ETV Bharat / bharat

কীভাবে কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন, পরামর্শ দিলেন ডাঃ প্রসূন দেব

আমাদের চারপাশ থেকে এই ভাইরাস কিন্তু একেবারে চলে যাবে না ৷ ভাইরাস আমাদের সমাজেই থাকবে ৷ তবে সবার শরীরে নিজে থেকেই এই ভাইরাসের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে যাবে ৷ একে বলা হয় হার্ড ইমিউনিটি ৷ তবে যাঁরা সম্পূর্ণ সুস্থ তাঁরা হয়ত বুঝতেই পারবেন না যে, তাঁরা কোরোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৷ তবে এই হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হতে সময় লাগে ৷ কখনও কখনও 6 মাস থেকে 1 বছরও লাগতে পারে ৷

image
ডাঃ প্রসূন দেব
author img

By

Published : Apr 17, 2020, 2:56 PM IST

হায়দরাবাদ, 17 এপ্রিল : বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ আকার নিয়েছে কোরোনা ভাইরাস ৷ মৃত্যু হয়েছে লক্ষাধিক মানুষের ৷ ভারতে ইতিমধ্যে 12 হাজারের বেশি মানুষের এই ভাইরাসে আক্রান্ত ৷ এই কোরোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ৷ এই পরিস্থিতিতে তাঁদেরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন ৷ দরকার বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের ৷ কোন কোন উপায়ে নিজেরা সুস্থ থেকে কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবেন তাঁরা? সেই বিষয়ে পরামর্শ দিলেন হায়দরাবাদের KIMS হাসপাতালের সিনিয়র এন্ডোক্রিনোলজিস্টস ডাক্তার প্রসূন দেব ।

তিনি বলেন, "লকডাউন উঠলেও ভাইরাস থেকে যাবে ৷ আমরা ভাগ্যবান যে, আমাদের সরকার সময় থাকতেই দেশে লকডাউন করেছে ৷ উদাহরণ হিসাবে তিনি বলেছেন, যে সব দেশ লকডাউন করেনি তাদের উন্নত পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও কোরোনা মোকাবিলায় পিছিয়ে পড়েছে ৷ লকডাউন করার ফলে সংক্রমণের হার কমে যায় ৷ তবে আমাদের চারপাশ থেকে এই ভাইরাস কিন্তু একেবারে চলে যাবে না ৷ ভাইরাস আমাদের সমাজেই থাকবে ৷ তবে সবার শরীরে নিজে থেকেই এই ভাইরাসের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে যাবে ৷ একে বলা হয় হার্ড ইমিউনিটি ৷ তবে যাঁরা সম্পূর্ণ সুস্থ তাঁরা হয়ত বুঝতেই পারবেন না যে, তাঁরা কোরোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৷ তবে এই হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হতে সময় লাগে ৷ কখনও কখনও 6 মাস থেকে 1 বছরও লাগতে পারে ৷"

ডাঃ প্রসূন দেবের পরামর্শ

চিকিৎসকদের প্রতি প্রসূন দেবের পরামর্শ, ‘‘ভারতে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও গত তিন চার সপ্তাহ দেশের চিকিৎসকরা ভালো কাজ করেছেন ৷ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সার্বিক বিচারে তার হার অনেকটাই কম ৷ তবে চিকিৎসকদের নিজেদের কিছু অভ্যাসগত পরিবর্তন আনতে হবে ৷ যে সমস্ত চিকিৎসকরা প্রযুক্তিগত ভাবে উন্নত নন, তাঁদের নতুন প্রযুক্তি শিখতে হবে ৷ টেলি মেডিসিন ও অনলাইন কনসালটেশনে জোর দিতে হবে ৷ শুধুমাত্র রিপোর্ট দেখানোর জন্য রোগীকে সশরীরে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই ৷ তবে প্রথমবার রোগীকে সাক্ষাৎ করেই দেখাই ভালো ৷ এমনকী নিজেদের ক্লিনিকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে ৷ স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে ৷ পরবর্তী 6 মাস থেকে 1 বছর বিনা মাস্কে রোগী দেখা সম্ভব নয় ৷ তাই রোগী দেখার সময় মাস্ক আবশ্যিক করতে হবে ৷ ঘন ঘন হাত ধোওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে ৷’’

