দিল্লি, 13 সেপ্টেম্বর : 2021 সালের মার্চ মাসের মধ্যেই তৈরি হয়ে যেতে পারে কোরোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন । জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন । বলেন, “ ভ্যাকসিন তৈরি হওয়ার কোনও দিন ঘোষণা করা না হলেও, 2021 সালের প্রথম ত্রৈমাসিকের মধ্যেই তৈরি হয়ে যেতে পারে ভ্যাকসিন ।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “সরকার প্রবীণ নাগরিক এবং বেশি ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদেরকে আগে কোরোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে।” ঐক্যমত্য হওয়ার পরেই এ-বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
কীভাবে বেশিরভাগ মানুষকে অনাক্রম্য করা হবে সে সম্পর্কে একটি বিশদ কৌশল পরিকল্পনা করছে COVID -১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগ সম্পর্কিত জাতীয় বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী । সোশাল মিডিয়ায় তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ-কথা জানিয়েছেন হর্ষ বর্ধন ।
পাশাপাশি, ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়ালের প্রক্রিয়ায় সরকার পুরোপুরি সতর্কতা অবলম্বন করছে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি । "ভ্যাকসিনের সুরক্ষা, ব্যয়, ইক্যুইটি, কোল্ড চেইনের প্রয়োজনীয়তা, উৎপাদনের সময়সীমা ইত্যাদির মতো বিষয়গুলিও তীব্রভাবে আলোচিত হচ্ছে । তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, ব্যয়বহন ক্ষমতা নির্বিশেষে যাঁদের টিকা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাঁদের জন্য এই ভ্যাকসিনটি প্রথম সরবরাহ করা হবে ।
আরও পড়ুন : DGCI-র অনুমোদন পেলে ভারতে ফের কোভিশিল্ডের ট্রায়াল : সিরাম ইনস্টিটিউট
হর্ষ বর্ধন আরও বলেন, কারও যদি বিশ্বাসের ঘাটতি থাকে, তবে তিনি নিজে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ় খুশি মনে গ্রহণ করবেন।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ব্রিটেনে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলাকালীন এক স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে পড়েন । তাঁর শরীরে কিছু বিরূপ উপসর্গ দেখা দেয় । সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করা হয় ট্রায়াল । এইদিকে একসঙ্গে ভারতেও সেই ভ্যাকসিন ট্রায়াল স্থগিত করা হয় । DGCI-র তরফে শোকজ় নোটিশ পাঠানো হয় সিরাম ইনস্টিটিউটকে । DGCI জানতে চায়, কেন সিরাম ইন্সটিউট এখনও ট্রায়ালের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে । কেন ব্রিটেনের রোগীদের বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হয়নি ।