দিল্লি, 14 জুন: অটো মোবাইল ডিলারদের কেন্দ্রীয় সংগঠন ফেডারেশন অফ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (FADA)-র আশঙ্কা কোরোনা সংকটের জেরে কাজ হারাতে পারেন অটো মোবাইলের সঙ্গে যুক্ত বহু কর্মী। যা গতবছরের অটো মোবাইল শিল্পে মন্দার ফলে দু-লাখ কর্মহীনের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। এমনই জানিয়েছেন, FADA-র এক কর্তা। যার সম্পূর্ণ সংখ্যাটি পাওয়া যাবে চলতি মাসের শেষে। গাড়ির বিক্রে কমায় কোন ডিলাররা কত সংখ্যক শোরুম বন্ধ করল এবং তার ফলে কত সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই হয়েছে তা জানতে FADA একটি সার্ভে করছে। FADA-র সভাপতি আশিস হর্ষরাজ কালে জানিয়েছেন, “COVID-19-র জেরে গাড়ি ব্যবসায় প্রচুর কর্মী কাজ হারাবেন। যদি না গাড়ি বিক্রি বাড়ে। যা 2019 -র গাড়ি শিল্পের মন্দার জেরে কর্মী ছাঁটাইয়ের অঙ্ককে ছাপিয়ে যাবে। ”
আশিসবাবু বলেন, “গত বছর মে থেকে জুলাই মাসের মধ্যে দু লাখ কর্মী কাজ হারিয়েছিলেন। এবার কোরোনার জেরে কতজন কাজ হারালেন তা স্পষ্ট বোঝা যাবে এই মাসের পরে। এপ্রিল এবং মে মাস পুরোপুরি লকডাউন ছিল। ফলে বোঝাই যাচ্ছে গাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রে তা কতটা প্রভাব পড়েছে। তিনি আরও বলেন, এই মাসের শেষে সম্পূর্ণ ছবিটা স্পষ্ট হবে, যে লকডাউনের জেরে অর্থনীতি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কোন ক্ষেত্রে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহর-গ্রামীণ না উভয় জায়গারতেই, উচ্চবিত্ত না মধ্যবিত্ত কাদের উপর বেশি এর প্রভাব পড়েছে। আমরা জুন মাসের শেষে বুঝতে পারব মানুষের চাহিদা কি, কোন ধরণের গাড়ির উপর মানুষের চাহিদা বেড়েছে সে সব বিষয়ে। এটি বোঝার পর আমরা আরও একটি সমীক্ষা করব, ডিলারদের নিয়ে। সেখানে দেখা হবে তাঁরা আউটলেট কমিয়ে এবং কর্মী ছাঁটাই করে কীভাবে এই সংকটকে সামলাচ্ছেন।”
আশিসবাবু আরও বলেন, “কর্মী ছাঁটাই করতে ডিলারদের ক্ষেত্রে খুব একটা সহজ হবে না। কারণ কর্মীরাই আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। আমরা তাঁদের দীর্ঘদিন ধরে প্রশিক্ষণ দিয়ে এই ব্যবসার জন্য উপযুক্ত করেছি। তাই আমরা কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়টা সবার শেষে রাখছি। আমরা অন্যান্য সমস্ত রকম বাড়তি খরচ কমানোর পর কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা ভাববো। তাই আমরা বলছি কত জন কর্মী কাজ হারালেন তা এই মাসের শেষে জানা যাবে। যদি গাড়ির চাহিদা না বাড়ে তবেই কর্মী ছাঁটাই করা হবে।”
FADA-র সভাপতি জানিয়েছেন, “এখনও পর্যন্ত কোনও ডিলারশিপ বন্ধ হয়নি। এই শিল্পে এত সহজে কোনও ডিলারশিপ বন্ধ হয় না। যদিও এতসব খারাপ খবরের মধ্যে একটি ভালো খবর হল, এই পরিস্থিতিতেও গাড়ি সার্ভিসিং-এর ব্যবসা ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এখনই কোনো ডিলার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়নি। তাঁরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। ”