দিল্লি, 12 জুন : কোরোনা যুদ্ধের সৈনিক তাঁরা । দিন-রাত নিরলসভাবে লড়ে চলেছেন । তাই তাঁদের সমস্যাগুলিকে সর্বাগ্রে খতিয়ে দেখতে হবে । দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করতে হবে ।চিকিৎসকদের সমস্য়া নিয়ে দাখিল হওয়া মামলায় আজ একথা জানাল শীর্ষ আদালত ।
চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের সমস্যাগুলিকে খতিয়ে দেখছে না সরকার । দেশের নানা প্রান্তে এমনই অভিযোগ উঠছে । কোথাও সামাজিক দূরত্ব না মেনেই একসঙ্গে রেখে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসকদের । কোথাও আবার হাসপাতালের বিরুদ্ধে বেতন না দেওয়ার অভিযোগ উঠছে । এনিয়ে আজ শীর্ষ আদালতে মামলা দাখিল করেন আরুশি জৈন ৷ তাঁর অভিযোগ, হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে ডিউটির পর চিকিৎসকদের 7-14 দিনের জন্য কোয়ারানটিনে পাঠানো হচ্ছে । কোয়ারানটিন বলা হলেও, তাঁদের কোনও একটি হোটেল বা গেস্ট হাউজ়ে সামাজিক দূরত্ব না মেনে একসঙ্গে রেখে দেওয়া হচ্ছে । এতে সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বাড়ছে । এর সঙ্গেই হায়দরাবাদে ও দিল্লির একাধিক হাসপাতালে বেতন না দেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে । এই মামলার শুনানি চলাকালীন আজ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শীর্ষ আদালত । সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের সমস্যাগুলিতে আরও ভালো করে নজর দিতে হবে সরকারকে । কারণ অসন্তুষ্ট যোদ্ধা নিয়ে কোরোনা যুদ্ধ লড়তে পারবে না দেশ ।
আজ বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানি চলাকালীন সরকারের তরফের আইনজীবী ছিলেন সলিসিটর জেনেরাল তুষার মেহতা ৷ আবেদনকারীর আইনজীবী ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী KV বিশ্বনাথন ৷ আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন, যাঁরা কোরোনা মোকাবিলায় একদম কাছ থেকে লড়ছেন, তাঁদের যথাযথ PPE সরবরাহ করা হচ্ছে না । বেতন দেওয়া হচ্ছে না । তাঁরা সমস্যায় রয়েছেন । এর জবাবে সলিসিটর জেনেরাল তুষার মেহতা বলেন, হতে পারে আমার বিবাদী পক্ষের কাছে কিছু বিশেষ তথ্য রয়েছে । যার উপর তিনি কথা বলছেন । তবে চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের সমস্যা ও তা সমাধানের প্রচেষ্টাকে সর্বদা স্বাগত জানাই ।"
শুনানি শেষে শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে সরকারকে । দেশে কোরোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিস্থিতি ৷ এই সময় যুদ্ধের কোনও সৈন্য অসন্তুষ্ট থাকতে পারে না ৷ সরকারকে আরও গভীরভাবে বিষয়গুলিকে খতিয়ে দেখতে হবে । কারণ যদি কোরোনা যুদ্ধের সৈন্য অসন্তুষ্ট থাকে, তাহলে এই যুদ্ধ লড়তে পারবে না দেশ ।