বেঙ্গালুরু, 6 ডিসেম্বর: কর্ণাটকের হাসান জেলার এক ব্যক্তি চুরির অভিযোগে প্রায় 26 বছর ধরে পলাতক ৷ অবশেষে মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর একটি রেস্তোরাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আদালতের অদূরেই সে এক রেস্তোরাঁয় রাঁধুনির কাজ করত। পলাতক আসামীর নাম দেবগৌড়া ৷ তাকে হাসানের আলুরু থেকে 1997 সালে কামাক্ষীপাল্যা থানায় একটি চুরির মামলায় গ্রেফতার হয়। এরপরই সে কোনওভাবে পালিয়ে যায় ৷ সুতরাং, তাকে আর আদালতে পেশ করা সম্ভব হয়নি ৷
পুলিশ সূত্রে আরও খবর, ধৃত ওই ব্যক্তিকে 26 বছর আগে চম্পট দেওয়ার পর অভিযুক্তকে অনেক খোঁজাখুঁজি শুরু হয় ৷ কিন্তু অভিযুক্ত দেবগৌড়াকে কোথাও খুঁজে পাওযা যায়নি ৷ পুলিশ সম্প্রতি খোঁজ পায় যে, সে বেঙ্গালুরুর মিরা রোডেই থাকে সে ৷ ওই এলাকারই একটি রেস্তোরাঁয় রাঁধুনির কাজ করে ৷ তাকে ধরার জন্য পুলিশ ফাঁদ পাতে ৷ অবশেষে গতকাল দেবগৌড়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷
গত 26 বছর ধরে, পুলিশ তাকে রাজ্যজুড়ে হন্যে হয়ে খুঁজছে ৷ কিন্তু বারবার তাকে খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হয়েছে। কামাক্ষীপাল্যা পুলিশ গোপনে খবর পেয়ে আসামীকে ধরার জন্য একটি দল তৈরি করে ৷ আর তাকে রেস্তোরাঁ থেকে গ্রেফতার করে ৷ গ্রেফতারের পর অভিযুক্তকে কামাক্ষীপাল্যা থানায় নিয়ে আসা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি বেশ কয়েক বছর ধরে রেস্তোরাঁয় রান্নার কাজ করত। তাকে ইতিমধ্যেই আদালতে হাজির করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে 2011 সালে নভেম্বর মাসে প্যারোলে জেল থেকে বেরিয়ে এক সাজাপ্রাপ্ত আসামী পালিয়ে যায় ৷ তার 30 দিনের প্যারোল মঞ্জুর করা হয়েছিল ৷ সে ফিরে না-আসায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পলাতক আসামীকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মুম্বই দায়রা আদালত 2010 সালে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্টেন্সেস (এনডিপিএস) আইনের অধীনে ওই আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। তাকে 10 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এবং নাসিক রোড কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছিল। পুলিশ সম্প্রতি তথ্য পায় যে সে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে মিরা রোডে থাকে এবং তাকে ধরার ফাঁদ পাতে ৷ এরপরই ওই আসামীকে গ্রেফতারও করা হয়।
আরও পড়ুন: