বক্সার, 3 ডিসেম্বর : হায়দরাবাদের পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে চারিদিকে ৷ কান্না আর ক্রোধের মোমবাতি মিছিলের মাঝে ফের ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ বিহারের বক্সারে ৷ গতরাতে বিহারের বক্সার জেলার ইটাঢ়ি থানা এলাকায় এক কিশোরী বা যুবতিকে (পুলিশ এখনও মৃতের বয়স জানতে পারেনি ৷ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে) গুলি করে হত্যা করে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ৷ প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, গুলি করার আগে ধর্ষণ করা হয় তাকে ৷ আজ সকালে প্রায় 6টার সময়ে সুনসান মাঠের থেকে নির্যাতিতার অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে ইটাঢ়ি থানার পুলিশ ৷ সংবাদসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনই জানিয়েছেন বক্সারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট সতীশ কুমার ৷
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ঘটনাটি ঘটেছে গতরাতে ৷ অতিরিক্ত পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট আজ বলেন, " স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থানে যায় ৷ এলাকা থেকে কিশোরীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয় ৷ দেহটির উপরের অংশ পুরোপুরি পুড়ে গেছিল ৷ "
আরও পড়ুন : হায়দরাবাদ ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় অবস্থান শিক্ষিকার
পুলিশের অনুমান, ধর্ষণের পর গুলি করে হত্যা করা হয় নির্যাতিতাকে ৷ এরপর তথ্য লোপাটের জন্য আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় দেহে ৷ নির্যাতিতার একেবারে মাথায় গুলি করে আততায়ী ৷ ঘটনাস্থান থেকে পুলিশ একটি খালি কার্তুজও উদ্ধার করেছে ৷
আরও পড়ুন : চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের প্রতিবাদে কলকাতায় পড়ুুয়াদের মিছিল
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, সকালে ঘটনাস্থানে এলাকার প্রচুর মানুষ ভিড় করেছিল ৷ কিন্তু দেহ বিশ্রীভাবে পুড়ে যাওয়ার কারণে নির্যাতিতার দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি ৷ কে বা কারা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
এদিকে হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার প্রতিবাদ চলছে দেশজুড়ে ৷ প্রতিবাদে সামিল বাংলাও ৷ বিভিন্ন রাজ্যে, বিভিন্ন জেলায় চলছে প্রতিবাদ মিছিল ৷ ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল গোটা দেশ ৷ রাস্তায় নেমেছেন পশ্চিমবঙ্গের হুগলির বাঁশবেড়িয়ার এক যুবতি ৷ গত তিনদিন ধরে চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ে মোমবাতি জ্বেলে রাস্তার মধ্যেই প্ল্যাকার্ড হাতে বসে আছেন তিনি ৷ প্রতিবাদে পথে নেমেছে যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি সহ বিভিন্ন কলেজের পড়ুয়ারা ৷ বিস্তর আলোচনা হচ্ছে সংসদেও ৷ ধর্ষণ রুখতে কড়া আইনের দিকে এগোচ্ছে কেন্দ্র ৷ এরপরও একের পর এক ধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসছে ৷ কবে বন্ধ হবে এই সামাজিক ব্যাধি? প্রশ্ন উঠছে নাগরিক সমাজে ৷