ETV Bharat / bharat

অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজ : মস্তিষ্ক, মুখকে হারিয়ে আজ একলা মোদি 2.0 ! - মোদি 2.0-তে এবার যে একলা চলার পালা

বিদায় নিয়েছেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ৷ একজন ছিলেন মস্তিষ্ক তো আর একজন মানবিক মুখ ৷ যার বিকল্প হয়তো আর খুঁজে পাবেন না  নরেন্দ্র মোদি ৷ তাই কোথাও যেন মোদি 2.0 সরকারে এই শূন্যস্থান থেকে যাবে ৷ দুই বিশ্বস্ত বন্ধুকে হারিয়েছেন মোদি । মোদি 2.0-তে এবার যে একলা চলার পালা ।

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Aug 24, 2019, 3:29 PM IST

Updated : Aug 24, 2019, 4:48 PM IST

দিল্লি, 24 অগাস্ট : এক মাসের মধ্যেই নক্ষত্র পতন ৷ বিদায় নিয়েছেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ৷ একজন ছিলেন মস্তিষ্ক তো আর একজন মানবিক মুখ ৷ যার বিকল্প হয়তো আর খুঁজে পাবেন না নরেন্দ্র মোদি ৷ তাই কোথাও যেন মোদি 2.0 সরকারে এই শূন্যস্থান থেকে যাবে ৷ একজনের ক্ষুরধার বুদ্ধি এবং অন্যজনের জনপ্রিয়তার অনুপস্থিতি অনুভব করতে পারবে মোদির ক্যাবিনেট ৷

বিরোধীদের রীতিমতো দিশেহারা করে দিয়ে আবার ক্ষমতায় ফিরেছে মোদি সরকার৷ 2014 অর্থাৎ প্রথমবার সরকারে মোদি মন্ত্রিসভার অন্যতম বিশ্বস্ত মুখ ছিলেন অরুণ জেটলি ৷ ঘনিষ্ঠতাও অনেকদিনের ৷ তখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মোদি ৷ সেই সময় থেকে দু'জনের সম্পর্ক ৷ BJP-র সেই সময়ের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের মধ্যে একজন ছিলেন অরুণ জেটলি, যিনি মোদির মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন ৷ বুঝেছিলেন সুদূর ভবিষ্যতে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারেন মোদি ৷

এই সংক্রান্ত আরও পড়ুন : প্রয়াত অরুণ জেটলি

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদিকে BJP-র তরফে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত করার ক্ষেত্রে অরুণ জেটলির ভূমিকা ছিল অন্যতম ৷ এমন কী, এক্ষেত্রে তিনি দলের বর্ষীয়ান নেতা আদবানি ও এম এম জোশীকেও কোণঠাসা করেছিলেন বলে শোনা যায় ৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, 2014 সালের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় মোদির পর ক্যাবিনেটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য নাম ছিল অরুণ জেটলি ৷

অরুণ জেটলির আমলেই অধিকাংশ যোজনা বাস্তবায়িত হয় ৷ জন ধন যোজনা, আধার সংযুক্তিকরণ, নোট বাতিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া ও সেগুলিকে বাস্তবায়িত করা হয় তাঁর আমলে ৷ কঠিন পরিস্থিতি সামলাতেন সহজেই । নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন দায়ভার ৷ তা সে নোট বাতিল, GST কিংবা রাফাল চুক্তি নিয়ে চলা দীর্ঘমেয়াদি বিতর্ক হোক ৷ তখন তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন না তবুও যখনই রাফাল নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা, গর্জে উঠেছেন জেটলি ৷

এই সংক্রান্ত আরও পড়ুন : আইনের ছাত্র থেকে মোদি মন্ত্রিসভার সেকেন্ড ইন কমান্ড : এক বর্ণময় সফর

মোদি সরকারের মাথা যদি অরুণ হন তাহলে তাঁর মানবিক মুখ ছিলেন সুষমা ৷ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতায় দেশ এবং দেশের বাইরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ৷ তাঁর আমলে 90টির বেশি দেশে সফর করেন মোদি ৷ দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিতকে মজবুত করেছিলেন তিনি ৷ বিদেশের সঙ্গে যে কোনও চুক্তি সইতে তাঁর ভূমিকাও ছিল অনস্বীকার্য ৷

সুষমার হাত ধরে যেন নতুন রূপ পেয়েছিল বিদেশমন্ত্রক ৷ বিদেশ সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যায় তাঁর সাহায্য পেয়েছেন সাধারণ মানুষ ৷ সমস্যায় পড়লে টুইট করে সাহায্য চাইতে দেখা গেছে ৷ সমস্যার কথা কানে যেতেই সক্রিয় হয়েছেন সুষমা ৷ একবার এক নেটিজেন মজার টুইট করেন । লেখেন , 'মঙ্গলগ্রহে আটকে গেছি'৷ টুইট দেখে একটুও মেজাজ হারাননি তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী ৷ বরং হালকা চালে এর উত্তরও দেন ৷ লেখেন, 'আপনি মঙ্গল গ্রহে আটকে থাকলেও সেখানে ভারতীয় দূতাবাস আপনাকে সহায়তা করবে৷" 2014 সালে বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব পাওয়ার পরই সোশাল মিডিয়াকে অন্যভাবে কাজে লাগিয়েছিলেন সুষমা স্বরাজ ৷ সবসময় সোশাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকতেন ৷ সাহায্য করার জন্য থাকতেন প্রস্তুত ৷ শুধু দেশের নাগরিক বা অনাবাসী ভারতীয় নয়, বিদেশিদের জন্যও ছিল তাঁর অবারিত দ্বার ৷ 2015-র ফেব্রুয়ারিতে ইরানে আটকে পড়া 168 ভারতীয়কে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল তাঁরই তৎপরতায় ৷ 2018-র কথা ৷ কয়েকদিন পরই বিয়ে ৷ কিন্তু, পাসপোর্টের জন্য অ্যামেরিকা থেকে দেশে ফিরতে পারছিলেন না এক যুবক ৷ সাহায্য চাইতেই এগিয়ে আসেন তিনি ৷ 2016 সালে যখন তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছিল তখনও SOS মেসেজের মাধ্যমে একজনকে সাহায্য করেছিলেন ।

এই সংক্রান্ত আরও পড়ুন : কেউ হারালেন 'বহেনজি', কেউ বা প্রিয় বন্ধু; সুষমার মৃত্যুতে শোকবার্তা আন্তর্জাতিক মহলের

দুই বিশ্বস্ত বন্ধুকে হারিয়েছেন মোদি । মোদি 2.0-তে এবার যে একলা চলার পালা ।

দিল্লি, 24 অগাস্ট : এক মাসের মধ্যেই নক্ষত্র পতন ৷ বিদায় নিয়েছেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ৷ একজন ছিলেন মস্তিষ্ক তো আর একজন মানবিক মুখ ৷ যার বিকল্প হয়তো আর খুঁজে পাবেন না নরেন্দ্র মোদি ৷ তাই কোথাও যেন মোদি 2.0 সরকারে এই শূন্যস্থান থেকে যাবে ৷ একজনের ক্ষুরধার বুদ্ধি এবং অন্যজনের জনপ্রিয়তার অনুপস্থিতি অনুভব করতে পারবে মোদির ক্যাবিনেট ৷

বিরোধীদের রীতিমতো দিশেহারা করে দিয়ে আবার ক্ষমতায় ফিরেছে মোদি সরকার৷ 2014 অর্থাৎ প্রথমবার সরকারে মোদি মন্ত্রিসভার অন্যতম বিশ্বস্ত মুখ ছিলেন অরুণ জেটলি ৷ ঘনিষ্ঠতাও অনেকদিনের ৷ তখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মোদি ৷ সেই সময় থেকে দু'জনের সম্পর্ক ৷ BJP-র সেই সময়ের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের মধ্যে একজন ছিলেন অরুণ জেটলি, যিনি মোদির মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন ৷ বুঝেছিলেন সুদূর ভবিষ্যতে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারেন মোদি ৷

এই সংক্রান্ত আরও পড়ুন : প্রয়াত অরুণ জেটলি

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদিকে BJP-র তরফে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত করার ক্ষেত্রে অরুণ জেটলির ভূমিকা ছিল অন্যতম ৷ এমন কী, এক্ষেত্রে তিনি দলের বর্ষীয়ান নেতা আদবানি ও এম এম জোশীকেও কোণঠাসা করেছিলেন বলে শোনা যায় ৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, 2014 সালের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় মোদির পর ক্যাবিনেটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য নাম ছিল অরুণ জেটলি ৷

