দিল্লি, 13 মে : বড় সাফল্য NCB-র। গ্রেটার নয়ড়ার একটি বাড়ি থেকে 1,818 KG সেউডোফেনড্রাইন বাজেয়াপ্ত করল NCB। একই সঙ্গে মাদক তৈরি, মজুত ও পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে । এরমধ্যে দু'জন নাইজেরিয়ান নাগরিক । অন্যজন দক্ষিণ আফ্রিকার ।
জানা গেছে, বাড়িটি IPS অফিসারের। এই বাড়িতে মাদক তৈরি হত। ভারতীয় মুদ্রায় বাজেয়াপ্ত করা মাদকের মূল্য 1,000 কোটিরও বেশি ।
NCB-র জ়োনাল ডিরেক্টর মাধব সিং জানিয়েছেন, ভারতে এখনও পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ মাদক উদ্ধারের ঘটনা । NCB-র আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে 31 বছর বয়সি এক সাউথ আফ্রিকান মহিলাকে আটক করে CISF। তার নাম নোমসা লুটালো। তল্লাশি করার সময় তাঁর ব্যাগ থেকে 24.7 KG সেউডোফেনড্রাইন পাওয়া যায়। তাকে জেরা শুরু করে CISF।
জেরায় এই মহিলা জানায়, গ্রেটার নয়ডার দুই নাইজেরিয়ান তাকে এই মাদক জোহানেসবার্গে নিয়ে যেতে বলেছে । বদলে তাকে মোটা অঙ্কের অর্থ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ওই মহিলার বয়ানের ভিত্তিতে গ্রেটার নয়ডার একটি বাড়িতে হানা দেয় NCB।
মাধব সিং জানিয়েছেন, ওই বাড়িতে হেনরি ইডেফোর ও চিমান্ডো ওকোরা নামে দুই নাইজেরিয়ান পুরুষ ও মহিলা থাকত। বাড়িতে তল্লাশির সময়ে একাধিক কন্টেনার পাওয়া যায়। কন্টেনারগুলো থেকে 1,818 KG সেউডোফেনড্রাইন পাওয়া যায়। এছাড়াও 1.9 KG কোকেন উদ্ধার হয়েছে ।
নারকোটিক ড্রাগ ও সাইকোট্রপিক ওষুধের পাচার রুখতে 1988 সালে কড়া নিয়ম প্রণয়ন করে রাষ্ট্রপুঞ্জ। 23টি মূল উপাদানকে চিহ্নিত করা হয়। সেউডোফেনড্রাইন এর মধ্যে একটি।
জেরায় ইডেফোর ও ওকোরা জানিয়েছে, তারা 2015 সাল থেকে এই বাড়ি ভাড়া করে থাকছে। বিভিন্ন অবৈধ সংস্থা থেকে রাসায়নিক সংগ্রহ করে । এবং মাদক তৈরির জন্য তা মজুত করে । সেউডোফেনড্রাইন দিয়ে তারা নকল হেরোইন প্রস্তুত করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠাত । দিল্লিতেও তারা মাদক সরবরাহ করত । এছাড়া আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে সেউডোফেনড্রাইন ও মাদক পাঠাত ।
জানা গেছে, বাড়ির মালিক IPS দেবেন্দ্র পি এন পান্ডে। তিনি লখনউতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অপরাধ দমন শাখায় কর্মরত। NCB-কে জানিয়েছেন, এক দালালের মাধ্যমে বাড়ি ভাড়ায় দিয়েছিলেন । গত একবছর ধরে বাড়িভাড়াও পাননি । ঘটনা নিয়ে তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ।