করায় পরিবারে অশান্তি শুরু হয়। 2013 সালের 30 জুন থেকে তারা আলাদা থাকতে শুরু করেন। ওই মহিলা তাঁর স্বামী ও পরিবারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন থানায়।
এরপরে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে পারিবারিক আদালতে আবেদন করেন স্বামী, কিন্তু বেঁকে বসেন ওই মহিলা। পারিবারিক আদালতের তরফ থেকেও ওই মহিলার স্বপক্ষে রায় ঘোষণা করা হয়। এরপরই আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন ওই ব্যক্তি। পারিবারিক আদালতের নির্দেশকে সরিয়ে রেখে হাইকোর্ট স্বামীর দাবিকে মান্যতা দিয়ে বিবাহবিচ্ছেদ মঞ্জুর করে।
পুলিশে অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়, স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা আদালতে নিষ্ঠুরতা হিসেবেই গণ্য করা হয়। বিচারপতি জানান, প্রবীণ নাগরিক আইন, 2007 অনুযায়ী ওই মহিলা তার স্বামীকে বয়স্ক মার প্রতি দায়িত্ব পালনে বাধা দিয়েছে, সেই বিষয়টি পারিবারিক আদালতে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। এই ধরনের প্রমাণ নিষ্ঠুরতার পরিচয় দেয়।