ETV Bharat / bharat

বাংলার কাজে হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্র, সর্বদলীয় বৈঠকে বললেন সুদীপ

দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা সর্বদল বৈঠকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সুদীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও ব্রায়ান । পাঁচটি পয়েন্ট তাঁরা নবগঠিত সরকারের সমানে রেখেছেন ।

সর্বদলীয় বৈঠক
author img

By

Published : Jun 16, 2019, 5:33 PM IST

Updated : Jun 16, 2019, 9:04 PM IST

দিল্লি, 16 জুন : আগামীকাল থেকে শুরু বাজেট অধিবেশন । তার আগে আজ সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তিনি টুইট করে জানিয়েছেন , "নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর ও সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর আগে আজকের সর্বদলীয় বৈঠক সফল হয়েছে । উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ তাঁদের মূল্যবান পরামর্শ দেওয়ার জন্য । আমরা সকলে মিলে সুষ্ঠভাবে পার্লামেন্টের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাব যাতে জনগণের আশা পূরণ করতে পারি । "

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ান ও উত্তর কলকাতা কেন্দ্রের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন । বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডেরেক জানান, তাঁরা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কয়েকটি পয়েন্ট তুলে ধরেছেন ।

ভিডিয়োয় দেখুন

প্রথমত, গত পাঁচ বছরে মাত্র 25 শতাংশ বিল পার্লামেন্টারি কমিটি পাশের আগে যাচাই করেছে । তাই আমাদের দাবি, কমপক্ষে 75 শতাংশ বিল পাশের আগে পার্লামেন্টারি কমিটির যাচাই করা হোক । দ্বিতীয়ত, লোকসভা ও বিধানসভায় মহিলা সংরক্ষণের দাবি আগেও করা হয়েছে এবারও করা হবে । ডেরেক বলেন, "মহিলা সংরক্ষণ বিলটি তৈরি রয়েছে । সংসদে অধিবেশন শুরুর প্রথম দশ দিনের মধ্যেই বিলটি পাশ করতে হবে ।" তৃতীয়ত, নির্বাচনী সংস্কার, রাজ্য তহবিল ও পেপার ব্যালট নিয়েও সর্বদল নির্বিশেষে আলোচনা হওয়া উচিত । চতুর্থত, জরুরি অবস্থা ছাড়া কথায় কথায় অর্ডিন্যান্স জারি করাটা বন্ধ করা উচিত । সুদীপবাবু একটি সমীক্ষা তুলে ধরে বলেন, "স্বাধীনতার পর প্রথম 25 বছর (1950-75) প্রতি দশটা বিলের মধ্যে একটি অর্ডিন্যান্স হিসেবে পাশ করানো হত । পরবর্তী 25 বছরে প্রতি দশটা বিলের মধ্যে দুটি অর্ডিন্যান্স হিসেবে পাশ করানো হত । কিন্তু শেষ একবছরে প্রতি দশটা বিলের মধ্যে 4টি অর্ডিন্যান্স হিসাবে জরুরিভিত্তিতে পাশ করানো হয়েছে । আমাদের পরামর্শ অর্ডিন্যান্স শুধুমাত্র ইমারজেন্সি ক্ষেত্রেই পাশ করানো হোক ।"

বৈঠকে ওঠে, রাজ্যের কাজে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গও । এই প্রসঙ্গে সুদীপবাবু বলেন, "আমি বৈঠক শেষেও প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি যে বাংলার প্রতি যে অবিচার হচ্ছে সেটা যাতে না হয় । আমরা এও বলেছি বেকারত্ব নিয়ে কখনও পার্লামেন্টে বিবেচনা করা হয় না । সুতরাং কিছু সমস্যা রয়েছে যেখানে সরকারকে বিরোধীদের কথা বলার সুযোগ দিতে হবে ।" তিনি আরও বলেন, "আমরা বলেছি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে বিলগুলো আগে পাঠানো হোক । সেগুলো আগে বিবেচিত হোক ।"

লোকসভায় NDA-এর প্রাপ্ত আসন 353 । কিন্তু রাজ্যসভায় NDA-এর আসন সংখ্যা কম । 245 আসনের মধ্যে মাত্র 102টি আসন । তাই যেকোনও বিল রাজ্যসভায় পাশ করাতে হলে সরকারের অন্যান্য দলের সহযোগিতা প্রয়োজন । আগেরবার তিন তালাক বিরোধী বিল এনেছিল কেন্দ্রীয় সরকার । লোকসভায় পাশ হলেও বিরোধিতার জেরে রাজ্যসভায় বিলটি পাশ করাতে পারেনি শাসক দল । শুধু বিরোধীরাই নয় NDA-এর শরিক দল নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডও বিলটির বিরোধিতা করেছিল ।

দিল্লি, 16 জুন : আগামীকাল থেকে শুরু বাজেট অধিবেশন । তার আগে আজ সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তিনি টুইট করে জানিয়েছেন , "নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর ও সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর আগে আজকের সর্বদলীয় বৈঠক সফল হয়েছে । উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ তাঁদের মূল্যবান পরামর্শ দেওয়ার জন্য । আমরা সকলে মিলে সুষ্ঠভাবে পার্লামেন্টের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাব যাতে জনগণের আশা পূরণ করতে পারি । "

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ান ও উত্তর কলকাতা কেন্দ্রের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন । বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডেরেক জানান, তাঁরা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কয়েকটি পয়েন্ট তুলে ধরেছেন ।

ভিডিয়োয় দেখুন

প্রথমত, গত পাঁচ বছরে মাত্র 25 শতাংশ বিল পার্লামেন্টারি কমিটি পাশের আগে যাচাই করেছে । তাই আমাদের দাবি, কমপক্ষে 75 শতাংশ বিল পাশের আগে পার্লামেন্টারি কমিটির যাচাই করা হোক । দ্বিতীয়ত, লোকসভা ও বিধানসভায় মহিলা সংরক্ষণের দাবি আগেও করা হয়েছে এবারও করা হবে । ডেরেক বলেন, "মহিলা সংরক্ষণ বিলটি তৈরি রয়েছে । সংসদে অধিবেশন শুরুর প্রথম দশ দিনের মধ্যেই বিলটি পাশ করতে হবে ।" তৃতীয়ত, নির্বাচনী সংস্কার, রাজ্য তহবিল ও পেপার ব্যালট নিয়েও সর্বদল নির্বিশেষে আলোচনা হওয়া উচিত । চতুর্থত, জরুরি অবস্থা ছাড়া কথায় কথায় অর্ডিন্যান্স জারি করাটা বন্ধ করা উচিত । সুদীপবাবু একটি সমীক্ষা তুলে ধরে বলেন, "স্বাধীনতার পর প্রথম 25 বছর (1950-75) প্রতি দশটা বিলের মধ্যে একটি অর্ডিন্যান্স হিসেবে পাশ করানো হত । পরবর্তী 25 বছরে প্রতি দশটা বিলের মধ্যে দুটি অর্ডিন্যান্স হিসেবে পাশ করানো হত । কিন্তু শেষ একবছরে প্রতি দশটা বিলের মধ্যে 4টি অর্ডিন্যান্স হিসাবে জরুরিভিত্তিতে পাশ করানো হয়েছে । আমাদের পরামর্শ অর্ডিন্যান্স শুধুমাত্র ইমারজেন্সি ক্ষেত্রেই পাশ করানো হোক ।"

বৈঠকে ওঠে, রাজ্যের কাজে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গও । এই প্রসঙ্গে সুদীপবাবু বলেন, "আমি বৈঠক শেষেও প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি যে বাংলার প্রতি যে অবিচার হচ্ছে সেটা যাতে না হয় । আমরা এও বলেছি বেকারত্ব নিয়ে কখনও পার্লামেন্টে বিবেচনা করা হয় না । সুতরাং কিছু সমস্যা রয়েছে যেখানে সরকারকে বিরোধীদের কথা বলার সুযোগ দিতে হবে ।" তিনি আরও বলেন, "আমরা বলেছি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে বিলগুলো আগে পাঠানো হোক । সেগুলো আগে বিবেচিত হোক ।"

লোকসভায় NDA-এর প্রাপ্ত আসন 353 । কিন্তু রাজ্যসভায় NDA-এর আসন সংখ্যা কম । 245 আসনের মধ্যে মাত্র 102টি আসন । তাই যেকোনও বিল রাজ্যসভায় পাশ করাতে হলে সরকারের অন্যান্য দলের সহযোগিতা প্রয়োজন । আগেরবার তিন তালাক বিরোধী বিল এনেছিল কেন্দ্রীয় সরকার । লোকসভায় পাশ হলেও বিরোধিতার জেরে রাজ্যসভায় বিলটি পাশ করাতে পারেনি শাসক দল । শুধু বিরোধীরাই নয় NDA-এর শরিক দল নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডও বিলটির বিরোধিতা করেছিল ।

Raebareli (UP), Jun 12 (ANI): United Progressive Alliance (UPA) chairperson Sonia Gandhi arrived in UP's Raebareli on Wednesday. This is her first visit to the constituency after retaining the seat in the Lok Sabha elections. This is the 4th time; she has won the Raebareli Parliamentary constituency since 2004. Raebareli is considered a bastion of the Indian National Congress (INC).
Last Updated : Jun 16, 2019, 9:04 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.