ETV Bharat / bharat

কোরোনা মোকাবিলায় ট্রেনের মধ্যে আইসোলেশন! - corona virus news

দিন দিন কোরোনার সংক্রমণ বেড়ে চলেছে দেশে । এই পরিস্থিতিতে ট্রেনের কামরায় আইসোলেশন ওয়ার্ড গড়ার পরিকল্পনা নিচ্ছে কেন্দ্র ।

army
ছবি
author img

By

Published : Mar 26, 2020, 6:38 PM IST

Updated : Mar 26, 2020, 6:53 PM IST

দিল্লি, ২৬ মার্চ : দিন দিন ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে কোরোনা । পুরো দেশ লকডাউন । পরিস্থিতির মোকাবিলায় কোথাও জেলা হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে । কোথাও বা স্টেডিয়ামে ব্যবস্থা করা হচ্ছে চিকিৎসার । এবার ট্রেনের মধ্যেই হাসপাতাল ও আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলার পরিকল্পনা নিতে চলেছ সরকার । এক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা, প্রয়োজনে একস্থান থেকে অন্যস্থানে সরানো যাবে সামগ্রিক ব্যবস্থাকে । সোজা কথায় বলতে গেলে 'চলমান হাসপাতাল' । সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে । সামরিক ট্রেন ও অ্যাম্বুলেন্সগুলিকে এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে দেশজুড়ে লকআউট শুরু হয়েছে । রেল পরিষেবা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ । সমস্ত যাত্রীবাহী ট্রেন আপাতত কারশেডে দাঁড়িয়ে । এই অবস্থায় AC 2 টায়ার কোচগুলিকে নির্বাচন করা হচ্ছে। এখানেই গড়ে তোলা হবে হাসপাতাল ও আইসোলেশন ওয়ার্ড ।

এক্ষেত্রে প্রথম কাজ ট্রেনের AC 2 টায়ার কোচ নির্বাচন করা । তারপর পরিকাঠামোয় কয়েকটি পরিবর্তন করা । যেমন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, ভেন্টিলেটর ইত্যাদি চিকিৎসার সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা । তারপর এখানেই থাকতে পারেন আক্রান্ত রোগীরা । প্রয়োজনে পুরো ব্যবস্থাকে স্থানান্তরিত করা যায় । তাছাড়া দেশের একটা বড় অংশজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় রেলপথ । সামরিক অ্যাম্বুলেন্স কোচ বাদে, ভারতীয় রেলের অধীন প্রায় 13,452 যাত্রীবাহী ট্রেন । যা 1,23,200 কিলোমিটার দীর্ঘ এবং 7,350 স্টেশনজুড়ে রয়েছে। একটি ট্রেনেই প্রায় 800 শয্যার ব্যবস্থা করা যেতে পারে । যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে জখম-আহতদের চিকিৎসা ও পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হয় সেনার অ্যাম্বুলেন্স কোচগুলি । সেনাদের এই জরুরিকালীন পরিকাঠামো বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলায় সাহায্য করতে পারে। 2001-2002 সালে ‘অপারেশন পরাক্রম’ চলাকালীন এই ধরনের ব্যবস্থা দেখা গেছিল ।

image
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বৈঠক

ইতিমধ্যেই কোরোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় বেশিরভাগ শীর্ষ বৈঠকে অংশ নিয়েছেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারাল বিপিন রাওয়াত । আজ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং একটি বৈঠক করেন । উপস্থিত ছিলেন জেনারাল রাওয়াত, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারাল এম এম নারভানে, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং, বায়ুসেনা প্রধান মার্শাল আর কে এস ভাদৌরিয়া । কোরোনা যুদ্ধে সর্বাগ্রে রয়েছে দেশের সেনা । জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ইতিমধ্যেই চিন, জাপান এবং ইরান আটকে থাকা ভারতীয়দের উড়িয়ে এনেছে বায়ুসেনা । বর্তমানে সেনার চিকিৎসা পরিষেবার অধীনে 1,073 জন রয়েছেন। মানেশ্বর, হিনডন, জয়সালমের, যোধপুর ও মুম্বইয়ের ক্যাম্প থেকে চিকিৎসার পর ছাড়া পেয়েছেন 389 জন ।

