ETV Bharat / bharat

রেলের আইসোলেশন কামরায় পরিষেবা কেমন ? জানাচ্ছেন প্রাপক

author img

By

Published : Jun 24, 2020, 5:09 AM IST

ভারতীয় রেলের তরফে অনেক কামরা আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিণত করা হয়েছে । কোরোনা সন্দেহজনক ব্যক্তিদের রাখা হচ্ছে সেই কামরায় । অভিজ্ঞতা জানালেন কামরায় থাকা প্রথম ব্যক্তি ।

isolation
isolation

দিল্লি, 24 জুন : অভিজ্ঞতার কথা জানালেন ভারতীয় রেলের আইসোলেশন কামরায় থাকা প্রথম ব্যক্তি । পরিষ্কার শৌচাগার, রং-চিহ্নিত আবর্জনাপাত্র, অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং হাসপাতালের প্রয়োজনীয় সামগ্রী রয়েছে আইসোলেশন কামরাগুলিতে । যা অন্য যে কোনও ভালো হাসপাতালে পাওয়া যায়, জানান ওই ব্যক্তি । ভারতীয় রেলের তরফে COVID-19 সন্দেহজনক ব্যক্তিদের পৃথকীকরণের জন্য অনেক কামরা আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিবর্তন করা হয়েছে ।

একটি সংবাদসংস্থার তরফে উত্তরপ্রদেশের কৃষ্ণকান্ত শর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল । আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা প্রথম ব্যক্তি কৃষ্ণকান্ত । জানালেন, “আমি ট্রেনে, বাসে অনেকবার যাত্রা করেছি । কিন্তু এই অভিজ্ঞতা আমায় চমকে দিয়েছে । আমি যখন রেলের ওই আইসোলেশন কামরায় ঢুকলাম, আমার মনে হল যে কোনও সুযোগ সুবিধা আমি এখানে পাব । আমার সমস্যা হবে না ।” তবে রেল কামরায় মশার উপদ্রব নিয়ে অসন্তুষ্ট কৃষ্ণকান্ত । বললেন, “সিটের নিচ থেকে মশা বের হয়ে আসে । মশা ঘোরাফেরা করে চারিদিকে । সিটের নিচেও স্প্রে করা উচিত ।”

উত্তরপ্রদেশের প্রথম 59জন COVID-19 সন্দেহজনক ব্যক্তি, যাঁদের ট্রেনের আইসোলেশন কামরায় রাখা হয়েছিল । তাঁদের মধ্যে ছিলেন কৃষ্ণকান্ত এবং তাঁর পরিবারের পাঁচজন । সেখানে তাঁর স্ত্রী নীতু এবং তাঁর 11মাসের শিশুকন্যাও ছিল । উত্তরপ্রদেশের তরফে এরকম 372টি কামরাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিবর্তিত করা হয়েছে । যেখানে ওই সন্দেহজনক ব্যক্তিদের রাখা হয়েছিল । কৃষ্ণকান্ত এবং তাঁর পরিবার মুম্বই থেকে ফেরেন । এরপরই তাঁদের 20জুন আইসোলেশন কামরায় পাঠানো হয় । প্রত্যেকের সোয়াব নমুনা পরীক্ষা করা হয় । প্রত্যেকের রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় তাঁদের বাড়ি পাঠানো হয় । এবং সেই একই কামরা থেকে আরও দুই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয় ।

রেল কর্তৃপক্ষের তরফে কামরাগুলির বিষয়ে জানানো হয়েছে, অসুস্থের যত্ন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু COVID কেয়ার কামরাগুলিতে রয়েছে । বায়ো-টয়লেট, স্নানের ব্যবস্থা, অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং অন্যান্য । কিন্তু শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যে কামরাগুলি নয়, সেই কামরাগুলিতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে । তাও পেডেস্টাল ফ্যান এবং অন্যান্য ব্যবস্থা করে যথাসম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে ।

অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন নীতুও । তিনি বলেন, “শৌচাগার পরিষ্কার রাখা হত । পরিষ্কার করা হত কামরাও । কিন্তু মশার উপদ্রব প্রচণ্ড বেশি । যখন আপনি এক অসুখ থেকে বাঁচতে সেইখানে যাচ্ছেন কিন্তু অন্য অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন, সেক্ষেত্রে কী অর্থ দাঁড়ায় ? কর্তৃপক্ষের সন্দেহজনক ব্যক্তিদের ছাড়ার আগে তাঁদের ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়াও পরীক্ষা করা উচিত । আমার 11মাসের মেয়েকে মশা কামড়াচ্ছিল এবং ও কাঁদছিল ।”

কেমন খাবার দেওয়া হত তাঁদের ? কৃষ্ণকান্ত জানান, খাবারের আয়োজন করত স্থানীয় প্রশাসন । রেলের কামরায় থেকে তো আর ঘরের খাবারের কথা ভাবা যায় না । কিন্তু চারজন শিশুর জন্য দেড় লিটার দুধ যথেষ্ট নয় । রাজ্য সরকারের কাছে কামরায় পরিমাণ মতো খাবারের অনুরোধ জানান কৃষ্ণকান্ত ।

ভারতীয় রেলের তরফে ইতিমধ্যেই 960টি কামরার বন্দোবস্ত করা হয়েছে । সেই কামরাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিবর্তিত করা হয়েছে । 503টি কামরার ব্যবস্থা করা হয়েছে দিল্লিতে এবং 372টি আইসোলেশন কামরা রয়েছে উত্তরপ্রদেশে ।

দিল্লি, 24 জুন : অভিজ্ঞতার কথা জানালেন ভারতীয় রেলের আইসোলেশন কামরায় থাকা প্রথম ব্যক্তি । পরিষ্কার শৌচাগার, রং-চিহ্নিত আবর্জনাপাত্র, অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং হাসপাতালের প্রয়োজনীয় সামগ্রী রয়েছে আইসোলেশন কামরাগুলিতে । যা অন্য যে কোনও ভালো হাসপাতালে পাওয়া যায়, জানান ওই ব্যক্তি । ভারতীয় রেলের তরফে COVID-19 সন্দেহজনক ব্যক্তিদের পৃথকীকরণের জন্য অনেক কামরা আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিবর্তন করা হয়েছে ।

একটি সংবাদসংস্থার তরফে উত্তরপ্রদেশের কৃষ্ণকান্ত শর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল । আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা প্রথম ব্যক্তি কৃষ্ণকান্ত । জানালেন, “আমি ট্রেনে, বাসে অনেকবার যাত্রা করেছি । কিন্তু এই অভিজ্ঞতা আমায় চমকে দিয়েছে । আমি যখন রেলের ওই আইসোলেশন কামরায় ঢুকলাম, আমার মনে হল যে কোনও সুযোগ সুবিধা আমি এখানে পাব । আমার সমস্যা হবে না ।” তবে রেল কামরায় মশার উপদ্রব নিয়ে অসন্তুষ্ট কৃষ্ণকান্ত । বললেন, “সিটের নিচ থেকে মশা বের হয়ে আসে । মশা ঘোরাফেরা করে চারিদিকে । সিটের নিচেও স্প্রে করা উচিত ।”

উত্তরপ্রদেশের প্রথম 59জন COVID-19 সন্দেহজনক ব্যক্তি, যাঁদের ট্রেনের আইসোলেশন কামরায় রাখা হয়েছিল । তাঁদের মধ্যে ছিলেন কৃষ্ণকান্ত এবং তাঁর পরিবারের পাঁচজন । সেখানে তাঁর স্ত্রী নীতু এবং তাঁর 11মাসের শিশুকন্যাও ছিল । উত্তরপ্রদেশের তরফে এরকম 372টি কামরাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিবর্তিত করা হয়েছে । যেখানে ওই সন্দেহজনক ব্যক্তিদের রাখা হয়েছিল । কৃষ্ণকান্ত এবং তাঁর পরিবার মুম্বই থেকে ফেরেন । এরপরই তাঁদের 20জুন আইসোলেশন কামরায় পাঠানো হয় । প্রত্যেকের সোয়াব নমুনা পরীক্ষা করা হয় । প্রত্যেকের রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় তাঁদের বাড়ি পাঠানো হয় । এবং সেই একই কামরা থেকে আরও দুই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয় ।

রেল কর্তৃপক্ষের তরফে কামরাগুলির বিষয়ে জানানো হয়েছে, অসুস্থের যত্ন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু COVID কেয়ার কামরাগুলিতে রয়েছে । বায়ো-টয়লেট, স্নানের ব্যবস্থা, অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং অন্যান্য । কিন্তু শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যে কামরাগুলি নয়, সেই কামরাগুলিতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে । তাও পেডেস্টাল ফ্যান এবং অন্যান্য ব্যবস্থা করে যথাসম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে ।

অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন নীতুও । তিনি বলেন, “শৌচাগার পরিষ্কার রাখা হত । পরিষ্কার করা হত কামরাও । কিন্তু মশার উপদ্রব প্রচণ্ড বেশি । যখন আপনি এক অসুখ থেকে বাঁচতে সেইখানে যাচ্ছেন কিন্তু অন্য অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন, সেক্ষেত্রে কী অর্থ দাঁড়ায় ? কর্তৃপক্ষের সন্দেহজনক ব্যক্তিদের ছাড়ার আগে তাঁদের ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়াও পরীক্ষা করা উচিত । আমার 11মাসের মেয়েকে মশা কামড়াচ্ছিল এবং ও কাঁদছিল ।”

কেমন খাবার দেওয়া হত তাঁদের ? কৃষ্ণকান্ত জানান, খাবারের আয়োজন করত স্থানীয় প্রশাসন । রেলের কামরায় থেকে তো আর ঘরের খাবারের কথা ভাবা যায় না । কিন্তু চারজন শিশুর জন্য দেড় লিটার দুধ যথেষ্ট নয় । রাজ্য সরকারের কাছে কামরায় পরিমাণ মতো খাবারের অনুরোধ জানান কৃষ্ণকান্ত ।

ভারতীয় রেলের তরফে ইতিমধ্যেই 960টি কামরার বন্দোবস্ত করা হয়েছে । সেই কামরাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিবর্তিত করা হয়েছে । 503টি কামরার ব্যবস্থা করা হয়েছে দিল্লিতে এবং 372টি আইসোলেশন কামরা রয়েছে উত্তরপ্রদেশে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.