বেঙ্গালুরু, 7 জুলাই : কর্নাটকে এইচ ডি কুমারাস্বামীর জোট সরকার গভীর সংকটে । গতকালই শাসক জোটের 11 জন বিধায়ক স্পিকারের অফিসে গিয়ে পদত্যাগ করেন । এর জেরে বিধানসভায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে কুমারস্বামীর সরকার । জোড়ালো হয়েছে BJP-র সরকার গঠনের সম্ভাবনা । সরকার গঠনের ক্ষেত্রে BJP-র পরিকল্পনা প্রসঙ্গে দলের রাজ্য সভাপতি বি এস ইয়েদুরাপ্পা বলেন, "BJP সন্ন্যাসীদের দল নয় । বিধানসভার স্পিকার বিধায়কদের পদত্যাগ গ্রহণ করলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব আমরা ।"
কর্নাটক বিধানসভায় আসন সংখ্যা 225 । ম্যাজিক ফিগার 113 । গতবছর বিধানসভা ভোটে জনতা দল (সেকুলার) 37টি এবং কংগ্রেস 80টি আসন পেয়েছিল । BJP পেয়েছিল 105টি আসন । নির্বাচনের পর কংগ্রেস ও জনতা দল (সেকুলার) জোট করে সরকার গঠন করে । গত সোমবার ইস্তফা দেন কংগ্রেস ও জনতা দল (সেকুলার) - এর একজন করে বিধায়ক । 11 বিধায়ক পদত্যাগ করায় শাসক জোটের বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে 105 । ফলে সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারিয়েছে জোট সরকার । এর পরেই BJP-র তরফে দাবি জানানো হয় যে, জোট সরকার সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ না করতে পারলে তাদের সরকার গঠন করতে আহ্বান জানানো হোক । ইয়েদুরাপ্পা বলেন, "আমরা আগে দেখি কী ঘটে । তারপর সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ।"
এদিকে এই প্রসঙ্গে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে BJP-কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে অভিযোগ করেন, "সংবাদমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে । আমাদের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা চলছে ।" BJP-র বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ তুলেছেন তিনি । পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদিকে মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গে তুলনা করে মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, "মহম্মদ বিন তুঘলকের পরে সেই একই মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিকে আমরা দেখছি । তিনি নরেন্দ্র মোদি ।"
জোট সরকার বাঁচানোর চেষ্টা অবশ্য এখনও অব্যাহত । আজ সকালেও কংগ্রেস ও জনতা দল (সেকুলার) জোটের বিধায়কদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেছেন । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও জনতা দলের (সেকুলার) নেতা এইচ ডি দেবেগৌড়া ও রাজ্যের কংগ্রেস পর্যবেক্ষক কে সি বেণুগোপাল ।