দিল্লি, 15 এপ্রিল : যোগী, মায়াবতীর পর এবার আজ়ম খান ও মানেকা গান্ধি। দু'জনের বিরুদ্ধেই নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করায় আজ়ম খান 72 ঘণ্টা প্রচার করতে পারবেন না। মানেকা গান্ধির ক্ষেত্রে এই সময়সীমা ধার্য হয়েছে 48 ঘণ্টা। আগামীকাল সকাল 10টার পর থেকে তাঁর আর প্রচার করতে পারবেন না।
গতকাল রামপুরের সভায় জয়াপ্রদার নাম না করে আজ়ম খান বলেন, "মানুষটা 10 বছর ধরে রামপুরের লোকজনের রক্ত চুষেছে। আমি তাঁর হাত ধরে তাঁকে রামপুরে এনেছিলাম। রামপুরের পথঘাটের সঙ্গে তাঁকে পরিচয় করাই। কাউকে স্পর্শ করতে দিইনি তাঁকে। কাউকে একটা কুমন্তব্য করতে দিইনি। আপনারা তাঁকে 10 বছরের জন্য প্রতিনিধি বানালেন। তাঁর আসল রূপ চিনতে আপনাদের 17 বছর লেগে গেল। আমি তো 17 দিনেই বুঝতে পেরেছি তাঁর অন্তর্বাস খাকি রঙের (খাকি রঙটি RSS-র সঙ্গে সম্পর্কিত)। এরপরই জয়প্রদার প্রতি এই মন্তব্যের জন্য আজ়ম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়।
এই সংক্রান্ত আরও খবর : "খাকি অন্তর্বাস", জয়াপ্রদাকে আজ়ম খানের বিতর্কিত মন্তব্যে মহিলা কমিশনের ব্যাখ্যা তলব
এদিকে, সম্প্রতি মানেকা গান্ধি উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরে প্রচারে গিয়ে মুসলিমদের উদ্দেশে বলেন, "আমি জিতছি এটা গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়ে জিতব। কিন্তু, যদি মুসলিমদের সাহায্য ছাড়াই নির্বাচনে জিতি, তাহলে তা ভালো হবে না। মনটা খারাপ হয়ে যাবে। তখন যদি কোনও মুসলিম ব্যক্তি আমার কাছে কাজের জন্য আসেন, আমি তো তাঁর কাজ সহজে করব না। সবকিছু তো দেওয়া-নেওয়া পদ্ধতির মতো। তাই নয় কী ? আমরা তো সবাই মহাত্মা গান্ধির ছেলে নয় (হাসি)। এরকম তো হতে পারে না, যে আমরা শুধু দিয়ে যাব তারপরও নির্বাচনে হারব। জয় আসবেই। সে আপনারা সাথে থাকুন আর না থাকুন।" এই মন্তব্য নিয়েও জোর বিতর্ক হয়।
এই সংক্রান্ত আরও খবর : ভোট না দিলে কাজ সহজে করব না : মানেকা
এবার দু'জনের উপরই নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন।
এই সংক্রান্ত আরও খবর : যোগী ও মায়াবতীর উপর নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা কমিশনের