দিল্লি, 30 এপ্রিল : লকডাউনে আটকে থাকা শ্রমিক, পুণ্যার্থী, পর্যটক ও পড়ুয়াদের নিজেদের রাজ্যে ফেরার অনুমতি দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক । গতকাল নির্দেশিকা জারি করে এই অনুমতি দেওয়া হয় । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল কংগ্রেস । পাশাপাশি রাজ্যগুলিকে এই নির্দেশিকা মানার জন্যও বলা হয় কংগ্রেসের তরফে ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পি চিদম্বরম টুইটও করেন । তিনি লেখেন, "লকডাউনে আটকে থাকা মানুষদের নিজেদের রাজ্যে ফেরানোর জন্য শুধুমাত্র বাস যথেষ্ট নয় । তাই স্যানিটাইজ়ড ট্রেনের ব্যবস্থা করতে পারলে ভালো হয় ।"
-
I welcome the decision of the government to allow inter-state movement of migrant workers and students after testing them by bus.
— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) April 29, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
This has been a demand of the Congress party since mid-April.
">I welcome the decision of the government to allow inter-state movement of migrant workers and students after testing them by bus.
— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) April 29, 2020
This has been a demand of the Congress party since mid-April.I welcome the decision of the government to allow inter-state movement of migrant workers and students after testing them by bus.
— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) April 29, 2020
This has been a demand of the Congress party since mid-April.
অন্যদিকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ও লেফটেন্যান্ট গভর্নর জি সি মুর্মুর কাছে বাংলাদেশে আটকে থাকা জম্মু ও কাশ্মীরের পড়ুয়াদের ফেরার বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি । এই বিষয়ে কংগ্রেসের তরফে একটি বিবৃতিও জারি করা হয় । তাতে বলা হয়, "বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সামনে বাংলাদেশে আটকে থাকা পড়ুয়াদের বিষয়টি তুলে ধরেছেন আজ়াদ । একইসঙ্গে যেহেতু পড়ুয়াদের কোয়ারানটিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে তাই তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য অনুরোধও করেছেন । " গুলাম নবি আজ়াদের এই অনুরোধ পূরণে বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলেও বিবৃতিতে জানানো হয় । গুলাম নবি বিষয়টি জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর জি সি মুর্মুর সামনেও তুলে ধরেছেন । তিনিও বাংলাদেশে আটকে থাকা পড়ুয়াদের ফেরানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ।
-
अकेले बसें पर्याप्त नहीं होंगी। बेहतर होगा कि सेनीटाइज करके ट्रेन से अपने गृह राज्य में वापस जाने की इच्छा रखने वाले बड़ी संख्या में लोगों को पॉइंट टू पॉइंट स्थानांतरित किया जाए।
— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) April 29, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">अकेले बसें पर्याप्त नहीं होंगी। बेहतर होगा कि सेनीटाइज करके ट्रेन से अपने गृह राज्य में वापस जाने की इच्छा रखने वाले बड़ी संख्या में लोगों को पॉइंट टू पॉइंट स्थानांतरित किया जाए।
— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) April 29, 2020अकेले बसें पर्याप्त नहीं होंगी। बेहतर होगा कि सेनीटाइज करके ट्रेन से अपने गृह राज्य में वापस जाने की इच्छा रखने वाले बड़ी संख्या में लोगों को पॉइंट टू पॉइंट स्थानांतरित किया जाए।
— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) April 29, 2020
জম্মু ও কাশ্মীরের যেসমস্ত পড়ুয়া, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, শ্রমিক হিমাচলপ্রদেশ, দিল্লি ও পঞ্জাবে আটকে রয়েছেন তাঁদের দ্রুত ফেরানোর জন্যও লেফটেন্যান্ট গভর্নর জি সি মুর্মু ও সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন গুলাম নবি আজ়াদ । কংগ্রেসের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, "হিমাচলপ্রদেশ, দিল্লি ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীরা জম্মু ও কাশ্মীরের পড়ুয়াদের ফেরানোর জন্য ব্যবস্থা করার বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেছেন ।"
অধীররঞ্জন চৌধুরি বলেন, "দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর হাজার হাজার শ্রমিক বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েন । আমরা সরকারকে প্রতিনিয়ত তাঁদের সাহায্য করার জন্য পদক্ষেপ করতে বলেছি । বাড়ি ফেরার জন্য বিভিন্ন রাজ্যে আটকে থাকা পশ্চিমবঙ্গের অনেক শ্রমিকের থেকে আমি ফোন পেয়েছি । " এই সমস্ত শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা সরকারের দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেন অধীর । পাশাপাশি তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিভিন্ন জায়গায় আটকে থাকা রাজ্যের শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য দাবি জানান ।
বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া শ্রমিকসহ প্রত্যেকের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করতে আন্তঃরাজ্য যোগাযোগ চালু করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে গতকাল একটি নির্দেশিকা জারি করা হয় । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জারি করা ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, আটকে পড়া শ্রমিক, পুণ্যার্থী, পর্যটক ও পড়ুয়াদের যাওয়া-আসার বিষয়টির ক্ষেত্রে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নিজেদের প্রোটোকলকে আরও উন্নত করতে হবে । এই পুরো প্রক্রিয়া সড়কপথে সম্পন্ন করা হবে । নিজেদের রাজ্যে ফেরার পর সংশ্লিষ্টদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শারীরিক পরীক্ষা করতে হবে । পাশাপাশি তাঁদের হোম কোয়ারানটিনে থাকতে হবে ।