চিকিৎসকদের উদ্দেশে প্রসূন দেবের আরও বার্তা, ‘‘সবসময় ভাবুন আমরা জিতছি ৷ আমরা জিতলে তবেই রোগীরা জিতবে ৷’’

হায়দরাবাদ, 17 এপ্রিল : বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ আকার নিয়েছে কোরোনা ভাইরাস ৷ মৃত্যু হয়েছে লক্ষাধিক মানুষের ৷ ভারতে ইতিমধ্যে 12 হাজারের বেশি মানুষের এই ভাইরাসে আক্রান্ত ৷ এই কোরোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ৷ এই পরিস্থিতিতে তাঁদেরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন ৷ দরকার বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের ৷ কোন কোন উপায়ে নিজেরা সুস্থ থেকে কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবেন তাঁরা? সেই বিষয়ে পরামর্শ দিলেন হায়দরাবাদের KIMS হাসপাতালের সিনিয়র এন্ডোক্রিনোলজিস্টস ডাক্তার প্রসূন দেব ।

তিনি বলেন, "লকডাউন উঠলেও ভাইরাস থেকে যাবে ৷ আমরা ভাগ্যবান যে, আমাদের সরকার সময় থাকতেই দেশে লকডাউন করেছে ৷ উদাহরণ হিসাবে তিনি বলেছেন, যে সব দেশ লকডাউন করেনি তাদের উন্নত পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও কোরোনা মোকাবিলায় পিছিয়ে পড়েছে ৷ লকডাউন করার ফলে সংক্রমণের হার কমে যায় ৷ তবে আমাদের চারপাশ থেকে এই ভাইরাস কিন্তু একেবারে চলে যাবে না ৷ ভাইরাস আমাদের সমাজেই থাকবে ৷ তবে সবার শরীরে নিজে থেকেই এই ভাইরাসের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে যাবে ৷ একে বলা হয় হার্ড ইমিউনিটি ৷ তবে যাঁরা সম্পূর্ণ সুস্থ তাঁরা হয়ত বুঝতেই পারবেন না যে, তাঁরা কোরোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৷ তবে এই হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হতে সময় লাগে ৷ কখনও কখনও 6 মাস থেকে 1 বছরও লাগতে পারে ৷"

ডাঃ প্রসূন দেবের পরামর্শ

চিকিৎসকদের প্রতি প্রসূন দেবের পরামর্শ, ‘‘ভারতে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও গত তিন চার সপ্তাহ দেশের চিকিৎসকরা ভালো কাজ করেছেন ৷ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সার্বিক বিচারে তার হার অনেকটাই কম ৷ তবে চিকিৎসকদের নিজেদের কিছু অভ্যাসগত পরিবর্তন আনতে হবে ৷ যে সমস্ত চিকিৎসকরা প্রযুক্তিগত ভাবে উন্নত নন, তাঁদের নতুন প্রযুক্তি শিখতে হবে ৷ টেলি মেডিসিন ও অনলাইন কনসালটেশনে জোর দিতে হবে ৷ শুধুমাত্র রিপোর্ট দেখানোর জন্য রোগীকে সশরীরে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই ৷ তবে প্রথমবার রোগীকে সাক্ষাৎ করেই দেখাই ভালো ৷ এমনকী নিজেদের ক্লিনিকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে ৷ স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে ৷ পরবর্তী 6 মাস থেকে 1 বছর বিনা মাস্কে রোগী দেখা সম্ভব নয় ৷ তাই রোগী দেখার সময় মাস্ক আবশ্যিক করতে হবে ৷ ঘন ঘন হাত ধোওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে ৷’’

চিকিৎসকদের উদ্দেশে প্রসূন দেবের আরও বার্তা, ‘‘সবসময় ভাবুন আমরা জিতছি ৷ আমরা জিতলে তবেই রোগীরা জিতবে ৷’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.