মুম্বই, 4 নভেম্বর: মুখ্যমন্ত্রিত্বের পদকে কেন্দ্র করে সেনা-BJP দ্বৈরথ আজ 11 দিনে পড়ল ৷ মহারাষ্ট্রের রাজনীতি এখনও আবর্তিত হচ্ছে 50:50 ফর্মুলা ঘিরে ৷ BJP যদি শিবসেনার দাবি না মানে তবে বিকল্প ব্যবস্থা ভেবে দেখা হবে ৷ সেনার তরফে একথা সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ বিকল্প হিসেবও কষতে শুরু করে দিয়েছে সেনা ৷ কংগ্রেস, NCP এবং কিছু নির্দল প্রার্থীকে নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যেতে পারেন উদ্ধব ঠাকরে ৷ তবে সেনা এখনও অপেক্ষা করছে BJP-র সিদ্ধান্তের উপর ৷ দলীয় মুখপত্র সামনার সম্পাদকীয়তে এমনটাই জানানো হয়েছে শিবসেনার তরফে ৷
2014 সালে গেরুয়া জোটের সংক্ষিপ্ত ছেদের পরে আবারও একসঙ্গে এসেছিল সেনা-BJP ৷ সেনা তখন BJP-র দেওয়া সব শর্ত মেনে নিয়েছিল ৷ তবে সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে এবার সাফ জানিয়ে দেন BJP-র সঙ্গে সমঝোতায় 50:50 ফর্মুলা প্রয়োগ করতে হবে ৷ শরদ পাওয়ারের জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস দলের এক নেতা বিকল্প জোটের জল্পনাকে আরও উসকে দিয়ে বলেন, " সেনা যে BJP-কে বাদ দিয়ে জনতার সরকার গঠনের কথা ভাবছে, এটিকে ইতিবাচকভাবে দেখা প্রয়োজন ৷" যদিও শরদ পাওয়ার জানিয়েছেন, তাঁর দল জনগণের রায় মেনে বিরোধী আসনেই বসবে ৷ পাশাপাশি তিনি সেনার দাবিকেও যুক্তিসঙ্গত বলেন ৷
এবারের নির্বাচনে BJP পেয়েছিল 105 টি আসন ৷ সেনা পেয়েছিল 56 টি আসন ৷ তৃতীয় শক্তি হিসেবে 54 টি আসন পেয়ে এবার উঠে এসেছিল NCP ৷
শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের সঙ্গে গত সপ্তাহে দেখাও করেছিলেন শরদ পাওয়ার ৷ দলের তরফে বলা হয় দীপাবলির শুভেচ্ছা সাক্ষাৎ ৷ তবে এই সাক্ষাৎ জল্পনা বাড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে ৷ এদিকে রাজধানীতে আজ বিরোধী দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কংগ্রেস দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধি ৷ NCP সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারও যাচ্ছেন বৈঠকে ৷ মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক জট নিয়েও আলোচনা হতে পারে তাঁদের মধ্যে ৷ এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷ অন্যদিকে, আজই অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি পৌঁছালেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ৷ যদিও বলা হচ্ছে মহারাষ্ট্রে অকালবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিষয়েই তাঁদের মধ্যে আলোচনা হবে ৷ চলতি রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই সাক্ষাৎ যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ ৷
10 জনপথের বৈঠকে কি তবে আজ আলোচনা হবে মহারাষ্ট্রের বিকল্প রাজনৈতিক জোট নিয়ে? নাকি 50:50 ফর্মুলার সমাধানসূত্র মিলবে অমিত শাহের হস্তক্ষেপে? দিন গড়াতেই হয়ত পাওয়া যাবে উত্তর ৷ যদিও BJP সূত্রে জানা গেছে, মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রিত্বের পদ নিয়ে কোনও সমঝোতা করতে রাজি নয় দলীয় নেতৃত্ব । তবে মন্ত্রিসভার অন্য পদগুলি নিয়ে তারা শিবসেনার সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা রেখেছে ।