বর্তমানে যে অবস্থায় দাঁড়িয়ে দেশ । সেখানে কোরোনা মোকাবিলায় জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা হিসেবে ট্রেনের মধ্যে হাসপাতাল বানানোর এই পরিকল্পনা এক বড় ভূমিকা নিতে পারে ।

দিল্লি, ২৬ মার্চ : দিন দিন ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে কোরোনা । পুরো দেশ লকডাউন । পরিস্থিতির মোকাবিলায় কোথাও জেলা হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে । কোথাও বা স্টেডিয়ামে ব্যবস্থা করা হচ্ছে চিকিৎসার । এবার ট্রেনের মধ্যেই হাসপাতাল ও আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলার পরিকল্পনা নিতে চলেছ সরকার । এক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা, প্রয়োজনে একস্থান থেকে অন্যস্থানে সরানো যাবে সামগ্রিক ব্যবস্থাকে । সোজা কথায় বলতে গেলে 'চলমান হাসপাতাল' । সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে । সামরিক ট্রেন ও অ্যাম্বুলেন্সগুলিকে এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে দেশজুড়ে লকআউট শুরু হয়েছে । রেল পরিষেবা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ । সমস্ত যাত্রীবাহী ট্রেন আপাতত কারশেডে দাঁড়িয়ে । এই অবস্থায় AC 2 টায়ার কোচগুলিকে নির্বাচন করা হচ্ছে। এখানেই গড়ে তোলা হবে হাসপাতাল ও আইসোলেশন ওয়ার্ড ।

এক্ষেত্রে প্রথম কাজ ট্রেনের AC 2 টায়ার কোচ নির্বাচন করা । তারপর পরিকাঠামোয় কয়েকটি পরিবর্তন করা । যেমন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, ভেন্টিলেটর ইত্যাদি চিকিৎসার সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা । তারপর এখানেই থাকতে পারেন আক্রান্ত রোগীরা । প্রয়োজনে পুরো ব্যবস্থাকে স্থানান্তরিত করা যায় । তাছাড়া দেশের একটা বড় অংশজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় রেলপথ । সামরিক অ্যাম্বুলেন্স কোচ বাদে, ভারতীয় রেলের অধীন প্রায় 13,452 যাত্রীবাহী ট্রেন । যা 1,23,200 কিলোমিটার দীর্ঘ এবং 7,350 স্টেশনজুড়ে রয়েছে। একটি ট্রেনেই প্রায় 800 শয্যার ব্যবস্থা করা যেতে পারে । যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে জখম-আহতদের চিকিৎসা ও পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হয় সেনার অ্যাম্বুলেন্স কোচগুলি । সেনাদের এই জরুরিকালীন পরিকাঠামো বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলায় সাহায্য করতে পারে। 2001-2002 সালে ‘অপারেশন পরাক্রম’ চলাকালীন এই ধরনের ব্যবস্থা দেখা গেছিল ।

image
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বৈঠক

ইতিমধ্যেই কোরোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় বেশিরভাগ শীর্ষ বৈঠকে অংশ নিয়েছেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারাল বিপিন রাওয়াত । আজ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং একটি বৈঠক করেন । উপস্থিত ছিলেন জেনারাল রাওয়াত, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারাল এম এম নারভানে, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং, বায়ুসেনা প্রধান মার্শাল আর কে এস ভাদৌরিয়া । কোরোনা যুদ্ধে সর্বাগ্রে রয়েছে দেশের সেনা । জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ইতিমধ্যেই চিন, জাপান এবং ইরান আটকে থাকা ভারতীয়দের উড়িয়ে এনেছে বায়ুসেনা । বর্তমানে সেনার চিকিৎসা পরিষেবার অধীনে 1,073 জন রয়েছেন। মানেশ্বর, হিনডন, জয়সালমের, যোধপুর ও মুম্বইয়ের ক্যাম্প থেকে চিকিৎসার পর ছাড়া পেয়েছেন 389 জন ।

বর্তমানে যে অবস্থায় দাঁড়িয়ে দেশ । সেখানে কোরোনা মোকাবিলায় জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা হিসেবে ট্রেনের মধ্যে হাসপাতাল বানানোর এই পরিকল্পনা এক বড় ভূমিকা নিতে পারে ।

Last Updated : Mar 26, 2020, 6:53 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.