অরুণ জেটলির আমলেই অধিকাংশ যোজনা বাস্তবায়িত হয় ৷ জন ধন যোজনা, আধার সংযুক্তিকরণ, নোট বাতিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া ও সেগুলিকে বাস্তবায়িত করা হয় তাঁর আমলে ৷ কঠিন পরিস্থিতি সামলাতেন সহজেই । নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন দায়ভার ৷ তা সে নোট বাতিল, GST কিংবা রাফাল চুক্তি নিয়ে চলা দীর্ঘমেয়াদি বিতর্ক হোক ৷ তখন তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন না তবুও যখনই রাফাল নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা, গর্জে উঠেছেন জেটলি ৷

এই সংক্রান্ত আরও পড়ুন : আইনের ছাত্র থেকে মোদি মন্ত্রিসভার সেকেন্ড ইন কমান্ড : এক বর্ণময় সফর

মোদি সরকারের মাথা যদি অরুণ হন তাহলে তাঁর মানবিক মুখ ছিলেন সুষমা ৷ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতায় দেশ এবং দেশের বাইরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ৷ তাঁর আমলে 90টির বেশি দেশে সফর করেন মোদি ৷ দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিতকে মজবুত করেছিলেন তিনি ৷ বিদেশের সঙ্গে যে কোনও চুক্তি সইতে তাঁর ভূমিকাও ছিল অনস্বীকার্য ৷

সুষমার হাত ধরে যেন নতুন রূপ পেয়েছিল বিদেশমন্ত্রক ৷ বিদেশ সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যায় তাঁর সাহায্য পেয়েছেন সাধারণ মানুষ ৷ সমস্যায় পড়লে টুইট করে সাহায্য চাইতে দেখা গেছে ৷ সমস্যার কথা কানে যেতেই সক্রিয় হয়েছেন সুষমা ৷ একবার এক নেটিজেন মজার টুইট করেন । লেখেন , 'মঙ্গলগ্রহে আটকে গেছি'৷ টুইট দেখে একটুও মেজাজ হারাননি তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী ৷ বরং হালকা চালে এর উত্তরও দেন ৷ লেখেন, 'আপনি মঙ্গল গ্রহে আটকে থাকলেও সেখানে ভারতীয় দূতাবাস আপনাকে সহায়তা করবে৷" 2014 সালে বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব পাওয়ার পরই সোশাল মিডিয়াকে অন্যভাবে কাজে লাগিয়েছিলেন সুষমা স্বরাজ ৷ সবসময় সোশাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকতেন ৷ সাহায্য করার জন্য থাকতেন প্রস্তুত ৷ শুধু দেশের নাগরিক বা অনাবাসী ভারতীয় নয়, বিদেশিদের জন্যও ছিল তাঁর অবারিত দ্বার ৷ 2015-র ফেব্রুয়ারিতে ইরানে আটকে পড়া 168 ভারতীয়কে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল তাঁরই তৎপরতায় ৷ 2018-র কথা ৷ কয়েকদিন পরই বিয়ে ৷ কিন্তু, পাসপোর্টের জন্য অ্যামেরিকা থেকে দেশে ফিরতে পারছিলেন না এক যুবক ৷ সাহায্য চাইতেই এগিয়ে আসেন তিনি ৷ 2016 সালে যখন তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছিল তখনও SOS মেসেজের মাধ্যমে একজনকে সাহায্য করেছিলেন ।

এই সংক্রান্ত আরও পড়ুন : কেউ হারালেন 'বহেনজি', কেউ বা প্রিয় বন্ধু; সুষমার মৃত্যুতে শোকবার্তা আন্তর্জাতিক মহলের

দুই বিশ্বস্ত বন্ধুকে হারিয়েছেন মোদি । মোদি 2.0-তে এবার যে একলা চলার পালা ।

Mumbai, Aug 24 (ANI): 'The Angry Birds Movie 2' has hit the theaters finally. The movie is getting phenomenal reviews from the moviegoers. Audience liked the second part more than the prequel. One of the moviegoers said, "Angry Birds 2 is an entertaining film. The movie is better than the prequel as they have added new, modern elements to it." Other one said, "Angry Birds 2 is better than prequel and has lots of humour. So, overall it was a decent movie. " The other movie buff liked the 'Punjabi Tadka' of the film and called it 'fun to watch'. One of the moviegoers also said, "I liked the movie in Hindi as it has voiceovers of Kapil Sharma, Kiku Sharda and Archana Puran Singh."
Last Updated : Aug 24, 2019, 4:48 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.