ব্রাহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিজ়াইল ভারতীয় সেনাবাহিনীর অস্ত্র ভাণ্ডারের অন্যতম বড় শক্তি ৷ শত্রুদেশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের অন্যতম অস্ত্র এই সুপারসনিক মিজ়াইল ৷ ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে তৈরি করেছে ব্রাহ্মোস ৷ ভূমি, জাহাজ বা যুদ্ধবিমান, তিন জায়গা থেকেই ছোঁড়া যায় এই মিজ়াইল ৷ তাই ভারতীয় সেনার তিন বাহিনীই এই ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার করতে পারে ৷
2006 সাল থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে রয়েছে ব্রাহ্মোস ৷ একাধিকবার এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল প্রয়োগ করা হয়েছে ৷ 3 হাজার 700 কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ছুটে যাওয়া ব্রাহ্মোস হল বিশ্বের দ্রুততম অ্যান্টি শিপ ক্রুজ মিজ়াইল ৷ শব্দের চেয়েও 3 গুণ বেগে ছুটে গিয়ে শত্রুর জাহাজে আঘাত হানে এই মিজ়াইল ৷
ব্রাহ্মোসের ভাগ
- ক্রুজ মিজ়াইল
- এয়ার লঞ্চড ক্রুজ মিজ়াইল
- অ্যান্টি শিপ মিজ়াইল
- ল্যান্ড অ্যাটাক মিজ়াইল
- সারফেস টু সারফেস মিজ়াইল
ব্রাহ্মোসের নামের পিছনেও গল্প রয়েছে ৷ ভারত ও রাশিয়ার দুই নদীর নাম অনুসারে রাখা হয়েছে এর নাম ৷ ভারতের ব্রহ্মপুত্র ও রাশিয়ার মস্কোভা নদীর নাম মিলিয়ে রাখা হয়েছে বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর এই নৌবহর ধ্বংসকারী মিজ়াইলের নাম ৷
2001 সালের 12 জুন ওড়িশার চাঁদিপুরে প্রথম ব্রাহ্মোসের পরীক্ষা হয় ৷ 2004 সালে আরও একবার পরীক্ষা হয় ৷ 2008 সালে INS রাজপুত থেকে এই মিজ়াইলের ল্যান্ড অ্যাটাক ভার্সনের টেস্ট ফায়ার করা হয় ৷ সেই পরীক্ষায় বহু লক্ষ্যের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে গিয়েই আক্রমণ করেছিল ব্রাহ্মোস ৷ 2010 সালের 5 সেপ্টেম্বর গতির দিক থেকে প্রথম ক্রুজ মিজ়াইল হিসেবে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র ৷
বর্তমানে ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে নতুন জেনারেশনের ব্রাহ্মোস মিজ়াইল তৈরি করার চিন্তাভাবনা করছে ৷ যার রেঞ্জ হবে 600 কিলোমিটারের বেশি ৷ এতে নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে গিয়ে আঘাত করবে ক্ষেপণাস্ত্রটি ৷ গতবছর এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ বাড়িয়ে 500 কিমি করা হয়েছিল ৷