দিল্লি, ২৫ ফেব্রুয়ারি : "দেশ আগে না পরিবার আগে ? কয়েকজনের কাছে তো দেশের থেকে পরিবার বড়। যখনই সেনাবাহিনীর নিরাপত্তার বিষয় এসেছে আগের সরকার শুধু অবহেলা করেছে। শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর সময় হয়তো কোনও রাজনৈতিক মুনাফা পায়নি তারা।" আজ ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালের উদ্বোধনে এভাবেই কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন নরেন্দ্র মোদি।
তিনি আরও বলেন, "বোফর্স থেকে শুরু করে হেলিকপ্টার সব তদন্ত ঘুরেফিরে একটি পরিবারের দিকে যাচ্ছে। এখন আবার এই সমস্ত মানুষ সমস্ত শক্তি দিয়ে চেষ্টা করছে যাতে ভারতে রাফাল আসতেই না পারে। আগামী কয়েকমাসের মধ্যে যখন ভারতের আকাশে রাফাল উড়বে তখন এদের সব চক্রান্তকে ধ্বংস করে দেবে। দেশের সেনাকে আরও মজবুত করতে বদ্ধপরিকর আমাদের সরকার। যুদ্ধবিমান, জাহাজ, হেলিকপ্টার সমস্তকিছু সরবরাহ করা হচ্ছে। সেনাদের জন্য অত্যাধুনিক রাইফেল তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। সম্প্রতি ৭২,০০০ অত্যাধুনিক রাইফেলের অর্ডার দেওয়া হয়েছে।"
কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, "এমন কী সেনাবাহিনীকে ১,৪৬,০০০ বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটও দিতে পারেনি তারা। ২০০৯-২০১৪ সাল পর্যন্ত বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছাড়াই সেনারা লড়াই করেছে। আজ থেকে আড়াই দশক আগে এই স্মারক তৈরির ফাইল তৈরি হয়েছিল। অটলজির আমলে কাজ একটু এগিয়েছিল। কিন্তু তারপর আবার সবকিছু চাপা পড়ে যায়। আজ দেশের প্রতিটি মানুষের প্রশ্ন শহিদদের সঙ্গে কেন এই আচরণ করা হয়েছে ? কেন এই অন্যায় করা হয়েছে ? কী কারণে এতদিন ধরে এই স্মারক তৈরি করা হয়নি?" আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি বলেন, "এখন শুধু আপনাদের বিশ্বাস চাই। প্রধানমন্ত্রীর উপর বিশ্বাস রাখুন।"
ইন্ডিয়া গেটের কাছে প্রায় ৪০ একর জায়গা নিয়ে এই মেমোরিয়াল অবস্থিত। মাঝে একটি স্তম্ভ রয়েছে। রয়েছে অমর জ্যোতি। দেওয়ালের গায়ে বায়ুসেনা, নৌসেনার নানা যুদ্ধকে বর্ণনা করা হয়েছে। অমর চক্র, বীরতা চক্র, ত্যাগ চক্র ও রক্ষক চক্র নামে চারটি চক্র রয়েছে। এবং ২৫, ৯৪২ জন শহিদের নাম স্বর্ণাক্ষরে খোদাই করা হয়েছে। ১৭৬ কোটি টাকায় গড়ে তোলা হয়েছে এই মেমোরিয়াল।