ভোপাল, 15 জুন: লকডাউনের আগে পর্যটকদের কোলাহলে গম গম করত মধ্যপ্রদেশের বিখ্যাত খাজুরাহো মন্দিরগুলো। কিন্তু, কোরোনা ভাইরাসের জেরে কার্যত জনশূন্য হয়েছে পড়েছে মন্দির চত্বর। পাশাপাশি এই অঞ্চলের পর্যটন ব্যবসাও ব্যাপক হারে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
কোরোনা সংক্রমণের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দেশের পর্যটন শিল্পে। বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলো এখন জনশূন্য হয়ে পড়েছে। ক্ষতির মুখে হোটেল ও পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসাগুলো। ঠিক এমনই চিত্র মধ্যপ্রদেশের ছত্রপুর জেলার খাজুরাহো শহরের। এই শহরের প্রায় 25 হাজার পরিবার পর্যটন ব্যবসার মাধ্যমেই রোজগাড় করে থাকেন। কিন্তু, লকডাউনের ফলে শহরের হোটেল গুলোর পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসাও মুখ থুবড়ে পড়েছে। যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন এই শহরের বাসিন্দারা।
বিশ্ববিখ্যাত খাজুরাহো মন্দিরগুলোর দর্শনে দেশ তো বটেই বিদেশ থেকেও প্রতিবছর অনেক পর্যটক ভিড় জমান। মধ্যপ্রদেশ সরকারের পর্যটক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খাজুরাহো মন্দিরে গত বছর 2 লাখ 76 হাজার পর্যটক আসেন। পাশাপাশি এই মন্দির দর্শনে বিদেশ থেকে 51 হাজার 302 জন পর্যটক আসেন গত বছর।
শহরের এক হোটেলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অরুণ তালওয়ার বলেন, “খাজুরাহোর বেশিরভাগ বাসিন্দা পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। পর্যটকেরা দিল্লি আগ্রা থেকে ট্রেনে করে এখানে বেরাতে আসতেন। কিন্তু বিগত তিন মাস ধরে পর্যটক ব্যবসা থমকে গিয়েছে। এই মুহুর্তে 90 শতাংশ হোটেল কর্মী কর্মহীন হয়ে পড়েছে।”
খাজুরাহোর এক হোটেলের মালিক অশোক গৌতম বলেন, “অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত পর্যটক আসার সবথেকে ভালো সময়। কিন্তু, কোরোনার ফলে 2019-20 অর্থবর্ষে পর্যটন ব্যবসা ব্যপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতি ঠিক হতে 2 থেকে 3 বছর সময় লাগবে। তার আগে পরিস্থিতি ঠিক হওয়া সম্ভব নয়।”
লকডাউন উঠে গেলেই পর্যটন ব্যবসা স্বাভাবিক হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে এখনও 2 থেকে 3 বছর সময় লাগবে বলে মত পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের। কিন্তু ততদিন কীভাবে সংসার চালাবেন সেবিষয়ে সন্দিহান খাজুরাহো শহরের বাসিন্দারা।