কলকাতা, 30 ডিসেম্বর: শেষ হল অর্ণব মিদ্যা পরিচালিত চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী এবং রুক্মিণী মৈত্র অভিনীত আসন্ন বাংলা ছবি 'হাঁটি হাঁটি পা পা'-এর প্রথম দফার শুটিং। সামাজিক মাধ্যমে অনুরাগীদের সঙ্গে খবর শেয়ার করলেন অভিনেত্রী রুক্মিণী স্বয়ং। সঙ্গে দিলেন চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর একটি স্নেহমাখা ছবি। এই ছবিতে বাবা ও মেয়ের চরিত্রে দেখা যাবে চিরঞ্জিৎ এবং রুক্মিণীকে। প্রথম দফার শুটিং শুরু হয়েছিল ডিসেম্বরেই।
ইটিভি ভারতের তরফে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "খুব ভালো একটা কাজ। খুব শান্তিপূর্ণভাবে কাজটাও হয়েছে। সবথেকে বড় কথা খুব ধীরে সুস্থে কাজ হয়েছে। চিরঞ্জিৎ দা'র সঙ্গে 'চ্যাম্প'-এর অনেকদিন পর এই ছবিটা করছি ৷ আমরা পরিবারের মতো হয়ে গিয়েছি। ডিরেক্টর এবং প্রোডিউসার দুজনেই নতুন খুব প্যাশনেট। আমাদের সেকেন্ড শিডিউল আমার আগামী সিনেমা 'বিনোদিনী' মুক্তির পর শুরু হবে। 'বিনোদিনী' 23 জানুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে। তার পরে আবার এই ছবির জন্য ব্যস্ত হয়ে যাব।"
দীর্ঘ সময় বিরতির পর চিরঞ্জিৎ ফিরেছেন সিনেপর্দায় ৷ ওটিটি-তে ইতিমধ্যেই প্রশংসিত হয়েছে অভিনেতার কাজ ৷ এবার তিনি রুক্মিণীর বাবার ভূমিকায় ৷ অভিনেত্রীর কথায়, চিরঞ্জিতের মতো অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাই আলাদা ৷ দীর্ঘ সময় ধরে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন চিরঞ্জিৎ ৷ ফলে তাঁর কাছ থেকে যে অনেক কিছু এখনও শেখার রয়েছে, তা জানেন অভিনেত্রী রুক্মিণীও ৷
ছবির পোস্টারে দেখা গিয়েছিল পায়ের একটি ছাপ একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের, অন্যটি কোনও ছোট শিশুর। ছবির গল্পে নারী-পুরুষের প্রেম নেই। বরং এই গল্প হল জীবনকে ভালোবাসার গল্প। যে সম্পর্কে ছোট থেকে বুড়ো হওয়া পর্যন্ত, এমনকী মৃত্যুর আগে পর্যন্ত মানুষের মনে থেকে যায়। জানা গিয়েছে, ছবির চিত্রনাট্য নিয়ে বহু দিন ধরেই কাজ করছেন অর্ণব মিদ্যা। আর রুক্মিণী মৈত্রকে ভেবেই তাঁর এই গল্প লেখা। কাহিনিকার প্রিয়াঙ্কা পোদ্দার।
অর্ণবের কথায়, "কাজের ব্যাপারে রুক্মিণী ভীষণ ডেডিকেটেড। ভোররাত তিনটে হোক বা বেলা বারোটা, যখনই ওঁর কোনও ইনোভেটিভ আইডিয়া মনে আসে জানাতে থাকেন। এমন এক অভিনেত্রীর সঙ্গেই কাজ করতে চেয়েছিলাম।"
এই মুহূর্তে 'বিনোদিনী- একটি নটীর উপাখ্যান'-এর মুক্তি নিয়ে চিন্তায় অভিনেত্রী। ইতিমধ্যেই অম্লমধুর মন্তব্য পেয়েছেন তিনি। বাকিটা সময় বলবে। যেভাবে বাঙালি দর্শক বাংলা সিনেমার টানে হলমুখী হচ্ছেন, সেইভাবে নতুন বছরে 'বিনোদিনী'কে নিয়েও বাঙালির আগ্রহ থাকবে তা বলাই বাহুল্য। আসলে বিনোদিনী দাসী বাঙালির আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।