কলকাতা, ৮ মার্চ : "যে সরকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নথি সামলাতে পারে না, তারা দেশ চালাবে কী করে?" রাফাল চুক্তির নথি চুরি যাওয়া নিয়ে গতকাল এভাষাতেই কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এই ইশুতে তদন্তের দাবিও জানান তিনি।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টে রাফাল মামলার শুনানি ছিল। কেন্দ্রের তরফে শীর্ষ আদালতে জানানো হয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অফিস থেকে রাফাল চুক্তির নথি চুরি গেছে। যা নিয়ে সরগরম জাতীয় রাজনীতি।
এপ্রসঙ্গে গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নথিপত্র তো প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছেই আছে। দেশের অভ্যন্তরীণ সার্বভৌমত্ব, সীমান্ত থেকে শুরু করে নিরাপত্তার যাবতীয় তথ্য তো ওই মন্ত্রকেই থাকে। কী করে সেখান থেকে চুরি হল? এই সরকার যত তাড়াতাড়ি চলে যায়, ততই দেশের পক্ষে ভালো।"
তাঁর প্রশ্ন, "অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা যদি সুরক্ষিত না থাকে তাহলে দেশের নিরাপত্তা সুরক্ষিত থাকবে কী করে ? এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।"
রাফাল ইশুতে দীর্ঘদিন ধরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। পুলওয়ামা হামলার পর দিনকয়েক বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে থাকলেও ফের এনিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। যদিও বুধবার শীর্ষ আদালতে শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রের তরফে অ্যাটর্নি জেনেরাল কে কে বেণুগোপাল বলেন, রাফাল ছাড়া পাকিস্তানের F-16 যুদ্ধবিমানের হামলা প্রতিহত করা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়ে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এরপর পাকিস্তানের F-16 যুদ্ধবিমান ভারতীয় আকাশসীমায় প্রবেশ করলে মিগ-২১ বাইসন নিয়ে সেটিকে ধ্বংস করেন উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভারতীয় যুদ্ধবিমানটিও। সেকথা মাথায় রেখেই সম্প্রতি গুজরাতের জামনগরে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, "এয়ার স্ট্রাইকের সময় যদি রাফাল হাতে থাকত তাহলে আমাদের কোনও যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হত না। বরং শত্রুপক্ষের সব বিমানকে ধ্বংস করা যেত।"