মোরবি (গুজরাত), 13 জানুয়ারি: 22 জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধন ৷ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দেশজুড়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে । তেমনই গুজরাতের মোরবি থেকে আমন্ত্রণ পত্র পেয়েছেন গুজরাতের 2 জন। একজন আরএসএস-এর পশ্চিম অঞ্চল সরসন্ধের প্রশাসক ডঃ জয়ন্তী রিশিয়া, এবং অপরজন অবসরপ্রাপ্ত ভানুবেন সোলাঙ্কি । সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর, ভানুবেন তাঁর গ্র্যাচুইটি ও জমানো অর্থ-সহ 27 লক্ষ টাকা দান করেছেন অযোধ্য়ার রাম মন্দির নির্মাণে ৷
82 বছরের ভানুবেন সোলাঙ্কি স্থানীয় একটি সরকারি হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত নার্স ৷ 10 বছর আগে ভানুবেন তাঁর বোনের সঙ্গে অযোধ্যায় গিয়ে ছিলেন ৷ সেখানে একটি তাঁবুর মধ্যে ভগবান রামের মূর্তি পূজিত হতে দেখেন ৷ তা দেখেই তাঁদের মন কেঁদে ওঠে ৷ এরপরই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মন্দির নির্মাণে সাহয্য করার ৷ তবে ভানুবেনেপ বোন প্রয়াত হয়েছেন ৷ তাই মন্দির নির্মেণের কাজে 27 লক্ষ টাকা অনুদান করেছেন ভানুবেন সোলাঙ্কি একাই ৷ উপহারস্বরূপ রাম মন্দির ট্রাস্টের পক্ষ থেকে প্রাণ প্রতিষ্ঠা উৎসবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি অযোধ্যায় ভানু বেনের বাড়িতে আমন্ত্রণ পৌঁছতেই তিনি খুশিতে আপ্লুত হয়ে যান । ভানুবেন সোলাঙ্কাকিকে আমন্ত্রণ পত্র দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় আরএসএস নেতারা ৷ জয় শ্রী রাম স্লোগান দেওয়া হয় আমন্ত্রণের সময় ৷ রাম মন্দিরের মতো ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছেন অশীতিপর ভানুবেন ৷ তিনি বলেন, "এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের মুহূর্ত যে আমাকে রাম মন্দিরে ভগবান শ্রী রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। 10 বছর আগে আমি ভগবান রামকে তাঁবুতে বসে থাকতে দেখেছিলাম এবং আমার হৃদয় গলে গিয়েছিল। তাই আমার যা কিছু টাকা ছিল তা দান করলাম ৷"
আরও পড়ুন: