শ্রীহরিকোটা, 14 জুলাই : ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে চলেছে ভারত। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
রবিবার মাঝ রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে চাঁদে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-2। পৌঁছে গিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও ।
এই উৎক্ষেপণের মূল উদ্দেশ্য, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর রহস্যের সন্ধান করা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই দক্ষিণাংশেই মিলতে পারে জল ও জীবাশ্মের সন্ধান। এর আগে দক্ষিণ মেরুতে কেউ সন্ধান করেনি। চাঁদের এই অঞ্চলের মাটি কেমন, সেখানে বরফের পুরু স্তর বা তরল জলের ধারা আদৌ উপস্থিত কি না তা খুঁজে দেখাই চন্দ্রযান-2-এর মূল উদ্দেশ্য। এই অভিযান সফল হলে ভারত বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদে ‘পা’ রাখবে। আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিন একাধিক বার একই ধরনের অভিযান করেছে ।
ভারতীয় সময় রাত 2.51 মিনিটে মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার কথা যানের । বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, 16 মিনিট পর মহাকাশের নির্দিষ্ট কক্ষপথে (অর্বিট) পৌঁছে যাবে মহাকাশ যানটি। অর্বিটার, বিক্রম নামের একটি ল্যান্ডার এবং রোভার প্রজ্ঞান- এই তিনটি মডেল থাকছে মহাকাশযানটিতে। অর্বিটারটি থাকবে চাঁদের উপরের অংশে। সেখান থেকে বিভিন্ন খনিজের ছবি তুলবে ও ম্যাপিং করা হবে। বিক্রম অর্থাৎ ল্যান্ডারটি চাঁদের ভূমিকম্প এবং তাপমাত্রা সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যবেক্ষণ জারি রাখবে। পাশাপাশি, রোভারটি চলমান যানের মাধ্যমে চাঁদের মাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার চন্দ্র অভিযানে নাম লিখিয়ে ফেলল ISRO। এর আগে 2008 সালের22 অক্টোবর উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল চন্দ্রযান-1 ।
তিনটি অংশের প্রায় পুরোটাই ভারতে তৈরি । সে কারণেই খরচও হয়েছে খানিকটা কম । এই তিনটি অংশ এবং মূল মহাকাশযানের মিলিত ওজন প্রায় 3850 কেজি। চন্দ্রযান-2 তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় 978 কোটি টাকা, যা সবচেয়ে কম খরচে হওয়া চন্দ্রাভিযানগুলির মধ্যে অন্যতম।