জলপাইগুড়ি ও হাওড়া, 7 নভেম্বর: ছটপুজোর প্রথম দিনে মাতল রাজ্য ৷ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়া, ছট ঘাটে দেখা গেল হাজারো মানুষের ভিড় ।কেউ এসেছেন পুজো দিতে, তো কেউ আবার তা দেখতে ৷ সর্বধর্ম সমন্বয়ে পালিত হল ছটপুজোর প্রথম দিন ৷ দুই জায়গার ছবিই ধরা পড়ল ইটিভি ভারতে ৷
জলপাইগুড়ি :
শহরের ছটঘাটগুলোর মধ্যে অন্যতম করলা নদীর কিংসাহেবের ঘাট, বাবুঘাট, সমাজপাড়া ঘাট, মাসকালাইবাড়ি ঘাট, রায়কতপাড়া ঘাট ৷ হাজার হাজার ছটব্রতীরা করলা নদীতে ও তিস্তা নদীতে পুজো করতে আসেন । দেখতেও ভিড় জমান অনেকে ৷ দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল জেলার প্রতিটি ঘাটেই । জলপাইগুড়ির বিভিন্ন ঘাটে ডিএসপিদের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল । তার মধ্যে কিংসাহবের ঘাটে পুরসভার অনুষ্ঠানে যোগ দেন জেলাশাসক শামা পারভিন, পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ, জলপাইগুড়ি রেঞ্জের ডিআইজি সন্তোষ নিম্বালকার-সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা । জেলা পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ জানান, জেলাজুড়ে ভালোভাবে ছট পুজো হচ্ছে । সব জায়গায় পুলিশি নিরাপত্তা রয়েছে ।
হাওড়া :
বৃহস্পতিবার ছটপুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । হাওড়ার তেলকল ঘাটে এলইডি স্ক্রিনে তা সম্প্রচার করা হয় ৷
এই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ঘাটে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, হাওড়া পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি, মন্ত্রী অরূপ রায়, জেলাশাসক দিপাপ প্রিয়া । এদিন মন্ত্রী অরূপ রায় জানান, ছটপুজোকে কেন্দ্র করে হাওড়ার সব ঘাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে । বিভিন্ন ঘাটে গঙ্গা থেকে নজরদারি চালানো হচ্ছে । হাওড়া সিটি পুলিশ এলাকার মধ্যে 143টি ঘাটে ছটপুজোর ব্যবস্থা করা হয়েছে । এছাড়াও যে কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য গঙ্গার ঘাটগুলিতে বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে ৷ ড্রোনও ব্যবহার করা হচ্ছে ৷
জেলায় জেলায় পালিত ছটপুজো, লেন্সবন্দি প্রার্থনার বিশেষ মুহূর্ত